× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নিহত

বাংলারজমিন

বান্দরবান প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

বান্দরবানের জামছড়িতে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমা (৪৬) নিহত হয়েছেন। এ ঘটনায় সাবেক স্থানীয় ইউপি মেম্বার ও যুবলীগের নেতাসহ আহত হয়েছেন আরো ৫ জন। নিহতের বাড়ি জামছড়ির ভিতরপাড়ায়। সে ওই এলাকার মংবই মারমার ছেলে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা যায়, গত শনিবার সন্ধ্যা সাড়ে ৭টা দিকে বান্দরবান সদর উপজেলার রাজবিলা ইউনিয়নে জামছড়ি এলাকায় এ ঘটনা ঘটে। এ সময় ৭-৮ জনের মুখোশ পরিহিত একটি দল জামছড়ি এলাকায় মহাজনের দোকানে এসে অতর্কিত গুলি ছোড়ে। সন্ত্রাসীদের ছোড়া গুলিতে জামছড়ি ৭নং ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি বাচনু মারমা নিহত হন এবং ৫ জন গুরুতর আহত হন। আহতরা হলেন-  সাবেক মেম্বার উ চ থোয়াই (৬৫), যুবলীগ নেতা মংক্যাচিং মারমা (২৫), যুবলীগ নেতা হ্লামং সিং (৩০), ক্য প্রু মং (৪৫) ও  আদাসী মারমা (২৬)।
এ ঘটনার পর এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। ঘটনার খবর পেয়ে বান্দরবান সদর থেকে পুুলিশ ও সেনাবাহিনীর সদস্যরা ঘটনাস্থলে যান।
বান্দরবান সদর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মো. শহিদুল ইসলাম চৌধুরী বলেন, খবর পেয়ে আমরা ঘটনাস্থলে এসে লাশ উদ্ধার করেছি।
এ ছাড়া আহতদের উদ্ধার করে বান্দরবান সদর হাসপাতালে চিকিৎসার জন্য প্রেরণ করা হয়েছে। সন্ত্রাসীদের ধরতে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
এদিকে বর্বরোচিত এই হত্যাকাণ্ডের জন্য উদ্বেগ প্রকাশ করে বিবৃতি দিয়েছেন পার্বত্য চট্টগ্রাম বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের মন্ত্রী বীর বাহাদুর উশৈসিং এমপি। বিবৃতিতে তিনি বলেন, পার্বত্য চট্টগ্রামের চলমান শান্তি ও উন্নয়ন প্রক্রিয়াকে ব্যাহত করার জন্য শান্তি ও উন্নয়নবিরোধী অপশক্তি এই ঘটনায় জড়িত। পার্বত্য এলাকায় উন্নয়ন ও শান্তিশৃঙ্খলা চলমান রাখার স্বার্থে অবিলম্বে এসব সন্ত্রাসীকে চিহ্নিত ও আইনের আওতায় আনার আহ্বান জানান তিনি।
বান্দরবানে সন্ত্রাসীদের গুলিতে ওয়ার্ড আওয়ামী লীগ হত্যার প্রতিবাদ সভা করেছে জেলা আওয়ামী লীগ। রোববার সকালে বঙ্গবন্ধু মুক্ত মঞ্চে এই প্রতিবাদ সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র নেতা আবদুর রহিম চৌধুরীর সভাপতিত্বে আরো বক্তব্য রাখেন, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ও পৌর মেয়র মোহাম্মদ ইসলাম বেবী, আঞ্চলিক পরিষদ সদস্য কাজল কান্তি দাশ, জেলা পরিষদ সদস্য লক্ষ্মীপদ দাশ, মোজাম্মেল হক বাহাদুর, আওয়ামী লীগ নেতা ক্যাসাং প্রু, অজিত দাশ প্রমুখ।
প্রতিবাদ সভায় বক্তারা বলেছেন এই হত্যাকাণ্ডের জন্য পাহাড়ের আঞ্চলিক রাজনৈতিক দল জেএসএসকে দায়ী করেন। এ সময় বক্তারা বলেন, পাহাড়ে পার্বত্যমন্ত্রীর ধারাবাহিক উন্নয়নে ঈর্ষান্বিত হয়ে জেএসএস একের পর এক আওয়ামী লীগ নেতাদের হত্যাকাণ্ড চালাচ্ছে। চাঁদাবাজির মাধ্যমে বান্দরবানে সন্তু লারমার কর্তৃত্ব চালানোর খায়েশ পূরণ হবে না। প্রশাসন ব্যর্থ হলে আগামীতে  জেএসএস সন্ত্রাসীদের বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগ রুখে দাঁড়ানোর হুঁশিয়ারি উচ্চারণ করেন নেতৃবৃন্দ।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর