× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাংলাদেশ-জিম্বাবুয়ে টেস্ট শুরু আজ /‘কথা দিলাম, বড় ইনিংস দেখতে পাবেন’

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২২ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

‘বাংলাদেশ তো এর আগেও টেস্ট খেলেছে, এত বাজে ব্যাটিং তো দেখিনি’- পাকিস্তান সফরে মুমিনুলদের ব্যর্থতার পর আক্ষেপ নিয়ে এমন মন্তব্য করেন বিসিবি সভাপতি নাজমুল হাসান পাপন। টাইগারদের শেষ ৫ টেস্টের ব্যাটিংটা সত্যিই বাজে ছিল। কোনো সেঞ্চুরি নেই। হাতেগোনা কয়েকটি হাফসেঞ্চুরি। তবে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে আজ শুরু হতে যাওয়া মিরপুর টেস্টে ভালো ব্যাটিংয়ে প্রতিশ্রুতি দিলেন টাইগার অধিনায়ক মুমিনুল হক। ১০০, ২০০ এমনকি ট্রিপল সেঞ্চুরিরও আশা দেখালেন তিনি। গতকাল সংবাদ সম্মেলনে এসে মুমিনুল বলেন, ‘কথা দিলাম, খুব শিগগিরই বড় ইনিংস দেখতে পাবেন।’
দলের খারাপ সময়ের চক্রে পড়েছেন মুমিনুলও। ৩৯ টেস্টে ৮ সেঞ্চুরি হাঁকানো মুমিনুল গত কয়েকটি ম্যাচে বড় ইনিংস খেলতে পারেননি।
বাংলাদেশের ‘লিটল মাস্টার’ সবশেষ সেঞ্চুরি হাঁকান ২০১৮তে চট্টগ্রামে ওয়েস্ট ইন্ডিজের বিপক্ষে। এরপর ১৪ ইনিংসে কেবল একটি ফিফটির দেখা পেয়েছেন। অধিনায়ক হওয়ার পর ৬ ইনিংসে দু’বার ০ রানে আউট হয়েছেন । সর্বোচ্চ ৪১। এবার কি ফর্ম ফিরে পাবেন? ২০১৮তে ঢাকা টেস্টে ১৬১ রানের ইনিংস খেলা এ বাঁহাতি বলেন, ‘আমি পুরো দলের কথাই বলছি, আমার কথা বলছি না। সংবাদ সম্মেলনে কখনও নিজের কথা বলি না, দলের কথাই বলি। আমি কথা দিলাম, আমাদের দল হতে বড় একটা একশ...একশ না, দুইশ-তিনশও হতে পারে। চাইলে বড়ই চাইবো। মানে বড় ইনিংস দেখতে পাবেন। যেকোনো একজন খেলবে ইনশা আল্লাহ্‌।’
সবমিলিয়ে টেস্টে বাংলাদেশের সবশেষ সেঞ্চুরিটা প্রায় বছর খানেক আগে। গত বছরের ফেব্রুয়ারিতে নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে হ্যামিল্টন টেস্টে সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম ইকবাল, সৌম্য সরকার ও মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ। পরের পাঁচ টেস্টের দশ ইনিংসে ব্যাট করেও কোনো সেঞ্চুরি পায়নি বাংলাদেশ দল। ফিফটিই হয়েছে সাকুল্যে ছয়টি। সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত ইনিংস ৭৪। ভারত সফরের দুই ম্যাচে ৭৪ ও ৬৪ রানের ইনিংস খেলেন মুশফিকুর রহীম। নিউজিল্যান্ডের বিপক্ষে ওয়েলিংটনে তামিম ইকবাল ৭৪, মাহমুদুল্লাহ রিয়াদ ৬৭, আফগানিস্তানের বিপক্ষে ঘরের মাঠে মুমিনুল হক ৫২ এবং সবশেষ রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে মোহাম্মদ মিঠুনের ব্যাট থেকে আসে ৬৩ রান।
ঘরোয়া লীগে কিন্তু নিয়মিতই রান পাচ্ছেন বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানরা। জাতীয় পাকিস্তান সফরে যাওয়ার আগে জাতীয় লীগে ট্রিপল সেঞ্চুরি হাঁকান তামিম ইকবাল (৩৩৪*)। অধিনায়ক মুমিনুল হক খেলেন ১১১ রানের ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ রিয়াদের ব্যাট থেকে আসে ১০০*। এরপর তামিম রাওয়ালপিন্ডি টেস্টে দুই ইনিংস মিলিয়ে সংগ্রহ করেন ৩৭ রান (৩, ২৪)। মুমিনুলের ব্যাট থেকে আসে ৩০ ও ৪১ রানের ইনিংস। মাহমুদুল্লাহ আউট হন যথাক্রমে ২৫ ও  ০ রানে। দেশে ফেরার পর জাতীয় দলের প্রধান নির্বাচক মিনহাজুল আবেদীন নান্নু ক্রিকেটারদের টেস্ট মানসিকতা নিয়ে প্রশ্ন তুলেন। সেঞ্চুরিখরা নিয়ে মুমিনুল গতকাল বলেন, কোনো সেঞ্চুরি না থাকলে একটু নিচের দিকেই থাকবে যে কোনো দল। কিন্তু আমার কাছে মনে হয় যে, আমাদের এখন একটা খারাপ সময় যাচ্ছে। দল হিসেবে আমরা হয়তো খারাপ সময়ের মধ্যে ছিলাম। আমরা এটা কাটিয়ে উঠতে কাজ করছি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর