আটোয়ারীতে জেলা পরিষদ কর্তৃক উচ্ছেদ অভিযানের মাইকিং শুনে ব্যবসায়ীরা হতাশায় ভুগছে। হতাশাগ্রস্ত ব্যবসায়ীরা জানান, বছরের শুরুতেই জেলা পরিষদ পঞ্চগড় কর্তৃক আটোয়ারী উপজেলায় জেলা পরিষদের রাস্তার দুই পার্শ্বে নয়নজলি জমি লিজ দেয়া হবে মর্মে ব্যাপক মাইকিং করা হয়। লিজের আবেদনের শেষ তারিখ ছিল গত ১০ই জানুয়ারি। এতে অনেক লিজ গ্রহীতার আবেদন জেলা পরিষদে জমা হয়। পরে ১৪ ও ১৫ই ফেব্রুয়ারি দু’দিন ব্যাপী নয়নজলির অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদের মাইকিং করা হয় এবং জেলা পরিষদের সীমানা পিলার (খুঁটি) বসানো হয়। মাইকিংয়ে প্রচার করা হয়, উপজেলার মহিলা কলেজ মোড় হতে ফকিরগঞ্জ বাজার হয়ে পল্লী বিদ্যুৎ মোড় পর্যন্ত পঞ্চগড় জেলা পরিষদ মালিকানাধীন রাস্তার ২ পার্শ্বে যে সকল অবৈধ স্থাপনা বাড়িঘর ও দোকানপাট রয়েছে, তাদেরকে অবৈধ স্থাপনা আগামী ২৩শে ফেব্রুয়ারির মধ্যে সরায় নেয়ার জন্য নির্দেশ প্রদান করা হলো। অন্যথায় আগামী ২৪ ফেব্রুয়ারি থেকে সরকারি বিধি অনুযায়ী সংশ্লিষ্ট ব্যক্তি বা প্রতিষ্ঠানকে আইনানুগ ব্যবস্থা সহ উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করা হবে- আদেশক্রমে প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা, জেলা পরিষদ পঞ্চগড়’।
উচ্ছেদ অভিযানের প্রচার মাইকিং শুনে অনেক ব্যবসায়ী ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে বিপাকে পড়েছেন।
এ মুহূর্তে উচ্ছেদ অভিযান পরিচালনা করলে ব্যবসা প্রতিষ্ঠান নিয়ে কোথায় যাবে তারা। নিরুপায় হয়ে ফকিরগঞ্জ বাজারের ব্যবসায়ীরা উচ্ছেদ অভিযান না করার জন্য উপজেলার প্রশাসনিক অভিভাবক উপজেলা নির্বাহী অফিসার বরাবরে লিখিত আবেদন করেন। এব্যাপারে জেলা পরিষদ সদস্য ও প্যানেল চেয়ারম্যান মাজেদুর রহমান বকুল বলেন, জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়টি সম্পুর্ণ সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের এখতিয়ার। আমি এ বিষয়ে সংশ্লিষ্ট নই। তবে উন্নয়নমূলক কাজে বৃহত্তর স্বার্থে উচ্ছেদ ব্যাপারে সবার সহযোগিতা করা দরকার। জেলা পরিষদ কর্তৃক আটোয়ারীতে জেলা পরিষদের জায়গায় অবৈধ স্থাপনা উচ্ছেদ বিষয়ে উপজেলা নির্বাহী অফিসার শারমিন সুলতানা কিছুই জানেন না বলে আমাদের প্রতিনিধিকে জানান। ফকিরগঞ্জ বাজার সহ রাস্তার দু’পার্শ্বের অনেক ব্যবসায়ী দীর্ঘদিন ধরে জেলা পরিষদ থেকে জায়গার লিজ নিয়ে বৈধভাবে ব্যবসা চালিয়ে আসছিল। অগ্রিম কোন নোটিশ না দিয়ে হঠাৎ উচ্ছেদের প্রচার মাইকিং শুনে তারা আঁতকে উঠেছে।