× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বরগুনায় হাত-পা বাঁধা শিক্ষার্থী উদ্ধার

বাংলারজমিন

বরগুনা প্রতিনিধি
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

বরগুনার পাথরঘাটা পৌর এলাকার বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী আরিফুল ইসলামকে (১৪) হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করেছে পাথরঘাটা থানা পুলিশ। গতকাল রাতে তাকে উদ্ধার করা হয়। এর আগে গত শনিবার দুপুর দুটার দিকে বরগুনা রংধনু ক্লিনিকের সামনে থেকে রুমালে চেতনা নাশক ওষুধ দিয়ে অজ্ঞাত কয়েকজন লোক তাকে অপহরণ করে। সে বরগুনার সদর উপজেলার জাকিরতবক এলাকার আবদুল হালিম মিয়ার ছেলে এবং বরগুনা উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজের নবম শ্রেণীর শিক্ষার্থী। এ বিষয়ে স্কুলছাত্র আরিফুল ইসলাম জানান, শনিবার স্কুল ছুটির পরে বরগুনা সদরের নুর লাইব্রেরিতে গাইড কিনতে যাই। সেখানে গিয়ে দোকান বন্ধ পেয়ে রুমে ফিরে যাওয়ার পথে কিছু লোক আমার পিছু নেয়। রংধনু ক্লিনিকের সামনে থেকে আসার সময় তারা আমার মুখে রুমাল ধরে অজ্ঞান করে একটি লাল মোটরসাইকেলে উঠায় বলে মনে পরে। এরপর হুঁশ ফিরেলে তিনি নদীর পাড়ে একটি ভাঙ্গা নৌকায় হাত পা বাঁধা ও ঠোট টেপ দিয়ে আটকানো অবস্থায় নিজেকে আবিষ্কার করেন।
আরিফুল ইসলামের মা রিনা বেগম জানান, তার ছেলে বরগুনার উদয়ন স্কুল এন্ড কলেজের প্রধান শিক্ষকের বাসায় থেকে লেখাপড়া করে। শনিবার বাড়ি থেকে বিদ্যালয়ে গিয়ে ক্লাস করে প্রধান শিক্ষক জাকির হোসেনের বাসায় যায়। সেখান থেকে গাইড কিনতে বের হয়ে বাসায় ফিরে না যাওয়ার বিষয়টি প্রধান শিক্ষক আমাকে জানালে বিভিন্ন স্থানে খোঁজাখুঁজি করি। পরে রাত সাড়ে দশটার দিকে পাথরঘাটা থানা থেকে আরিফকে উদ্ধার হওয়ার কথা মোবাইল ফোনের মাধ্যমে জানতে পারি। পাথরঘাটা থানার ওসি মো. শাহাবুদ্দিন বিষয়টি নিশ্চিত করে জানান, শনিবার রাত আটটার দিকে বেড়িবাঁধ এলাকা থেকে স্থানীয়রা সংবাদ দিলে সেখান থেকে আরিফকে হাত-পা বাঁধা অবস্থায় উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ওই ছাত্রের বুকে ব্লেড দিয়ে আঁচড়ের দাগ রয়েছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর