সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুরে ইয়াবা ও ফেনসিডিল আসক্তদের নতুন নেশা এখন ‘রংবাজ’। টাপেন্টাডল সিরাপ ও সিনামিন ট্যাবলেট মিশিয়ে তৈরি করা হচ্ছে এই নতুন নেশা ‘রংবাজ’। খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডাক্তারের প্রেসক্রিপশন ছাড়া বিক্রয় নিষিদ্ধ থাকলেও শাহজাদপুরের বিভিন্ন ওষুধের দোকানে হামেশাই বিক্রি হচ্ছে টাপেন্টাডল সিরাপ ও সিনামিন ট্যাবলেট। অধিক লাভের আশায় এক শ্রেণির ওষুধ ব্যবসায়ীরা উঠতি বয়সের যুবকদের কাছে এই ওষুধ বিক্রি করছে। অনেকে দোকানিরা আবার নিজেরাই টাপেন্টাডল ও সিনামিন ট্যাবলেট মিশিয়ে বোতলে করে বিক্রি করছে। সর্বসাকুল্যে খরচ মাত্র ৬০ টাকা হলেও এটি বিক্রি করছে ৪শ’ থেকে ৫শ’ টাকায়। সেবনকারীদের ভাষ্য ওষুধের এই মিশ্রণ সেবন করলে ফেনসিডিল-ইয়াবার চেয়ে বেশি নেশা হয়। তাই এতে আসক্তের সংখ্যাও বেশি। যার বেশিরভাগই স্কুল-কলেজ পড়ুয়ারা।
ওষুধ ব্যবসায়ীরা জানান, উল্লাপাড়া থেকে এক দল তরুণ সন্ধ্যার পরে শাহজাদপুর এসে এই সিরাপ নিয়ে যায়। যার সংকেত নাম দেয়া হয়েছে ‘রংবাজ’। লাভের পরিমাণ বেশি হওয়ায় সামনে না বল্লেও গোপনে সকলেই এই মিশ্রণ বিক্রি করছে। ওষুধ প্রশাসন সিরাজগঞ্জ সহকারী পরিচালক শেখ আহ্সান উল্লাহ্ জানান, এ ধরনের মিশ্রণ শাহজাদপুরের কিছু দোকানে বিক্রির খবর পেয়ে র্যাবের সহায়তায় গত মঙ্গলবার আমরা মনিরামপুর বাজারের ৩টি দোকানে অভিযান চালিয়ে বিপুল পরিমাণ টাপেন্টাডল ও সিনামিন উদ্ধার করা হয়।
ইতিমধ্যেই হাসি মেডিকেল হলের মালিক মোস্তাফিজুর রহমান, রশনি ড্রাগ হাউজের আতিকুল্লাহ ও মারুফ মেডিকেল হলের আবদুল কুদ্দুসসহ ৩ জনের বিরুদ্ধে মামলা করা হয়েছে। এখনো যারা এর সঙ্গে জড়িত আছে তাদের বিরুদ্ধে কঠোর ব্যবস্থা নেয়া হবে।