মিরপুর শেরে বাংলা স্টেডিয়ামে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একমাত্র টেস্টে বড় লিডের পথে রয়েছে বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে দ্বিতীয় দিন শেষে বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে ২৪০ রান। স্বাগতিকরা পিছিয়ে আছে ২৫ রানে। মুমিনুল হক ৭৯ ও মুশফিকুর রহীম ৩২ রানে অপরাজিত রয়েছেন।
অধিনায়ক মুমিনুলের প্রথম ফিফটিটেস্টে বাংলাদেশের অধিনায়কত্ব পাওয়ার পর প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন মুমিনুল হক। বাংলাদেশ ব্যাটিং ইনিংসের ৫৭তম ওভারে আইন্সলে এনডোলভুর করা প্রথম বলে এক রান নিয়ে ফিফটি স্পর্শ করেন মুমিনুল। এটি টেস্ট ক্যারিয়ারের ১৪তম ফিফটি বাঁহাতি এই ব্যাটসম্যানের।
ক্যারিয়ার সেরা ইনিংস খেলে ফিরলেন শান্তক্যারিয়ার সেরা ইনিংসটি সেঞ্চুরিতে রূপান্তর করতে পারলেন না নাজমুল হোসেন শান্ত। ব্যাক্তিগত ৭১ রানে চার্লটন টিসুমার বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দিয়ে সাজঘরে ফেরেন তিনি।
ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি শান্তরক্যারিয়ারের চতুর্থ টেস্টে এসে প্রথম ফিফটির দেখা পেলেন নাজমুল হোসেন শান্ত। ১০৮ বলে ৫০ রানে পৌঁছান তিনি।
শান্তর ফিফটির এক ওভার পরই ২ উইকেটে ১২০ রানে চা বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
বড় ইনিংসের স্বপ্ন দেখিয়ে ফিরলেন তামিমবড় ইনিংস খেলার পথে দারুণ ব্যাট করছিলেন তামিম ইকবাল। কিন্তু হঠাৎই ছন্দপতন। ৪১ রানে ডোনাল্ড ত্রিপানোর বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন তামিম। ৮৯ বলে ৪১ রানে তামিম সাজঘরে ফিরলে ভাঙে নাজমুলের সঙ্গে গড়া ৭৮ রানের জুটি।
সাইফকে হারিয়ে মধ্যাহ্ন বিরতিতে বাংলাদেশপ্রথম সেশনটা নিজেদের হয়েও হলোনা বাংলাদেশের। দ্বিতীয় দিনের শুরুতে ৩৭ রানের মধ্যে জিম্বাবুয়ের শেষ ৪ উইকেট তুলে নেয় বাংলাদেশ। প্রথম ইনিংসে খেলতে নেমে ১৮ রানে সাইফ হাসানের উইকেট হারায় টাইগাররা। শেষ পর্যন্ত ১ উইকেটে ২৫ রান নিয়ে লাঞ্চ বিরতিতে যায় বাংলাদেশ।
শুরুতেই ফিরলেন সাইফপ্রথম ইনিংসে জিম্বাবুয়ের করা ২৬৫ রানের জবাবে ব্যাট করতে নেমে শুরুটা ভাল হয়নি বাংলাদেশের। ইনিংসের চতুর্থ ওভারের শেষ বলে দলীয় ১৮ রানে সাজঘরে ফেরেন ওপেনার সাইফ হাসান (৮ রান)। ভিক্টর নিউচির বলে উইকেটের পেছনে ক্যাচ দেন পাকিস্তানের বিপক্ষে অভিষেক হওয়া সাইফ।
২৬৫তে প্রথম ইনিংস শেষ জিম্বাবুয়েরআগের দিনের ৬ উইকেটে ২২৮ রানে ব্যাট করতে নেমে দ্বিতীয় দিনের শুরুতেই টাইগার বোলারদের তোপের মুখে পড়ে জিম্বাবুয়ে। দ্বিতীয় দিনে ৩৭ রান তুলতেই বাকি ৪ উইকেট হারায় সফরকারীরা। শেষ পর্যন্ত ২৬৫ রানে থামে জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। জিম্বাবুয়ের শেষ চার উইকেটের দুটি করে ভাগাভাগি করে নেন আবু জায়েদ রাহী ও তাইজুল ইসলাম। নাঈম হাসান ও আবু জায়েদ রাহী ৪টি করে উইকেট নেন। এছাড়া তাইজুলের শিকার ২ উইকেট।