× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দাতব্য সংস্থার প্রধান ধর্ষণ করেছেন ৬ নারীকে!

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, রবিবার, ১০:৪৫ পূর্বাহ্ন

দাতব্য সংস্থা লা আর্চে’র প্রতিষ্ঠাতা জ্যাঁ ভার্নিয়ের নারীদের যৌন নির্যাতন করেছেন। যৌন নির্যাতন মানে তাদের ধর্ষণ করেছেন। আভ্যন্তরীণ এক তদন্ত রিপোর্টে এ কথা বলা হয়েছে। তাতে বলা হয়েছে, তিনি একজন ধর্মীয় নেতা। সমাজের অচল মানুষদের জন্য গড়ে তুলেছেন ওই সংস্থা। কিন্তু তিনি ফ্রান্সে কমপক্ষে ৬ জন নারীকে যৌন নির্যাতন করেছেন। জ্যাঁ ভার্নিয়ের একজন কানাডিয়ান। তিনি ১৯৬৪ সালে ফ্রান্সে প্রতিষ্ঠা করেন বৈশ্বিক নেটওয়ার্ক লা আর্চে।

গত বছর মারা যান ৯০ বছর বয়সে।
কিন্তু জীবদ্দশায় তিনি যেসব নারীকে যৌন নির্যাতন করেছেন তারা কেউ অচল বা বিকলাঙ্গ ছিলেন না। তার বিরুদ্ধে সংশয় বৃদ্ধি পাওয়ার পর গত বছর লা আর্চে ইন্টারন্যাশনাল একটি আভ্যন্তরীণ করায়। এ খবর দিয়ে অনলাইন বিবিসি বলছে, বর্তমানে লা আর্চে ইন্টারন্যাশনালের নেতৃত্বে আছেন স্টেফান পোসনার এবং স্ট্যাসি কেটস কারনি। তারা লা আর্চে ফাউন্ডেশনের কাছে এক চিঠিতে লিখেছেন, তার এসব নিন্দনীয় কাজ খুঁজে পাওয়ার পর আমরা হতাশাগ্রস্ত। জ্যাঁ ভার্নিয়েরের যে মূল্যায়ন ছিল অনুসন্ধান রিপোর্ট ঠিক তার উল্টো।

তিনি ছিলেন শ্রদ্ধা ও সততায় ভরা একজন মানুষ। তার সঙ্গে তুলনীয় কিছু ছিল না। লা আর্চে যে ভিত্তির ওপর গড়ে উঠেছে, যে মূলনীতির ওপর গড়ে উঠেছে তার এ আচরণ তার ঠিক বিপরীত। তার হাতে যেসব নারী নির্যাতিত হয়েছেন এবং যারা এখনও মুখ খোলেন নি, তাদের সাহস ও দুর্ভোগের বিষয়কে আমরা বুঝতে পারি। লা আর্চের ভিতরে এসব ঘটে যাওয়া ঘটনাকে ক্ষমা করে দেয়ার আহ্বান জানাচ্ছি।

লা আর্চে বিশ্বের অচল এবং সচল এমন মানুষদের জন্য বাড়ি ও সেন্টার পরিচালনা করে থাকে। বর্তমানে তারা ৩৮টি দেশে তাদের কর্মকান্ড পরিচালনা করছে। এর রয়েছে ১০ হাজার সদস্য। কিন্তু ১৯৭০ থেকে ২০০৫ সাল পর্যন্ত ফ্রান্সে থাকাকালে ৬ জন নারীকে ইমোশনালি নির্যাতন করেছেন প্রতিষ্ঠাতা ভার্নিয়ের। তিনি তাদের সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। এসব কথা বলা হয়েছে লা আর্চে ইন্টারন্যাশনালের বিবৃতিতে। আধ্যাত্মিক গাইডলাইন দেয়ার নাম করে তিনি ওইসব নারীর সঙ্গে যৌন সম্পর্ক স্থাপন করেছেন। তবে তিনি ওইসব নারীকে এ সম্পর্কের কথা গোপন রাখতে বলতেন। কানাডিয়ান খবরের কাগজ গ্লোব অ্যান্ড মেইলের মতে, তার শিকারে পরিণত হয়েছেন অ্যাসিসট্যান্টস এবং নানরা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর