কক্সবাজারের টেকনাফে থানা পুলিশের মানবপাচারবিরোধী অভিযানে মানবপাচারে অভিযুক্ত একাধিক মামলার আসামি নিহত হয়েছে। পুলিশ সূত্র জানায়, ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাতের প্রথম প্রহর সাড়ে ১২টার দিকে বাহারছড়া তদন্তকেন্দ্রের একদল পুলিশ মানবপাচারের সংবাদ পেয়ে উপকূলীয় বাহারছড়ার নোয়াখালী জুম্মাপাড়াস্থ মৃত হাকিম আলীর বাড়ির পার্শ্ববর্তী পাহাড়ে অবস্থানের সংবাদ পেয়ে অভিযানে যায়। এ সময় অপরাধীরা পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে গুলিবর্ষণ করলে পুলিশের এএসআই হাবিব উল্লাহ, কনস্টেবল সানি বডুয়া ও দেলোয়ার আহত হয়। তখন পুলিশও আত্মরক্ষার্থে পাল্টা গুলিবর্ষণ করার কিছুক্ষণ পর সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা পাহাড়ের দিকে পালিয়ে যায়। পরিস্থিতি শান্ত হলে ঘটনাস্থল তল্লাশি করে ১টি এলজি, ৬ রাউন্ড কার্তুজ, ৯ রাউন্ড খোসাসহ ৩টি মাদক মামলার আসামি স্থানীয় মৃত হাকিম আলীর পুত্র আব্দুস ছালাম (৩০)কে গুলিবিদ্ধ অবস্থায় উদ্ধার করে চিকিৎসার জন্য স্বাস্থ্যকেন্দ্রে নেয়া হয়। সেখানে আহত পুলিশ সদস্যদের প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে গুলিবিদ্ধ সালামকে উন্নত চিকিৎসার জন্য কক্সবাজার সদর হাসপাতালে রেফার করা হয়। সেখানে কর্তব্যরত ডাক্তার তাকে মৃত ঘোষণা করেন। মৃতদেহ উদ্ধার করে মর্গে প্রেরণ করা হয়েছে।
এ ব্যাপারে তদন্তসাপেক্ষে পৃথক মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছে বলে টেকনাফ মডেল থানা সূত্র নিশ্চিত করেছে।
উল্লেখ্য, নিহত ব্যক্তি টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৩০, তাং-১১-০২-২০২০ ইং, ধারা-২০১২ সালের মানবপাচার ও প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারা, টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৩৫, তাং ১৩-০২-২০২০, ধারা- মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারা, টেকনাফ মডেল থানার মামলা নং-৬১, তাং- ২২-০২-২০২০ইং, মানবপাচার প্রতিরোধ আইনের ৭/৮ ধারার এজাহারনামীয় পলাতক আসামি ছিল।