× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

২০০৫ সালে জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলায় দুইজনের যাবজ্জীবন

বাংলারজমিন

ঝালকাঠি প্রতিনিধি
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

ঝালকাঠিতে ২০০৫ সালে  আলোচিত জেএমবি’র সিরিজ বোমা হামলার ঘটনার দীর্ঘ সাড়ে ১৪ বছর পর দুইজনকে যাবজ্জাীবন কারাদণ্ড দিয়েছেন আদালত। দণ্ডপ্রাপ্তরা হলেন- ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. ইউনুস মল্লিক এর ছেলে মো. জিয়াউর রহমান এবং বৈদারাপুর গ্রামের মোশাররফ হোসেনের ছেলে ফরিদ হোসেন।
গতকাল বুধবার দুপুরে ঝালকাঠির বিশেষ ট্রাইব্যুনাল-২ আদালতের বিচারক শেখ মো. তোফায়েল হাসান এ রায় ঘোষণা করেন। রায় ঘোষণার সময় দুই আসামি আদালতে উপস্থিত ছিলেন।
ঝালকাঠি বিশেষ ট্রাইব্যুনাল ২ এর অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু জানান, ২০০৫ সালের ১৭ই আগস্ট সকাল ১১টা ৩০ মিনিটে পর পর পাঁচটি বোমার বিস্ফোরণে কেঁপে ওঠে ঝালকাঠি শহর। একই সময় বোমার বিস্ফোরণ ঘটে ঝালকাঠি জেলা জজ আদালত চত্বর, জেলা প্রশাসক কার্যালয়, আইনজীবী সমিতি, সদর উপজেলা পরিষদ চত্বর ও বিকনা টেম্পোস্ট্যান্ডে। এ ঘটনায় ঝালকাঠি থানার তৎকালীন ওসি মো. সোহরাব আলী বাদী হয়ে বিস্ফোরক দ্রব্য আইনে একটি মামলা দায়ের করেন। মামলায় আহত অবস্থায় আটক ফরিদ হোসেনকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। ২০০৬ সালের ২২শে অক্টোবর গোয়েন্দা পুলিশ আদালতে অভিযোগপত্র (চার্জশিট) দাখিল করেন।
জেএমবি’র সদস্য ঝালকাঠির বিকনা গ্রামের মো. জিয়াউর রহমান ও আহত অবস্থায় আটক রিকশা চালক ফরিদ হোসেনকে অভিযোগপত্রে আসামি করা হয়। ঘটনার দুইবছর পর অভিযুক্ত ফরিদ হোসেন আদালত থেকে জামিন লাভ করে। পরে অপর অভিযুক্ত জিয়াউর রহমানও জামিনে মুক্তি লাভ করে। যুক্তিতর্কের দিন আদালত তাদের জামিন বাতিল করে। মামলায় ১৩ জন সাক্ষীর সাক্ষ্য গ্রহণ করে উপরোক্ত রায় ঘোষণা করা হয়। রাষ্ট্রপক্ষে মামলা পরিচালনা করেন অতিরিক্ত পাবলিক প্রসিকিউটর আসম মোস্তাফিজুর রহমান মনু এবং আসামি পক্ষে ছিলেন এডভোকেট নাসির উদ্দিন কবীর। ১৭ই আগস্ট বোমা হামলার ঘটনার আড়াই মাস পর ১৪ই নভেম্বর জেএমবি’র আত্মঘাতী বোমা হামলায় ঝালকাঠির দুই বিচারক সোহেল আহমেদ ও জগন্নাথ পাঁড়ে নিহত হন। এ মামলায় ঝালকাঠির আদালতেই জেএমবি প্রধান শায়খ আবদুর রহমানসহ ৭ শীর্ষ জঙ্গির ফাসির আদেশ হয়। ২০০৭ সালের ২১ মার্চ দেশের বিভিন্ন কারাগারে ফাঁসির রায় কার্যকর করা হয়। এর প্রতিশোধ নিতে জেএমবি ২০০৭ সালের ১১ই এপ্রিল মামলা পরিচালনাকারী তৎকালীন পিপি হায়দার হুসাইনকে গুলি করে হত্যা করে। রায় ঘোষণা উপলক্ষে আদালত চত্বর ও এর আশপাশে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর