× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আন্ডারওয়ার্ল্ডের হাল ধরতেই ঢাকায় আসে শাকিল

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৩ ফেব্রুয়ারি ২০২০, রবিবার

ক্যাসোনি বিরোধী বিশেষ অভিযানের সময় শীর্ষ সন্ত্রাসী ও তাদের পৃষ্টপোষকরা গ্রেপ্তার হওয়ায় শূন্যতা বিরাজ করছিলো আন্ডারওয়ার্ল্ডে। সেই শূন্যতা পূরণ করতেই শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের অন্যতম সহযোগী মাজহারুল ইসলাম শাকিল দুবাই থেকে ঢাকায় আসে। দেশে আসার পর কোনো মায়ের বুক খালি করাই ছিল তার পরিকল্পনা। কিন্তু র‌্যাবের কাছে আটকের পর তার সেই পরিকল্পনা ভেস্তে গেছে। গতকাল কাওরান বাজারের র‌্যাব মিডিয়া সেন্টারে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা জানান র‌্যাবের গণমাধ্যম শাখার পরিচালক লে. কর্ণেল সারোয়ার বিন কাশেম। এর আগে, গতকাল ভোর ৫টা ১০ মিনিটে রাজধানীর মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড থেকে শীর্ষ সন্ত্রাসী শাকিলকে আটক করে র‌্যাব। এসময় তার কাছ থেকে ২টি বিদেশি পিস্তল ও ২টি ম্যাগজিন ও ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়।
সারোয়ার বলেন, শাকিল চলতি বছরের জানুয়ারিতে দুবাই থেকে বাংলাদেশে আসে।
তার দেশে আসার উদ্দেশ্য ছিল শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের নির্দেশ ও সহযোগিতায় বাংলাদেশে তার সন্ত্রাসী কার্যক্রম নতুন করে প্রতিষ্ঠা করা, ঢাকার আন্ডারওয়ার্ল্ডের নেতৃত্ব নেয়া। দেশে ফিরে শাকিল রাজধানীর একটি সরকারি হাসপাতালে ভর্তি হয়। ভর্তির উদ্দেশ্য ছিল হাসপাতালে কোনো অনাকাঙ্খিত ঘটনা ঘটিয়ে জনমনে আতঙ্ক ছড়িয়ে দেয়া। তিনি বলেন, গতকাল ভোর পাঁচটার দিকে মোহাম্মদপুর বাসস্ট্যান্ড এলাকা থেকে শাকিলকে আটক করা হয়। শাকিল একটি সিএনজিতে করে যাচ্ছিল। চেকপোস্ট বসিয়ে সন্দেহভাজন ব্যক্তি হিসেবে তাকে তল্লাশি করা হয়। এসময় তার কাছ থেকে দুটি বিদেশি পিস্তল, দুটি ম্যাগজিন ৬ রাউন্ড গুলি উদ্ধার করা হয়। পরবর্তীতে দেখা যায় সে শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসানের সহযোগী শাকিল। ২০১৬ সালের জুন মাসে ঢাকা মহানগর দক্ষিণ যুবলীগের সহ-সম্পাদক রাজীব হত্যার এজাহারে নাম আসার চারদিন পরে সে চীনে চলে যায়। ২০১৭ সাল পর্যন্ত সে চীনে বসবাস করে এবং কার্গো সার্ভিসে কাজ করে। ২০১৮ সালে চীন থেকে দুবাই যায়। গত জানুয়ারি পর্যন্ত দুবাইয়ে ছিল সে। আর সেখানেই জিসানের সঙ্গে তার পরিচয়। শীর্ষ সন্ত্রাসী জিসান গ্রেফতার হয়েছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে সারওয়ার বিন কাশেম বলেন, আমরা ইন্টারপোলের মাধ্যমে জানতে পেরেছি জিসানকে গ্রেফতার করা হয়েছে। তাকে দেশে ফিরিয়ে আনার জন্য যে প্রক্রিয়াগুলো রয়েছে তা চলমান।
র‌্যাব জানায়, শাকিলের বাড়ি ফেনীর দাগনভ্ইূয়া উপজেলায়। সে ২০০৫ সালে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয়ে পড়ালেখার সময় ছাত্র রাজনীতি শুরু করে। একসময় সে মহানগর ছাত্রলীগের রাজনীতিতে নাম লেখায়। ২০০৯ সাল থেকে সে টেন্ডারবাজির সঙ্গে যুক্ত হয়। ২০১৩ সালে খালেদ ভূঁইয়ার সঙ্গে দ্বন্দ্ব দেখা দিলে গ্রামের বাড়ি ফেনীতে গিয়ে পারিবারিক ব্যবসা ও স্থানীয় রাজনীতিতে জড়ায়। ২০১৫ সালে পুনরায় ঢাকা এসে যুবলীগ নেতা জি কে শামীমের সঙ্গে সম্পর্ক গড়ে তুলে। শামীমের হয়ে সে টেন্ডারবাজি করে। ঢাকায় ফিরে সে কিছুদিন ধরে সন্ত্রাসী জিসানের পক্ষে মোবাইল ফোনে ম্যাসেজ দিয়ে সন্ত্রাসী ও চাঁদাবাজি করে আসছিলো। র‌্যাব জানায়, সিটি নির্বাচনকে সামনে রেখেই সে ঢাকায় আসে। লক্ষ্য ছিল আন্ডারওয়ার্ল্ডের নিয়ন্ত্রণ ও বিভিন্ন সন্ত্রাসী কার্যক্রম করা। নাশকতা করার জন্য অসুস্থতার নাটক করে হাসপাতালে ভর্তি হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর