× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

নাঙ্গলকোটে ১ম শ্রেণির শিশু ধর্ষণ: আটক ১

বাংলারজমিন

নাঙ্গলকোট (কুমিল্লা) প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

কুমিল্লার নাঙ্গলকোটে প্রথম শ্রেণিতে পড়ুয়া এক শিশু ধর্ষণের শিকার হয়েছে। গত শুক্রবার উপজেলার কৈরাশ গ্রামের ছায়েদ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির ছাদে এ ধর্ষণের ঘটনা ঘটে। ধর্ষণকারী পার্শ্ববর্তী কাশিপুর গ্রামের জালাল মিয়ার ছেলে নেছার উদ্দিন (৩৫)। সে ঢাকায় জুতার কারখানায় কাজ করে। ধর্ষক নেছার ৩ সন্তানের জনক বলে জানা গেছে। ধর্ষিতার মা বাদী হয়ে শনিবার রাতে নাঙ্গলকোট থানায় মামলা দায়ের করে। পুলিশ রাতেই ধর্ষককে আটক করে গতকাল আদালতের মাধ্যমে কুমিল্লার কারাগারে প্রেরণ করে। এদিকে পুলিশ ধর্ষিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে পাঠিয়েছে।
ধর্ষিতার মা বলেন, শুক্রবার দুপুরে আমার মেয়ে বাড়ির পাশে খেলতে গেলে নেছার উদ্দিন তাকে ভালো খাবারের লোভ দেখিয়ে ছায়েদ মিয়ার পরিত্যক্ত বাড়ির বিল্ডিংয়ের ছাদে নিয়ে যায়।
সেখানে মেয়েকে হত্যার ভয় দেখিয়ে ধর্ষণ করে। সে আমার মেয়েকে বাড়ি আসার সময় কিছু টাকা দেয় এবং এ কথা কাউকে বললে তাকে হত্যা করার হুমকি দেয়। শনিবার সকালে মেয়ে কিছুটা অসুস্থ ছিল কিন্তু আমি মনে করেছি স্কুলে না যাওয়ার জন্য সে এমন ভান করছে। পরে তাকে জোর করে স্কুলে পাঠাই, স্কুল থেকে আসার সময় তাকে আবারো নেছার ডাক দিলে সে ভয়ে দৌড়ে বাড়িতে এসে আমার কাছে বিস্তারিত ঘটনা বলে। আমি গ্রামের লোকজনকে ঘটনাটি জানালে নেছার বাড়ি থেকে পালিয়ে যায়।
নেছারের ভাই জসিম উদ্দিন ধর্ষণের বিচার দাবি করলেও তার আরেক ভাই গিয়াস উদ্দিন বিষয়টি কাউকে না জানিয়ে সমঝোতা করার জন্য আমাদের ওপর চাপ সৃষ্টি করে। আমার মেয়েকে আমরা নাঙ্গলকোট হাসপাতালে নিয়ে চিকিৎসা করাই এবং থানায় অভিযোগ করি।
নাঙ্গলকোট থানার অফিসার ইনচার্জ বখতিয়ার উদ্দিন চৌধুরী বলেন, থানায় মামলা হয়েছে। অভিযুক্তকে আটক করে কোর্টে সোপর্দ করা হয়েছে। ধর্ষিতা শিশুকে ডাক্তারি পরীক্ষার জন্য কুমিল্লায় প্রেরণ করা হয়েছে।

 
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর