ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে নির্বাচন কমিশন নির্ধারিত ২১ জায়গায় পোস্টার টানাতে পারবেন। আর প্রতিটি ওয়ার্ডে একটি করে অফিস করবেন, সেখানে পোস্টার টানাতে পারবেন। এর বাইরে কোথাও বা রাস্তা, অলিতেগলিতে  কোন প্রার্থী পোস্টার টানাতে পারবেনা বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার কে,এম নূরুল হুদা। জনদুর্ভোগের কথা বিবেচনায় নিয়ে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনের নির্বাচনী প্রচার নিয়ন্ত্রণ করবে নির্বাচন কমিশন (ইসি)। গতকাল সকালে রাজধানীর আগারগাঁওয়ে অবস্থিত ইটিআই ভবনে ঢাকা-১০ আসনের উপ-নির্বাচনে অংশ নেয়া প্রার্থীদের সঙ্গে কথা বলে ইসি। সেখানে ইসির পক্ষ থেকে এগুলো নিয়ন্ত্রণে প্রস্তাব তোলা হয়। এই প্রস্তাবের সমর্থন দেন অংশ নেয়া প্রার্থীরা।
প্রার্থীদের সমর্থন নেয়ার পর সিদ্ধান্তগুলো তুলে ধরে প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কে এম নূরুল হুদা বলেন,  প্রতিটি ইউনিয়নে, প্রতিটি ওয়ার্ডে একটা করে অফিস রাখতে পারবেন। এর বাইরে একেবারেই মাইক বাজাতে পারবেন না।  প্রার্থীরা লেমিনেটেড পোস্টার ব্যাবহার করতে পারবে না। তিনি বলেন, ঢাকা-১০ আসনের শুধুমাত্র মোটরসাইকেল ছাড়া গাড়ি চলাচল উন্মুক্ত করলাম। ঢাকা-১০ আসনে ভোটের দিন অফিস খোলা থাকবে। আমরা সার্কুলার জারি করে দেব, যাতে অফিস থেকে গিয়ে কর্মকর্তারা ভোট দিতে পারেন। নূরুল হুদা বলেন, প্রতিটি দল পাঁচটি শোভাযাত্রা করতে পারবে। যেখানে সুবিধা সেখানে শোভাযাত্রা করতে পারবেন। তবে এই নির্বাচনে কোনো জনসভা করা যাবে না বলেও জানান সিইসি। আগামীতে নির্বাচনী আচরণবিধি পরিবর্তন করে এই বিধিগুলো যোগ করা হবে। জাতীয় পর্যায়ের জন্য আমরা বিধিই পরিবর্তন করে ফেলব। তফসিল অনুযায়ী, মনোনয়নপত্র বাছাইয়ের দিন ২৩শে ফেব্রুয়ারি, প্রার্থিতা প্রত্যাহারের শেষ দিন ২৯ ফেব্রুয়ারি এবং ভোটগ্রহণের দিন ২১শে মার্চ।