× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ধামরাইয়ে বিয়ে করতে এসে বরযাত্রী আটক

বাংলারজমিন

ধামরাই (ঢাকা) প্রতিনিধি
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

ব্যাপক ধুমধাম করে চলছে এক কলেজছাত্রীর বিয়ে। প্রায় ৫ শতাধিক লোকের আয়োজন। সকলের খাওয়া-দাওয়া শেষ। বরযাত্রীদের ব্যাপক আদর করে খাইয়ে কনের পবিরারের লোকজন ৫ লাখ টাকা কাবিন করাও হয়েছে। বরের মুখে মুচকি হাসি। বউ নিয়ে যাবে নিজের বাড়ি। খুশিতে তার পক্ষ থেকে বিয়ের কনেকে দেয়া হয় বিভিন্ন প্রকার স্বর্ণের গহনা। গহনার মধ্যে কনের মাথার টায়রা নকল স্বর্ণ দেয়া হয়েছে এমন খবর ছড়িয়ে পড়ে পুরো বিয়ে বাড়িতে।
এ নিয়ে ব্যাপক গোলমাল বেজে যায় বর ও কনে পরিবারের মাঝে। ক্ষীপ্ত হয়ে কনের খালু আরফান হোসেন বরযাত্রীদের চিটার বলে আটকিয়ে রাখার নির্দেশ দেন এবং ৯ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেন। এভাবে প্রায় ৬ ঘণ্টা আটক থাকার পর নগদ ১ লাখ টাকা আর সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণ দিয়ে বিয়ে ছাড়াই কোনোভাবে প্রাণে বাঁচেন বরযাত্রীরা। ঘটনাটি ঘটেছে বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ১০টার দিকে ধামরাইয়ের কুশুরা ইউনিয়নের পাড়াগ্রাম এলাকায়। জানা গেছে, ধামরাইয়ের পাড়াগ্রামে বিয়ে করতে বরযাত্রী নিয়ে আসেন আশুলিয়া ইয়াপুর গ্রামের শুকুর আলীর ছেলে শাকিল হোসেন। ব্যাপক আনন্দ উৎসব আর স্ফুর্তি চলছিল তাদের মাঝে ও বরও নতুন বউ পাওয়ার আশায় মুচকি মুচকি হাসছেন। সন্ধ্যা ঘনিয়ে আসতেই কপাল পুড়ে যায় বরের। তার দেয়া কনের মাথার টায়রা রুপার যা স্বর্ণের পানির প্রলেপ দিয়ে স্বর্ণের কালার করা হয়েছে। বিষয়টি কনে পক্ষের কাছে ধরা পড়লে ক্ষীপ্ত হয়ে ওঠে তারা এবং বিয়ে বন্ধ হয়ে যায়। আর আটক করা হয় বরযাত্রীদের। ৬ ঘণ্টা আটক থাকার পর নগদ এক লাখ টাকা আর সাড়ে তিন ভরি স্বর্ণ রাখার পর মিলে তাদের মুক্তি। এ ঘটনা প্রকাশ পেলে শুক্রবার সকাল থেকে আলোচনার ঝড় বয়ে যায় পাড়াজুড়ে। বরযাত্রী আবদুর রহমান জানান, বরযাত্রী নিয়ে বিয়ে করতে গিয়ে কনের পরিবারের লোকজনের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছিলাম। টানা ৬ ঘণ্টা আটক থাকার পর অনেক কষ্টের বিনিময়ে স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা দিয়ে মুক্তি পেয়েছি। তিনি পুরো দোষটাই কনের খালু আরফানকে দায়ী করছেন। কনের খালু আরফান জানান, বরের লোকজন প্রতারক। তারা আসল স্বর্ণের পরিবর্তে দিয়েছে নকল স্বর্ণ তাই আমরা বিয়ে বন্ধ করে দিয়েছি। তিনি স্বর্ণ ও নগদ এক লাখ টাকা নেয়ার কথা স্বীকার করেছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর