× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আলাপন /‘এখন আগের মতো গল্পনির্ভর নাটক হচ্ছে না’

বিনোদন

এন আই বুলবুল
২৪ ফেব্রুয়ারি ২০২০, সোমবার

নাট্যকার, অভিনেতা, নির্দেশক মামুনুর রশীদ। আসছে ২৯শে ফেব্রুয়ারি তার ১৮তম জন্মদিন। বয়স ৭২, অথচ ১৮তম জন্মদিন! কিন্তু এটাই সত্য। অধিবর্ষে জন্ম নেওয়া এই শিল্পীর জন্মদিন আসে চার বছর পরপর। জন্মদিন ও সমসাময়িক নানা প্রসঙ্গে কথা হয় তার সঙ্গে। সাক্ষাৎকারটি নিয়েছেন এন আই বুলবুল
আপনাকে জন্মদিনের আগাম শুভেচ্ছা...

মানবজমিনকেও ধন্যবাদ। জন্মদিন উপলক্ষে আমাকে মনে করার জন্য। সবাইকে আমার পক্ষ থেকে অনেক অনেক ভালোবাসা।
এভাবেই সবার ভালোবাসায় বাঁচতে চাই।

মাঝে অসুস্থ হয়ে কিছুদিন হাসপাতালে ছিলেন। এখন কেমন আছেন?
আমি এখনো পুরোপুরি সুস্থ নই। তবু সবার সঙ্গে কথা বলতে হচ্ছে। আসছে জন্মদিন উপলক্ষে অনেকে ফোন করছেন। কেউ কেউ দেখা করছেন।

চার বছর পর আসছে আপনার জন্মদিন। কেমন লাগছে?
এটা এক ধরনের সৌভাগ্য। চার বছর পরপর আসে আমার জন্মদিন। বন্ধু, শুভানুধ্যায়ীরা অপেক্ষা করে, কখনো কখনো উৎসবের আয়োজন করে এটা আনন্দের বিষয়। এছাড়া বয়স যে বাড়ছে না, আঠারোয় আটকে থাকলো, এটাই বা কম কিসে।

এবারের জন্মদিনে কি কি আয়োজন থাকছে?
২৯শে ফেব্রুয়ারি সকাল সাড়ে ১০টায় স্টুডিও থিয়েটারে বাংলাদেশ অভিনয় শিল্পী সংঘের উদ্যোগে একটি অনুষ্ঠানে অংশ নিবো। এছাড়া বিকেল সাড়ে চারটায় সেমিনার হলে থাকছে ‘মামুনুর রশীদের নাট্যভাবনা এবং আমাদের নাট্যচর্চা’ শীর্ষক আলোচনা। এদিন সন্ধ্যা সোয়া সাতটায় নাট্যশালায় আমার রচনা ও নির্দেশনায় আরণ্যক নাট্যদলের নতুন প্রযোজনা ‘ফেসবুক’ এর উদ্বোধনী প্রদর্শনী হবে।

আপনাকে নিয়ে একটি তথ্যচিত্র নির্মাণ হচ্ছে। এ সম্পর্কে জানতে চাই?
অভিনয় শিল্পী সংঘ, ডিরেক্টরস গিল্ড, প্রযোজক সমিতি ও নাট্যকার সংঘ যৌথভাবে এ তথ্যচিত্রটি নির্মাণ করছে। এর নির্মাতা পিকলু চৌধুরী। স্ক্রিপ্ট করেছেন এজাজ মুন্না। এখানে আমার কর্মময় জীবনের নানা দিক তুলে ধরা হচ্ছে। আমি এভাবে সবার ভালোবাসায় মুগ্ধ।

ভাষার মাস ফেব্রয়ারি। নতুন প্রজন্ম বাংলা ভাষাকে কেমন ধারণ করে বলে মনে করেন?
প্রযুক্তির কল্যাণে সারা বিশ্ব নতুন প্রজন্মের মুঠোর মধ্যে। বাংলা ভাষার বাইরে তারা বিশে^র আরো অনেক ভাষার সঙ্গে পরিচিত। কিন্তু দিন শেষে সবাই বাংলাতেই নিজের আবেগ-অনুভূতি প্রকাশ করছে। আমি মনে করি ছোটবেলা থেকেই শিশুদের দেশ ও ভাষার ইতিহাস জানানো প্রয়োজন। মাঝে আমাদের একটি প্রজন্ম ভুল ইতিহাস চর্চার মধ্যে বড় হয়েছে।

চলতি সময়ে অনেক অভিনয় শিল্পী দেখা যায়। কিন্তু দর্শকের মনে তাদের অধিকাংশ জায়গা করতে পারছে না। এর কারণ কি?
অভিনয়কে মনে-প্রাণে ভালোবাসতে হয়। আমাদের নাটক-চলচ্চিত্রে অনেকে আসছেন। সবাই কিন্তু কখনোই টিকতে পারেনি। এখানে যোগ্যরা টিকে থাকে। অন্যরা সময়ের পরিক্রমায় ঝরে পড়ে। আমি মনে করি কোনো কিছু সঠিক ভাবে না জেনে করা উচিৎ না।

এই সময়ে নাট্যঙ্গনের পরিবেশ কেমন মনে হয়?
এখন আগের মতো গল্পনির্ভর নাটক হচ্ছে না। সবাই সবার মতো কাজ করছে। এরমধ্যে কেউ কেউ চেষ্টা করছেন দর্শকদের ভালো কিছু উপহার দিতে। আমাদের নাটকের একটি ঐতিহ্য আছে। এই ঐতিহ্য নষ্ট করার অধিকার কারো নেই। যারা কাজ করবে তারা আমাদের সংস্কৃকি সম্পর্কে জেনে কাজ করলেই সবার জন্য ভালো হয়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর