× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মৌলভীবাজারে ১৭ মাদক ব্যবসায়ীর আত্মসমর্পণ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, মৌলভীবাজার থেকে
২১ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

‘মাদক ছেড়ে এসো আলোর পথে’ জেলা পুলিশের উদ্যোগে এই ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানের মাধ্যমে কনকপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হয়েছে। বুধবার বিকালে মৌলভীবাজার মডেল থানার আয়োজনে মডেল থানা প্রাঙ্গণে এ অনুষ্ঠানে স্বেচ্ছায় কনকপুর ইউনিয়নের ৮ জন ও সদর উপজেলার ৯ জন মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীসহ  মোট ১৭ আত্মসমর্পণ করে। জেলা পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ পিপিএম (বার) এর সভাপতিত্বে ও সদর মডেল থানার ওসি (তদন্ত) পরিমল দে এর পরিচালনায় আত্মসমর্পণ ও প্রত্যয় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি ছিলেন সিলেট  রেঞ্জের ডিআইজি কামরুল আহসান। বিশেষ অতিথি ছিলেন মৌলভীবাজার সরকারি কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর ড. ফজলুল আলী, মৌলভীবাজার পৌরসভার মেয়র ও জেলা আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মো. ফজলুর রহমান, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক আলহাজ মিছবাহুর রহমান প্রমুখ।
মুজিববর্ষ উদযাপনে এমন ব্যতিক্রমী অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে ডিআইজি কামরুল আহসান তার বলেন, দেশ থেকে জঙ্গিবাদ নির্মূল না করা গেলেও অনেকটা নিয়ন্ত্রণে এসেছে। কিন্তু এ পর্যন্ত মাদককে নিয়ন্ত্রণ করা যায়নি। যে কারণে দেশে এখন দিন দিন মাদকসেবীর সংখ্যা বাড়ছে। এখন মাদকসেবীর সংখ্যা বেড়ে দাঁড়িয়েছে ৭০ লাখ।
মাদকের কারণে নিজ পরিবারের সদস্যদের খুন করছে মাদকসেবীরা। মাদক, ব্যক্তি, পরিবার সমাজ, রাষ্ট্র ও অর্থনীতির মারাত্মক হুমকি। মাদকের কারণে দেশের তরুণ ও যুবসমাজ চরম বিপথগামী হচ্ছে। দেশের উন্নয়ন ব্যাহত করতে এর চেয়ে ভয়াবহ আর কী হতে পারে।  গবেষণায় তথ্য মিলেছে মাদকের পিছনে দেশে বছরে ৪৮ হাজার ৬ কোটি ব্যয় হচ্ছে। মাদকের ব্যাপারে জিরো টলারেন্স নীতিতে আমরা। দেশের এক নম্বর সমস্যা এই মাদক নির্মূলে আমাদেরকে আদাজল খেয়ে নামতে হবে। সমাবেশে পুলিশ সুপার ফারুক আহমদ বলেন, আমি পরিষ্কারভাবে জানাচ্ছি মাদকের জন্য কোনো তদবির গ্রহণ করা হবে না। মাদকের বিরুদ্ধে আমাদের অভিযান চলছে। হয় মাদক ছাড় নয়তো মৌলভীবাজার ছাড়। সবার সহযোগিতায় আমরা চাই পর্যটন শিল্পের সম্ভাবনাময়ী এ জেলাকে মাদকমুক্ত করতে। তার প্রথম কার্যক্রম হিসেবে কনকপুর ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত করা এই প্রয়াস। পর্যায়ক্রমে জেলার সব ইউনিয়নকেও মাদক মুক্ত ইউনিয়ন হিসেবে ঘোষণা দেয়া হবে।
কনকপুর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান  রেজাউর রহমান চৌধুরী বলেন, আমরা দীর্ঘদিন ধরে মাদকসেবী ও ব্যবসায়ীদের উদ্বুদ্ধ করেছি। মানুষকে সচেতন করেছি। যারা মাদক ব্যবসা ও  সেবনে জড়িত তারা ভুল বুঝতে  পেরেছেন। তারই ফলশ্রুতিতে ইউনিয়নকে মাদকমুক্ত ঘোষণা করা হচ্ছে।
অনুষ্ঠানে ‘মাদকমুক্তের ঘোষণার পাশাপাশি ১৭ জন মাদক ব্যবসায়ী আত্মসমর্পণ করে আলোর পথে ফিরে আসেন। বক্তারা বলেন- আমাদের সকলের সহযোগিতায় তাদের সুস্থ জীবনে ফিরে আসতে পুনর্বাসনসহ প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে। তাদের মাদক থেকে দূরে রাখতে আমাদের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহেযাগিতা করা হবে। মডেল থানার পক্ষ থেকে তাদের মনিটরিং করার ব্যবস্থা করা হবে। তাদের মত যাতে অন্যরাও স্বেচ্ছায় ফিরে আসেন সে প্রচেষ্টাই করা হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর