× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

সিলেটে ভাষাসৈনিক প্রফেসর আজিজ ও অধ্যক্ষ মাসউদকে কেমুসাসের সম্মাননা

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, সিলেট থেকে
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

 ভাষা আন্দোলনের সূতিকাগার কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ মহান শহীদ দিবস ও আন্তর্জাতিক মাতৃভাষা দিবস উপলক্ষে প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক শিক্ষাবিদ প্রফেসর মো. আবদুল আজিজ ও প্রখ্যাত ভাষাসৈনিক অধ্যক্ষ মাসউদ খান-কে কেমুসাস ভাষাসৈনিক সম্মাননা-২০২০ প্রদান করেছে। কেমুসাসের সাবেক সভাপতি কবি রাগিব হোসেন চৌধুরীর সভাপতিত্বে কেমুসাস ভাষাসৈনিক সম্মাননা-২০২০ প্রদান অনুষ্ঠানে বক্তারা এই উভয় ভাষাসৈনিককে একুশে পদকে  ভূষিত করার জোর দাবি জানান। এ সময় সম্মানিত অতিথি হিসেবে বক্তব্য রাখেন কবি শুভেন্দু ইমাম। সভায় অন্যান্যের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কেমুসাসর সহসভাপতি লে. কর্নেল (অব.) সৈয়দ আলী আহমদ, কেমুসাসের সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, বীর মুক্তিযোদ্ধা এডভোকেট মুজিবুর রহমান চৌধুরী, সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী। বইমেলা উপকমিটির সদস্যসচিব নাজমুল হক নাজুর সঞ্চালনায় স্বাগত বক্তব্যে ভাষাসৈনিকদের সংক্ষিপ্ত জীবনী তুলে ধরেন কেমুসাসের সহসভাপতি গল্পকার সেলিম আউয়াল। সভায় অনুভূতি ব্যক্তকালে অধ্যক্ষ মাসউদ খান বলেন, মাতৃভাষা একটি জাতির মেধাবিকাশ ও বুদ্ধিবিকাশের একমাত্র মাধ্যম। মাতৃভাষার সাথে প্রতিটি মানুষের জীবনের সম্পর্ক রয়েছে। তাই মাতৃভাষার জন্য আমরা জীবন বাজি রেখেছি।
সভায় অনুভূতি ব্যক্তকালে প্রফেসর মো. আবদুল আজিজ বলেন, আজকাল অনেক ভুয়া ভাষাসৈনিক তৈরি হয়েছেন। যারা ভাষা আন্দোলনের সঙ্গে কোনোভাবেই জড়িত নন। তাই আপনারা সজাগ দৃষ্টি রাখবেন যাতে ভুয়া ভাষাসৈনিকের কারণে প্রকৃত ভাষাসৈনিকেরা আড়াল না হন। সম্মানিত অতিথির বক্তব্যে কবি শুভেন্দু ইমাম বলেন, প্রফেসর মো. আবদুল আজিজ ও অধ্যক্ষ মাসউদ খান এই দু’জনই ভাষার জন্য সংগ্রাম করেছেন। তাদেরকে সম্মাননা প্রদানের এই অনুষ্ঠান তাৎপর্যপূর্ণ ও মনোমুগ্ধকর। উল্লেখ্য, কেন্দ্রীয় মুসলিম সাহিত্য সংসদ প্রাঙ্গণে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির সাংগঠণিক সম্পাদক শফিউল আলম নাদেল জাতীয় পতাকা উত্তোলনের মাধ্যমে মহান একুশে ফেব্রুয়ারি উপলক্ষে কেমুসাসের কার্যক্রম উদ্বোধন করেন। পরে কেমুসাসের পক্ষে ভাষাশহীদদের স্মরণে সিলেট কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে পুষ্পস্তবক অর্পণ করা হয়। এ সময় কেমুসাস নেতৃবৃন্দের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন সাধারণ সম্পাদক দেওয়ান এ এইচ মাহমুদ রাজা চৌধুরী, সাবেক সভাপতি হারুনুজ্জামান চৌধুরী, সহ-সভাপতি মো. বশিরুদ্দিন, সহ-সভাপতি সেলিম আউয়াল, সহ-সাধারণ সম্পাদক সাবিনা আনোয়ার, বইমেলা উপকমিটির সদস্যসচিব নাজমুল হক নাজু, পাঠাগার সম্পাদক আহমদ মাহবুব ফেরদৌস, কার্যকরী কমিটির সদস্য এডভোকেট আবদুস সাদেক লিপন ও সৈয়দ মো. তাহের প্রমুখ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর