× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকারের করার কিছু নেই-ওবায়দুল কাদের

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২০ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

কারাবন্দি বিএনপি চেয়ারপারসন খালেদা জিয়ার মুক্তির বিষয়ে সরকার বা আওয়ামী লীগের করার কিছু নেই বলে মন্তব্য করেছেন দলটির সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। তিনি বলেন, একজন খালেদা জিয়াকে নিয়ে বারবার প্রশ্নের জবাব দেবো সেই সময় আমাদের নেই। আমি বারবার এই প্রশ্নের উত্তর দিতে চাই না। এ নিয়ে অনেক কথা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রীর নেতৃত্বে বাংলাদেশ আজ এগিয়ে যাচ্ছে। এদেশকে এগিয়ে নিয়ে যেতে হবে। আমাদের অনেক কর্মসূচি রয়েছে। অনেক কাজ রয়েছে।
দেশের কাজ, দলের কাজ। গতকাল রাজধানীর বঙ্গবন্ধু এভিনিউয়ে দলের এক যৌথসভায় সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি। দলের ঢাকা বিভাগের অধীন সব সাংগঠনিক জেলা ও মহানগরের সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক এবং সংসদ সদস্যদের নিয়ে ওই সভা হয়। বৈঠক শেষে বিএনপি চেয়ারপারসনের জামিন সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, খালেদা জিয়া আদালতে গেছেন।

আদালতই সব ঠিক করবেন। এটা কোনও রাজনৈতিক মামলা নয়, এটা দুর্নীতির মামলা। আদালত যেটা সিদ্ধান্ত নেয়ার নেবে, সেটাই চূড়ান্ত। এটা আওয়ামী লীগের হাতে, শেখ হাসিনার হাতে বা আমাদের কারও এখতিয়ারে নেই। কাজেই বারবার এটা প্রশ্ন করে বিব্রত করবেন না। এদিকে দলের সাংগঠনিক অবস্থা প্রসঙ্গে ওবায়দুল কাদের বলেন, সম্মেলন ছাড়া দলের কোনও কমিটি করা যাবে না। কেন্দ্রের দায়িত্বপ্রাপ্ত নেতাদের সঙ্গে পরামর্শ ছাড়া কোনও কমিটি ভাঙা যাবে না। কমিটি ভাঙতে হলে কেন্দ্রের কাছে সুপারিশ করবেন। কেন্দ্র ছাড়া কেউ কাউকে সরাসরি বহিষ্কার করতে পারবেন না। তিনি আরও বলেন,দলকে সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী করতে মেয়াদোত্তীর্ণ কমিটিগুলোর সম্মেলন এপ্রিল থেকে পুরোদমে শুরু হবে। মোট ২৯টি সম্মেলন করেছি। এর মধ্যে দুটি ঢাকা সিটির। কিন্তু ঢাকা বিভাগে এ পর্যন্ত কোনও সম্মেলন হয়নি। শেখ হাসিনার বড় নির্দেশনা হচ্ছে দলকে ঢেলে সাজাতে হবে। ওবায়দুল কাদের বলেন,সাংগঠনিকভাবে শৃঙ্খলা আনা এবং সময়ের চাহিদা মেটানো আমাদের জন্য অত্যাবশ্যকীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে। দল ক্ষমতায় থাকায় সাংগঠনিক দুর্বলতা টের পাচ্ছেন না। অনেক জায়গায় দেখা যায় সভাপতি-সাধারণ সম্পাদক হয়ে আছে, ৮-১০ বছর হয়ে গেছে আর কেউ নাই। পূর্ণাঙ্গ কমিটি হয়নি। আবার অনেকে পূর্ণাঙ্গ কমিটি জমা দিচ্ছে, কিন্তু অনুমোদন পেতে পেতে ছয় মাস। সম্মেলন করতে বললে বলেন, আমাদের তো মেয়াদ শেষ হয়নি। সম্মেলন যেদিন থেকে হবে, ক্ষণগণনা সেদিন থেকে। কেন্দ্রীয় সম্মেলন থেকে শিক্ষা নেন। তিনি বলেন,কমিটি করতে গিয়ে নিজের লোক পকেটে ঢুকাবেন না। এতে দলের কোনও লাভ হবে না। দল ভারী করার জন্য আজ বিতর্কিত ব্যক্তিদের আনবেন না। ঘরে বসে কমিটি করবেন না। মুজিববর্ষ নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, মুজিববর্ষ উদযাপনের নামে কেউ বাড়াবাড়ি করবেন না। অতি উৎসাহী হয়ে এমন কোনও কাজ করবেন না যেটা জনমনে বিরূপ প্রতিক্রিয়া সৃষ্টি করে। বঙ্গবন্ধুর ইমেজবিরোধী কোনও কাজ করা যাবে না। বঙ্গবন্ধু প্রতিষ্ঠিত, নতুন করে তাকে প্রতিষ্ঠা করার কিছু নেই। তার জন্ম শতবার্ষিকী উদযাপন করতে গিয়ে আমরা চাঁদাবাজির দোকান যেন না খুলি। চাঁদাবাজির দোকান আপনাদের নিয়ন্ত্রণ করতে হবে। ঢাকার দুই সিটি করপোরেশন নির্বাচন নিয়ে বিএনপির অভিযোগের জবাবে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিরোধী দল প্রচার করছে নির্বাচনে কারচুপি হয়েছে। কিন্তু ইভিএমে কারচুপি বা জালিয়াতির কোনও সুযোগ ছিল না। যদি এরকম সুযোগ থাকতো তাহলে নির্বাচনে ভোটের পার্সেন্টেজ বেশি হতো বা অস্থিতিশীলতা হতো। যদি কোনও প্রকার কারচুপি ও জালিয়াতির আশ্রয় নেয়া হতো তাহলে এই নির্বাচনের অবস্থা ভিন্নতর হতে পারতো। এসময় তিনি ভোটার উপস্থিতি কম হওয়ার কারণ ব্যাখ্যা দিয়ে বলেন, জনমনে যে সংশয়-সন্দেহ সৃষ্টি করা হয়েছে সেটা এখন অনেকে বুঝতে পারছেন। সিটি নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি কমের জন্য যে সমস্যাগুলো ছিল তার মধ্যে ছিল পরিবহন সংকট, তিন দিনের মতো ছুটি, অনেকের ছেলেমেয়ের এসএসসি পরীক্ষা থাকায় সেই সময় অভিভাবকরা তাদের সন্তানদের নিয়ে পরীক্ষার আগের সময়টা গ্রামের বাড়িতে কাটিয়েছেন। সব কিছুর কারণ আছে। এরপরও নির্বাচন নিয়ে সারা দুনিয়ায় তোলপাড় সৃষ্টি করার চেষ্টা হচ্ছিল। নির্বাচনকে প্রশ্নবিদ্ধ করার অপচেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে এবং নির্বাচনকে বিতর্কিত করার চেষ্টা ব্যর্থ হয়েছে। নির্বাচন নিয়ে দেশে-বিদেশে আমাদের বন্ধুরাষ্ট্র, পর্যবেক্ষক মহলে অপপ্রচার চালানোর চেষ্টা করা হয়েছে। তারা পারেনি। তিনি বলেন,সামনে আমাদের চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচন। ঢাকা মহানগরেও একটা নির্বাচন  আছে। ঢাকা-১০ আসন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার জন্য সর্বাত্মক কাজের চেষ্টা করতে হবে। এ নির্বাচনি কার্যক্রম পরিচালনার জন্য আপনাদের প্রস্তুতি নিতে হবে। করোনা ভাইরাসে দেশের অর্থনীতিতে কোনও প্রভাব পড়ছে কি না এবং এই বিষয়ে সরকারের ভাবনা জানতে চাইলে ওবায়দুল কাদের বলেন, বিশ্ব অর্থনীতি যদি কোনও ঘটনায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়, কোনও কারণে মন্দা দেখা দেয়, তার প্রভাব সারা বিশ্বেই থাকে। করোনা ভাইরাস আমাদের অর্থনীতিতে ক্ষতিগ্রস্ত করতে পারে সেই অবস্থা এখনও আসেনি। এটা যদি বেশি দিন থাকে তাহলে ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার আশঙ্কা আমরা উড়িয়ে দিচ্ছি না। করোনা ভাইরাসের প্রভাব দীর্ঘমেয়াদী হলে পদ্মা সেতুর কাজে কিছুটা প্রভাব পড়তে পারে জানিয়ে তিনি বলেন,পদ্মা সেতু থেকে চীনের আড়াইশ কর্মী, শ্রমিক স্বদেশে ছুটিতে গেছেন নববর্ষে। তারা এখনও আসেনি। করোনা ভাইরাসের যে প্রতিক্রিয়া এরপরও তিনটি স্প্যান আমাদের বসে গেছে। আগামীকালও একটি স্প্যান বসার কথা। যারা ছুটির কারণে চীনে আছেন আগামী আড়াই মাসের মধ্যে তারা ফিরে না আসলে একটু সমস্যা সৃষ্টি হতে পারে। তবে আগামী দুই মাস কাজের কোনও ক্ষতি হচ্ছে না। যৌথসভায় আওয়ামী লীগের সভাপতিমন্ডলীর সদস্য মুহাম্মদ ফারুক খান,আব্দুর রহমান,শাহজাহান খান, সাংগঠনিক সম্পাদক মির্জা আজম, প্রচার সম্পাদক ড. আবদুস সোবহান গোলাপ, দপ্তর সম্পাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া প্রমুখ উপস্থিত ছিলেন।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর