থাইল্যান্ডে বিদ্যমান গর্ভপাতবিরোধী আইনগুলোকে অসাংবিধানিক বলে সেগুলো সংশোধনের নির্দেশ দিয়েছেন দেশটির সাংবিধানিক আদালত। দেশটিতে জন্মদান সম্পর্কিত অধিকার প্রতিষ্ঠায় এই নির্দেশকে বড় অগ্রগতি হিসেবে বিবেচনা করা হচ্ছে। এ খবর দিয়েছে বার্তা সংস্থা রয়টার্স।
খবরে বলা হয়, থাইল্যান্ডে ইচ্ছাধীন গর্ভপাত নিষিদ্ধ। তবে সন্তান জন্মদানে মায়ের মানসিক ও শারীরিক স্বাস্থ্য ঝুঁকির মধ্যে থাকলে, ভ্রুণটি মধ্যে বংশগত রোগে আক্রান্ত হওয়ার উচ্চ ঝুঁকিতে থাকলে, ধর্ষণের ফলে গর্ভবতী হলে বা প্রসূতির বয়স ১৫ বছরের কম হলে গর্ভপাতের অনুমোদন রয়েছে।
কিন্তু, অন্য একটি আইনে, গর্ভপাত করেছেন এমন কোনো নারীর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করার সুযোগ রয়েছে। এতে অভিযুক্ত নারীকে দোষী সাব্যস্ত হলে সর্বোচ্চ তিন বছরের কারাদণ্ড দেয়ার ও ১৯১ ডলারের বেশি জরিমানা করার নিয়ম রয়েছে। থাইল্যান্ডের শীর্ষ আদালত, বৃহস্পতিবার এই আইনের তীব্র সমালোচনা করেছেন। আদালত বলেন, এই আইন সংবিধান পরিপন্থী। এ সময় আদালত, সংবিধানে নারী-পুরুষের সমান অধিকার নিশ্চিত সম্পর্কিত ধারার উদাহরণ টানেন।
বলেন, স্বাধীনতা ও জীবনের ব্যাপারেও নারী-পুরুষের সমান অধিকার রয়েছে।
আদালত এক নির্দেশনায় গর্ভপাতবিরোধী আইন সংশোধন নিয়ে বলেন, অপরাধ আইনের সেকশন ৩০১ ও ৩০৫ ধারায় বর্তমান পরিস্থিতির সঙ্গে মিলিয়ে সংশোধন আনতে হবে। এই সংশোধনের জন্য সরকারকে ৩৬০ দিন সময় দিয়েছে আদালত।
জাতিসংঘের জনসংখ্যা তহবিল অনুসারে, ২০১৮ সালে থাইল্যান্ডে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি ১০০০ কিশোরী ও তরুণীর মধ্যে ৩৫ জন অনাকাক্সিক্ষত গর্ভধারণের কথা জানিয়েছে। ২০২৬ সালের মধ্যে এ হার হাজারে ২৬ জনে নামিয়ে আনার লক্ষ্য নির্ধারণ করেছে সরকার।