এপ্রিলে তৃতীয় দফার পাকিস্তান সফরে ছুটি চেয়েছেন মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। লাল বলে আপাতত বিবেচনায় না থাকা এই অলরাউন্ডারকে এপ্রিলের পাকিস্তান সফরে কেবল একটি ওয়ানডে খেলতেই যেতে হবে, যদিও সফরে আছে একটি টেস্ট ম্যাচও। সবেধন নীলমণি ওই ওয়ানডেতে নিজেকে বিবেচনা না করার জন্য বিসিবিকে অনুরোধ করেছেন মাহমুদুল্লাহ।
মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের নেতৃত্বে প্রথম দফায় পাকিস্তান সফরে করে বাংলাদেশ। ওই সফরে তিন ম্যাচের টি-টোয়েন্টি সিরিজে হোয়াইট ওয়াশ হয়ে দেশে ফিরে বাংলাদেশ। মুমিনুল হকের নেতৃত্বে দ্বিতীয় দফায় একটি টেস্ট খেলতে পাকিস্তান যায় বাংলাদেশ। ওই সফরেও দলে ছিলেন মাহমুদুল্লাহ। টেস্টে ফলাফলও বাংলাদেশের অনুকুলে আসেনি। ইনিংস ব্যবধানে হেরেই দেশে ফিরেছে টাইগাররা।
এপ্রিলে তৃতীয় দফায় পাকিস্তান সফর করবে বাংলাদেশ দল।
৩ এপ্রিল করাচিতে অনুষ্ঠিতব্য একমাত্র ওয়ানডে ম্যাচটির সময়টাতেই সন্তান প্রসবের সম্ভাবনা রয়েছে মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের স্ত্রীর। সন্তান সম্ভাবা স্ত্রীর পাশে থাকতেই রিয়াদের ছুটির আবেদন। তবে লিখিত আবেদনের পর বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে ছুটি মঞ্জুর হবে কি হবেনা। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের সাথে সস্প্রতি বৈঠকের পর প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদিন নান্নু ‘ক্রিকবাজকে’ বলেন, ‘মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের স্ত্রীর ঠিক ওই সময়টাতে ডেলিভারির কথা রয়েছে, আর রিয়াদও চাইছেন তখন স্ত্রীর পাশে থাকতে।’
‘সে আমাদের মৌখিকভাবে জানিয়েছে তবে যদি আসলেই ওই সময়টায় তার পক্ষে থাকা সম্ভব না হয় অবশ্যই লিখিতভাবে বোর্ডে আবেদন করতে হবে। লিখিত আবেদনের পরই বোর্ড সিদ্ধান্ত নিবে ছুটি মঞ্জুর করবে কিনা।’
মুশফিকুর রহিমের পাকিস্তান সফর থেকে নাম সরিয়ে নেওয়া বেশ বিরক্তির চোখে দেখেছেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। গণমাধ্যমের মুখোমুখি হয়ে বলেই দিয়েছেন এরকম ছুটি নিতে হলে অন্তত ৬ মাস আগে জানাতে হবে বোর্ডকে। মাহমুদুল্লাহর আগে বোর্ডের কাছ থেকে এমন ছুটি নিয়েছেন সাকিব আল হাসান, তামিম ইকবাল ও সবেশেষ নিরাপত্তা ইস্যুতে মুশফিকুর রহিম। এখন দেখার বিষয় রিয়াদের ক্ষেত্রে কি অন্যদের মত পাশে থাকে বোর্ড, নাকি বোর্ড সভাপতি কঠোর হওয়ার নজির গড়েন তাকে দিয়েই।