× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

খালেদার বিষয়ে ৩ ধরনের তথ্য চেয়েছে আদালত

প্রথম পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়া অ্যাডভান্স চিকিৎসার জন্য সম্মতি দিয়েছেন কিনা, দিলে সেই চিকিৎসা শুরু হয়েছে কিনা, চিকিৎসা শুরু হলে এখন কী অবস্থা, তা জানিয়ে রিপোর্ট দাখিল করতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ দিয়েছেন হাইকোর্ট। আগামী ২৬শে ফেব্রুয়ারি বুধবার বিকেল পাঁচটার মধ্যে সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্টার জেনারেলের মাধ্যমে এ রিপোর্ট দাখিল করতে বলা হয়েছে। বৃহস্পতিবার এ ব্যাপারে পরবর্তী আদেশ দেয়া হবে। গতকাল বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ আদেশ দেয়। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট মামলায় দুপুরে খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনে আদালত এ আদেশ দেয়। এদিন সাবেক এই প্রধানমন্ত্রীর পক্ষে শুনানি করেন সিনিয়র আইনজীবী জয়নুল আবেদীন। রাষ্ট্রপক্ষে এটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম শুনানি করেন। সঙ্গে ছিলেন অতিরিক্ত অ্যাটর্নি জেনারেল মো. মমতাজ উদ্দিন ফকির ও ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল মো. সারওয়ার হোসেন।
এ সময় খালেদা জিয়ার পক্ষে আদালতে উপস্থিত ছিলেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন, ব্যারিস্টার মওদুদ আহমদ, এ জে  মোহাম্মদ আলী, নিতাই রায় চৌধুরী, ব্যারিস্টার মাহবুব উদ্দিন খোকন ও ব্যারিস্টার কায়সার কামাল। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব  মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও দলের স্থায়ী কমিটির সদস্য আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী আদালতে উপস্থিত ছিলেন। অপরদিকে দুদকের পক্ষে উপস্থিত ছিলেন আইনজীবী খুরশিদ আলম খান।
শুনানিতে জয়নুল আবেদীন বলেন, আমরা একমাত্র স্বাস্থ্যগত কারণে ফের আপনার (আদালতে) কাছে এসেছি। খালেদা জিয়ার স্বাস্থ্যগত অবস্থা আগের  থেকে আরো অনেক খারাপ। তিনি পাঁচ মিনিটও দাঁড়িয়ে থাকতে পারেন না। নিজ হাতে খেতেও পারেন না। খাবার খেলেও তিনি প্রায়ই বমি করেন। এরপর বিভিন্ন পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের উদ্বৃতি দিয়ে আদালতকে বলেন,  বেগম জিয়া পরিবারের সদস্যরা তার সঙ্গে দেখা করে গণমাধ্যমকে বলেছেন খালেদা জিয়ার অবস্থা অত্যন্ত খারাপ। এভাবে থাকলে উনার কখন কী হয়ে যায় তা বলা যাচ্ছে না। তিনি  আদালতকে বলেন, আমাদের বেশি কিছু চাওয়ার নেই। আমরা মানবিক কারণে জামিন চাচ্ছি। জামিন পেলে চিকিৎসার জন্য বিদেশ যেতে চান। তাই আমরা তার জামিন প্রার্থনা করছি। এরপর অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম জামিনের বিরোধিতা করে শুনানিতে বলেন, এর আগে একই আবেদন এই আদালতে হয়েছে এবং সেটা আপনার আদালত এবং আপিল বিভাগে খারিজ হয়েছে। আপিল বিভাগে খারিজ হওয়া আবেদন এবং আজকের আবেদন পুনরাবৃত্তি মাত্র। এটা আদালতকে বিব্রত করাও বলা চলে। তাছাড়া আপিল বিভাগ তো বলেছেনই উন্নত চিকিৎসার প্রয়োজন হলে তার সম্মতিতে সেটা করা হবে। এছাড়া যে ওষুধ উনার চিকিৎসার জন্য প্রয়োজন তা  দেশেই রয়েছে। পরে হাইকোর্ট খালেদা জিয়ার চিকিৎসা ও স্বাস্থ্য পরিস্থিতি নিয়ে প্রতিবেদন দেয়ার নির্দেশ দিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার পর্যন্ত শুনানি মুলতবি করেন।
এদিকে, জামিন শুনানি শেষে খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে সুপ্রিম কোর্টের বারান্দায় বিক্ষোভ করেছে বিএনপিপন্থী আইনজীবীরা। এসময় তারা খালেদা জিয়ার মুক্তির দাবিতে বিভিন্ন স্লোগান দেন।
এরআগে সকালে রাষ্ট্রপক্ষে ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল সরোয়ার হোসেন বাপ্পী সময় চাইলে আদালত দুপুর দুইটায় শুনানির জন্য সময় নির্ধারণ করেন। এসময় শুনানির জন্য বিএনপির আইনজীবীরা উপস্থিত ছিলেন। অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম উপস্থিত না থাকায় রাষ্ট্রপক্ষ সময় আবেদন করলে আদালত তা মঞ্জুর করেন। এদিকে খালেদা জিয়ার জামিন শুনানিকে কেন্দ্র করে আদালতে নিরাপত্তা ব্যবস্থা জোরদার করা হয়। সুপ্রিম কোর্ট এলাকায় সকাল থেকেই ব্যাপক নিরাপত্তা লক্ষ্য করা গেছে। সুপ্রিম কোর্টের সব গেটের প্রবেশপথে তল্লাশি এবং পরিচয়পত্র চেক করে জনসাধারণকে সুপ্রিমকোর্ট এলাকায় প্রবেশ করতে দেন আইন-শৃঙ্খলা বাহিনীর সদস্যরা।
এর আগে গত মঙ্গলবার হাইকোর্টের সংশ্লিষ্ট শাখায় খালেদার জামিন আবেদনটি দাখিল করেন আইনজীবী সগির হোসেন লিয়ন। খালেদা জিয়ার শারীরিক অসুস্থতার বিষয়টি উল্লেখ করে এই জামিন আবেদন করা হয়। জামিন আবেদনে বেগম জিয়ার গুরুতর অসুস্থের বিষয়টি তুলে ধরা হয় বলে জানান জাতীয়তাবাদী আইনজীবী ফোরামের আহ্বায়ক ও খালেদা জিয়ার অন্যতম জ্যেষ্ঠ আইনজীবী খন্দকার মাহবুব হোসেন। আবেদনে ইচ্ছামতো দেশি-বিদেশি হাসপাতালে উন্নত চিকিৎসার জন্য জামিন আবেদন করা হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর