× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলোচনা সভায় বক্তারা / গুজব বন্ধ করতে হলে সত্য প্রকাশ করতে হবে

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

রাজধানীতে আয়োজিত ‘উগ্রবাদ রোধে গণমাধ্যমের ভূমিকা’-শীর্ষক আলোচনা সভায় বক্তারা বলেছেন, গুজব বন্ধ করতে হলে সত্য প্রকাশ করতে হবে। সত্য প্রকাশে বাধা দেয়া যাবে না। সত্য প্রকাশে বাধা আসলেই গুজব ডালপালা মেলে। গতকাল জাতীয় প্রেস ক্লাবে সেন্টার ফর সোশ্যাল অ্যাডভোকেসি অ্যান্ড রিসার্চ ফাউন্ডেশন (সিসা) আলোচনা সভার আয়োজন করে। আলোচনা সভায় একাত্তর টিভির সিইও মোজাম্মেল বাবু বলেন, বাংলাদেশে ২০টির বেশি টেলিভিশনের দরকার নাই। কিন্তু সরকার লাইসেন্স দিয়েছে ৪০টি। এতে সমস্যা দেখা দিচ্ছে। এভাবে আমাদের শক্তি কমিয়ে ফেলা হচ্ছে।
মূলধারার মিডিয়ায় ছাঁটাই চলছে। আবার সরকারের কাজ মিডিয়ার টুঁটি চেপে ধরা নয়, কিন্তু সত্য প্রচারেরও টুঁটি চেপে ধরা হয়। একটি নিউজ অন এয়ার করা হলে স্টাবলিশার থেকে বলা হচ্ছে, থামান। লাইনে লাইনে সংশোধন করতে হচ্ছে। আমাদের ওপর আস্থা নেই। কিন্তু আপনি কিছু না দেখালে গুজব আরও বেশি ছড়াবে। তিনি আরও বলেন, নির্বাচনের সময় কেউ কি বলতে পারবো কোথাও ত্রুটি-বিচ্যুতি হয়নি? একটা ঘটনা ঘটলেই হলো। আমাদের নিউজ বন্ধ করতে বলা হচ্ছে। কেন্দ্রে বিএনপি বা সরকারি দলের প্রতিপক্ষের এজেন্ট নেই, এটা লাইভ দেখাতে নিষেধ করা হলো, দেখানো যাবে না। কিন্তু আমরা যদি ওই এজেন্টকে খুঁজে বের করে দেখাই যে, সে বাসা থেকে বের হয়নি, কেন্দ্রে আসবে কীভাবে? এতে কি স্টাবলিশার লাভবান হতো না? আজ আইপি-টিভি নিয়ন্ত্রণে নাই। অথচ আমাদের জবাবদিহি করতে হচ্ছে।
পুলিশের কাউন্টার টেররিজম ও ট্রান্সন্যাশনাল ক্রাইম (সিটিটিসি) ইউনিট প্রধান মো. মনিরুল ইসলাম বলেন, গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্স অনুযায়ী, যুক্তরাষ্ট্র-যুক্তরাজ্য অনেক ঝুঁকির দিকে আছে। কিন্তু বাংলাদেশের অবস্থা উন্নতির দিকে। ২০১৭ সালের গ্লোবাল টেররিজম ইনডেক্সে বাংলাদেশ বৈশ্বিক ঝুঁকির তালিকায় ১৯ নম্বরে ছিল, ২০১৮ সালে কমে ২৫ নম্বরে আসে এবং ২০১৯ সালে বাংলাদেশ ৩১ ধাপে উন্নীত হয়েছে। ভারত-পাকিস্তান এই ঝুঁকির তালিকায় ১০-এর ভেতরে রয়েছে। পশ্চিমা অনেক দেশের চেয়ে আমাদের ঝুঁকি কম। তিনি বলেন, বাংলাদেশে সহিংস উগ্রবাদ দমনে সুনির্দিষ্ট জাতীয় কোনও স্ট্রাটেজি নেই। এটা করতে সময় লাগে। তবে আমরা কাউন্টার ভায়োলেন্স এক্সট্রিমিজম (সিভিই) করতে যাচ্ছি। দু’ভাবে আমরা কাজটা করছি, প্রথমত জেনারেল অ্যাপ্রোচ এবং দ্বিতীয়ত ভালনারেবল অ্যাপ্রোচ। সেজন্য আমরা বিভিন্ন স্টেকহোল্ডারের সঙ্গে কথা বলছি। ১৫-৩০ বছরের ছেলেরা সবচেয়ে বেশি উগ্রবাদে জড়াচ্ছে। এসব ভালনারেবল গ্রুপকে মোটিভেট করতে তরুণ নেতৃত্বের সঙ্গে আলোচনা করছি। একই সঙ্গে আলেম-ওলামাদের সঙ্গে প্রতিনিয়ত আলোচনা করছি।
জিটিভি ও সারাবাংলা ডটনেটের প্রধান সম্পাদক সৈয়দ ইশতিয়াক রেজা বলেন, কোথাও জঙ্গি আটক বা গেপ্তার হলে পুলিশের পক্ষ থেকে বলা হচ্ছে জেহাদি বইসহ যোদ্ধা আটক হয়েছে। কিন্তু এই ধরনের শব্দ ব্যবহার করলে জঙ্গিবাদকে এক ধরনের উদ্বুদ্ধ করা হয়। তিনি আরও বলেন, সবাই রেসপনসিবল জার্নালিজম করতে বলেন, কিন্তু গুড ডেমোক্রেসির কথা বলেন না। গুড ডেমোক্রেসি না হলে গুড জার্নালিজম হবে না।
সিনিয়র সাংবাদিক মঞ্জুরুল আহসান বুলবুল বলেন, বাংলাদেশের মূলধারার মিডিয়াগুলো এখন আর ধর্ষণের শিকার নারীর ছবি প্রচার করে না। অনেক ক্ষেত্রে পরিচয় ছাপা হয় না। এক্ষেত্রে অনেক পরিবর্তন এসেছে।
মাছরাঙ্গা টিভির হেড অব নিউজ রেজওয়ানুল হক রাজা বলেন, হলি আর্টিজানের সময় নিবরাজদের ৫ জনের হাসির ছবি অনেক মিডিয়ায় ছাপা হয়েছে। সেটা ছাপা ঠিক হয়নি। একজন বক্তা মাওলানা দেলাওয়ার হোসেইন সাঈদীর সুনাম ও নারী নেতৃত্ব বিরোধী কথা বলে দ্রুত জনপ্রিয়তা পেলেন। এটা নিয়ে আপনাদের কাজ করতে হবে।
এটিএন বাংলার হেড অব নিউজ জ ই মামুন বলেন, জঙ্গিবাদ দমনে সরাসরি রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের ভূমিকা বাড়াতে হবে। পুলিশকে স্বাধীনভাবে কাজ করতে দিতে হবে। ২০১৫ সালের প্যারিস হামলার পর এক থেকে দেড় কিলোমিটারের মধ্যে পুলিশ কাউকে এমনকি এমপি-মন্ত্রী-রাষ্ট্রপতিকেও ঢুকতে দেয়নি। আমাদেরও এই বিষয়গুলো খেয়াল রাখতে হবে।
এনটিভির বার্তা প্রধান জহিরুল আলম বলেন, মিডিয়ার নিজেদের পক্ষ থেকে বেশি কিছু করার থাকে না। কারণ আমরা নানা সংকটে থাকি। সিটিটিসি যদি মিডিয়ার জন্য গাইডলাইন তৈরি করে, তাহলে ভালো হতো। তিনি আরও বলেন, কোটা সংস্কারের দাবিতে আন্দোলনে একটি সহিংস ঘটনার কথা মনে আছে। যেটা মূল ধারার মিডিয়ায় না এলেও সোশ্যাল মিডিয়ায় কিন্তু ছড়িয়ে পড়ে।
ডিবিসি নিউজের সিইও মঞ্জুরুল ইসলাম বলেন, রাষ্ট্রের সঙ্গে গণমাধ্যমের স্থায়ী বোঝাপড়া থাকবে। জঙ্গিবাদ গবেষণা রাষ্ট্রীয় গবেষণার চেয়ে অগ্রগামী, সেভাবেই তারা সামনে এগিয়ে যায়।
একুশে টিভির মোস্তফা মহসীন আব্বাস বলেন, আমরা কোনো টেররকে হিরো বানাবো না। আমাদের বেসরকারি টেলিভিশন শিল্পের বয়স মাত্র ২০ বছর। এটা খুবই কম সময়। আমাদের এই শিল্পের নীতি নির্ধারণ নিয়ে এখনো পরীক্ষা-নিরীক্ষা চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর