× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

গোলটেবিল বৈঠকে বক্তারা /এসডিজি অর্জনে বড় চ্যালেঞ্জ পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাবার প্রাপ্তি

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনে পুষ্টি সমৃদ্ধ ও নিরাপদ খাবার প্রাপ্তি বাংলাদেশের সামনে এখনও বড় চ্যালেঞ্জ। কারণ, দেশে মাথাপিছু আয়সহ অন্যান্য ক্ষেত্রে আশাব্যঞ্জক অগ্রগতি হলেও মানুষের পুষ্টি পূরণে কাঙ্ক্ষিত অগ্রগতি অর্জিত হয় নি। দেশে এখনও পাঁচ বছরের কম বয়সী ৩১ শতাংশ শিশু খর্বকায়, ২২ শতাংশ পাঁচ বছরের কম বয়সী শিশুর ওজন স্বল্পতা রয়েছে (সূত্র: বাংলাদেশ জনমিতি  ও স্বাস্থ্য জরিপ ২০১৭-১৮)। গত ২০শে ফেব্রুয়ারি রাজধানীর কাওরানবাজারের সিএ ভবনে আয়োজিত ‘টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা: খাদ্য ও পুষ্টি প্রতিশ্রুতি’ শীর্ষক এক গোলটেবিল আলোচনায় এ তথ্য উঠে আসে।

সুইজারল্যান্ডভিত্তিক আন্তর্জাতিক সংস্থা-গ্লোবাল অ্যালায়েন্স ফর ইমফ্রুভড নিউট্রিশন (জিএআইএন) এই সহযোগিতায় আয়োজিত এই অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন, শ্রম ও কর্মসংস্থান মন্ত্রণালয় সংক্রান্ত সংসদীয় স্থায়ী কমিটির সভাপতি মো. মুজিবুল হক এমপি।দেশে খাদ্য ব্যবস্থার জন্য বাস্তবসম্মত ও উদ্ভাবনী উপায় অনুসন্ধান করার পাশাপাশি ভবিষ্যতে টেকসই উন্নয়ন  লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি-২) পূরণে পুষ্টিকর ও নিরাপদ খাবার নিশ্চিতে ভবিষ্যত করণীয় ও সুপারিশসমূহ তুলে ধরতে এই গোলটেবিল বৈঠকের আয়োজন করা হয়। বক্তারা আরো বলেন, নগরীর বস্তি এলাকা, পার্বত্য চট্টগ্রামের জনগোষ্ঠী ও পোশাক শিল্পে কর্মরত নারীদের পুষ্টি পরিস্থিতি আরও খারাপ। এই অপুষ্টি শুধু দেশের বিপুল জনগোষ্ঠীর শারীরিক অসুস্থতা ও রোগজনিত সমস্যা বাড়ায় না, বরং কর্মক্ষমতাও অনেকাংশে হ্রাস করে। যে কারণে বাংলাদেশের বাৎসরিক সাত হাজার কোটি টাকারও বেশি অর্থনৈতিকভাবে ক্ষতি হচ্ছে।  

প্রধান অতিথির বক্তব্যে মো. মুজিবুল হক এমপি বলেন, বাংলাদেশ এখন যেভাবে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে ২০৩০ সালের মধ্যে আমরা অবশ্যই এসডিজির লক্ষ্যমাত্রা অর্জনে সক্ষম হবো।
আশা করছি, সামগ্রিকভাবে আমরা পুষ্টি পরিস্থিতিরও উন্নয়ন ঘটাতে সক্ষম হবো। এতে উপস্থাপনায় বলা হয়, বিশেষত: নগরে- দারিদ্র্য ও ঘনবসতি, পার্বত্য চট্টগ্রামে- দুর্গম এলাকা, খাদ্য ঘাটতি, ফসলী জমির অভাব, বিভিন্ন সম্প্রদায়ের সাংস্কৃতিক পার্থক্যের কারণে খাদ্যাভাসে পরিবর্তন  এবং পোশাক শিল্পে- নারীদের কঠোর পরিশ্রম ও  অসচেতনতার কারণে পুষ্টি পরিস্থিতির তেমন কোন উন্নত হয়নি। 

গেইন (জিএআইএন)-এর নির্বাহী পরিচালক লরেন্স হাদ্দাদ এর সঞ্চালনায় বৈঠকে অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন, ঢাকাস্থ নেদ্যারল্যান্ডের রাষ্ট্রদূত হ্যারি ভারউয়ে, পরিকল্পনা কমিশনের সদস্য (সচিব) জাকির হোসেন আকন্দ, কৃষি মন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব রুহুল আমিন তালুকদার, খাদ্য মন্ত্রণালয়ের ফুড় প্ল্যানিং ও মনিটরিং ইউনিট-এর মহাপরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) বদরুল আরেফিন, বাংলদেশ জাতীয় পুষ্টি পরিষদের মহাপরিচালক শাহ নেওয়াজ, গেইন এর নির্বাহী পরিচালক ডা.রুদাবা খন্দকার, একই সংস্থার পোর্টফোলিও লিড মনিরুজ্জামান বিপুল প্রমূখ।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর