× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা

অনলাইন

স্টাফ রিপোর্টার
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৩, ২০২০, রবিবার, ৭:০৪ পূর্বাহ্ন

নরসিংদী জেলা মহিলা যুবলীগের সদ্য বহিষ্কৃত সাধারণ সম্পাদক শামীমা নূর পাপিয়ার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। তাকে পুলিশের কাছে হস্তান্তর করেছে র‌্যাব। আগামীকাল তাকে আদালতে তোলা হবে।
যৌন বাণিজ্যসহ নানা অনৈতকর্মকাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে শনিবার শামীমা নূর পাপিয়াকে গ্রেপ্তার করে র‌্যাব। আজ তার বাসা থেকে বিপুল পরিমান টাকা ও মদ উদ্ধার করা হয়েছে। জাল টাকা রাখার অভিযোগে তার বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে বিমানবন্দর থানায়। তাছাড়া তার বিরুদ্ধে অস্ত্র ও মাদক আইনে মামলা প্রক্রিয়াধীন রয়েছে। পাপিয়ার নানা অপকর্মের কাহিনী এরইমধ্যে বেরিয়ে পড়েছে।
তার স্মামী মফিজুর রহমান সুমন চৌধুরী ওরফে মতি সুমন। এক সময় নরসিংদী জেলার ছাত্রলীগের আহ্বায়ক ছিলেন। রাজনীতিতে প্রয়াত মেয়র লোকমানের অনুসারী ছিলেন তিনি। হত্যার অভিযোগও রয়েছে তার বিরুদ্ধে। দলীয় পদপদবি, প্রভাবশালী ব্যক্তিদের সঙ্গে ওঠাবসা আর ব্লাকমেইলিং- এই তিনে মিলে অপরাধ স¤্রাজ্য গড়ে তুলেছেন এই দম্পতি। সমাজ সেবার আড়ালে দেহব্যবসা, গোপন ভিডিও ধারণ করে প্রভাবশালীদের ব্লাকমেইলিং, অস্ত্র-মদের ব্যবসা, জাল টাকা- এসব করে সম্পদের পাহাড় গড়ে তুলেছিলেন পাপিয়া। চলাফেরায় ছিলো রাজকীয় ভাব। বিপুল বিত্তবৈভবের মালিক হয়েছেন। ঢাকায় রয়েছে অভিজাত ফ্ল্যাট। নিজ জেলা নরসিংদী গেলে মোটসাইকেল মহড়া দিয়ে স্বাগত জানাতো তাদের পোষা বাহিনী। এসব মোটরসাইকেলও সরবরাহ করেছেন পাপিয়া। ফাইভস্টার হোটেল থেকে শুরু করে নিজ এলাকাতেও খুলেছিলেন দেহব্যবসালয়। তাদের অবৈধ এসব ব্যবসা দেশের গ-ি ছাড়িয়ে বিদেশেও প্রসার লাভ করে।
পাপিয়া নিজেকে পরিচয় দিতেন ক্ষমতার রাঘববোয়ালদের কর্মী হিসেবে। রাজনৈতিক কর্মসূচিতে গিয়ে নেতাদের ফুল দিয়ে সেই ছবিরও অপব্যবহার করতেন। তিনি নিজেকে কেন্দ্রীয় নেত্রী হিসেবেও পরিচয় দিতেন। পাপিয়া  পাঁচ তারকা হোটেলে নারী ও মাদক ব্যবসা চালাতেন। এগুলোই তার আয়ের মূল উৎস। দেশের অভিজাত কিছু মানুষ ও বিদেশিরা এর গ্রাহক। ইন্টারনেটে স্কট সার্ভিস খুলে বসে খদ্দেরদের কাছে তাদের চাহিদামতো সুন্দরী তরুণী পাঠাতেন। রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন এলাকা থেকে শিক্ষিত সুন্দরী তরুণীদের সংগ্রহ করতেন। একপর্যায়ে তাদেরকে ধনাঢ্য ব্যক্তিদের শয্যাসঙ্গী হতে বাধ্য করতেন পাপিয়া। এরই মধ্যে পাপিয়ার কাছ থেকে গোপন ক্যামেরায় ধারণকৃত অনেক ধনাঢ্য ও প্রভাবশালী ব্যক্তির অন্তরঙ্গ দৃশ্যের ভিডিও ক্লিপ উদ্ধার করা হয়েছে। গোপন ক্যামেরায়  মেয়েদের ছবি ধারণ করে তাদের নিয়মিতভাবে ব্ল্যাকমেইল করতেন তিনি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর