× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

পথ দেখাচ্ছেন মুমিনুল-মুশফিক

শেষের পাতা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

দ্বিতীয় দিন মধ্যাহ্ন বিরতির আগেই শেষ জিম্বাবুয়ের প্রথম ইনিংস। পেস স্পিনের দাপটে ২৬৫ রানে থামলো সফরকারীরা। জবাব দিতে নেমে শুরুতেই হোঁচট খেতে হয় ওপেনার সাইফ হাসানকে হারিয়ে। কিন্তু সেখান থেকে নাজমুল হোসেন শান্তকে নিয়ে দলকে আগলে রাখলেন তামিম ইকবাল। তবে দু’জনই আউট হয়ে গেলে দলকে আর বিপদে পড়তে দেননি অধিনায়ক মুমিনুল হক সৌরভ-মুশফিকুর  রহীম। তাদের ব্যাটে দিনের বাকিটা সময় আরামেই পার করে দেয় বাংলাদেশ। জিম্বাবুয়ের চেয়ে ২৫ রানে পিছিয়ে থাকলেও আজ তৃতীয় দিনে বড় লিড নেয়ার সুযোগ তাদের সামনে। দ্বিতীয় দিন শেষে ৩ উইকেট হারিয়ে বাংলাদেশের সংগ্রহ ২৪০ রান।
ক্রিজে মুমিনুল ৭৯ ও মুশফিক ৩১ রান করে অপরাজিত থাকেন। চার টেস্টের ক্যারিয়ারে শান্ত পেয়েছেন প্রথম ফিফটির দেখা। সেঞ্চুরি হাঁকানোরও সুযোগ ছিল তরুণ এই ব্যাটসম্যানের সামনে। কিন্তু ১৩৯ বলে ৭১ রান করে বাজে এক শটে আউট হন তিনি। দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে শান্ত জানান, লিডের কথা না ভেবে ভালো খেলাই লক্ষ্য তাদের।
ঢাকা টেস্টে প্রথম দিন টসে জিতে ব্যাটিং বেছে নেন ক্রেইগ আরভিন। প্রথম দিনে বাংলাদেশের বোলারদের বিপক্ষে কঠিন লড়াই করতে হয়েছে তাদের। অধিনায়ক সেঞ্চুরি হাকিয়ে দিনের শেষ মুহূর্তে আউট হন। ২২৮ রানে ৬ উইকেট হারিয়েও দ্বিতীয় দিন ভালো কিছুর স্বপ্ন দেখছিল জিম্বাবুয়ে। শেষ চার ব্যাটসম্যান স্কোর বোর্ডে যোগ করতে পারেন মাত্র ৩৭ রান। আগের দিন ২ উইকেট নিয়েছিলেন পেসার রাহী। দ্বিতীয় দিন তার শিকার আরো দুটি। প্রথম দিন উইকেটশূন্য অভিজ্ঞ বাঁহাতি স্পিনার তাইজুল ইসলাম এ দিন নিয়েছেন ২ উইকেট। দলের হয়ে ৪টি করে উইকেট শিকার রাহী ও নাঈম হাসানের।
জবাব দিতে নেমে শুরুটা মোটেও ভালো হয়নি স্বগতিকদের। সাদমানের ইনজুরির কারণে দলে সুযোগ পাওয়া সাইফ হাসান এদিনও ব্যর্থ। মাত্র ৮ রান করে আউট হন তিনি। ওপেনিংয়ে দলের ভরসা তামিমকে বেশ আত্মবিশ্বাসী মনে হচ্ছিল। দ্বিতীয় সেশনে তামিম ইকবালকে হারিয়ে ৩০ ওভারে ৯৫ রান যোগ করে বাংলাদেশ। একের পর এক বাউন্ডারি মেরে এগোচ্ছিলেন। এমন সময়ে ডনাল্ড তিরিপানোর দারুণ এক ডেলিভারিতে থামলেন কট বিহাইন্ড হয়ে। তবে এরই মধ্যে তিন ফরম্যাটে দেশের হয়ে ১৩ হাজার রানের মালিক হয়ে যান এই ওপেনার। দেশের মাটিতেও টেস্টে এখন সর্বাধিক রান তার।
তবে এরপর দলের হাল ধরেন অধিনায়ক মুমিনুল। পাশে পান ফিফটি হাঁকানো শান্তকে। ১০৮ বলে টেস্ট ক্যারিয়ারের প্রথম ফিফটি পূর্ণ করেছিলেন শান্ত। পরের ৩১ বল খেলে করেন আরো ২১ রান। চার্লটন শুমা দ্বিতীয় স্পেলে এসে ড্রেসিং রুমের পথ দেখান শান্তকে। যদিও এতে বোলারের কৃতিত্ব কম। শান্তই খোঁচা মেরে আউট হয়ে হাতছাড়া করেন  সেঞ্চুরির সুযোগ। অধিনায়ক মুমিনুলে সঙ্গে ভাঙে ৭৬ রানের জুটি। ৫০ ওভারে বাংলাদেশের স্কোর দাঁড়ায় ১৭২/৩। ক্রিজে মুমিনুল হকের সঙ্গী হন মুশফিকুর রহীম। মুশফিক বল ছেড়ে বিপদ ডেকে এনেছিলেন। শুমার বল আঘাত হানে তার প্যাডে। বল অল্পের স্টাম্পে না থাকায় অল্পের জন্য বেঁচে যান। অধিনায়ক হওয়ার পর দেশের প্রথম ফিফটির দেখা পান মুমিনুল হক। ৭৮ বলে চার বাউন্ডারিতে ক্যারিয়ারের চতুর্দশ ফিফটি পূর্ণ করেন মুমিনুল। শেষ পর্যন্ত ১২০ বলে ৭৯ রান করে অপরাজিত থেকে মাঠ ছাড়েন তিনি। মুমিনুল সেঞ্চুরি আর অন্যপ্রান্তে অভিজ্ঞ মুশফিকুর রহীম আছেন ফিফটির অপেক্ষায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর