কুমিল্লার চৌদ্দগ্রামে জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে মাহবুব আলম মামুন নামের এক ব্যবসায়ীকে প্রবাসীর স্ত্রী কর্তৃক ধর্ষণ মামলা দিয়ে হয়রানির অভিযোগ পাওয়া গেছে। এ ঘটনায় গতকাল সকালে ভুক্তভোগী মামুন সংবাদ সম্মেলন করেছেন। লিখিত বক্তব্যে মামুন বলেন, তিনি উপজেলার শ্রীপুর ইউনিয়নের নারচর গ্রামের বাসিন্দা। তিনি জীবিকা নির্বাহের তাগিদে ইমপোর্ট ব্যবসা করেন। জমি সংক্রান্ত বিরোধের জের ধরে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ধর্ষণের মিথ্যা অভিযোগ দিয়ে তার বিরুদ্ধে মামলা করেছে সানজিদা আক্তার প্রীতি নামের এক প্রবাসীর স্ত্রী। দু’জনে একই বাড়ির। ইতিপূর্বে সামাজিকভাবে প্রীতির একটি বিয়ে হলেও পরকীয়ায় জড়িয়ে বারবার পালিয়ে যাওয়ার ঘটনা ঘটেছে। সম্প্রতি প্রীতির পরকীয়া টের পেয়ে সৌদি প্রবাসী স্বামীর সঙ্গে সম্পর্কের টানাপড়েন শুরু হয়।
তার পিতার সঙ্গে দীর্ঘদিন ধরে কৈয়নী মৌজায় একটি জমি নিয়ে বিরোধ চলছিল। এ সুযোগে সামাজিকভাবে হেয় প্রতিপন্ন করতে ধর্ষণের অভিযোগ ও স্বর্ণালংকার-টাকা লুটের অভিযোগ করা হয়েছে। যা আদৌ সত্য নয়। তাছাড়া দেড় বছর আগে বাথরুমে গোসল করা অবস্থায় গোপনে মোবাইল ফোন দ্বারা তার গোসলের স্থির চিত্র ও ভিডিও ধারণের অভিযোগ তোলা হলেও সেটা সত্য নয়। মামুন আরো অভিযোগ করেন, গত ৩১শে জানুয়ারি মোবাইল ফোনের মাধ্যমে ভয়ভীতি দেখিয়ে স্বর্ণালংকার ও টাকা নিয়ে কাশিনগর বাজারে যাওয়ার কথা এবং অপহরণ করে তাকে চট্টগ্রাম নেয়ার কথা উল্লেখ করা হলেও সেদিন তিনি বাড়িতেই ছিলেন। গ্রামবাসী তাকে এলাকায় দেখেছে। এ ছাড়াও ২রা ফেব্রুয়ারি আবার ঢাকায় একটি ব্যাচেলর বাসায় নেয়া হয় বলে উল্লেখ করলেও তিনি ১লা ফেব্রুয়ারি রাতে ঢাকা থেকে ব্যবসায়িক কাজে যশোরের বেনাপোল যায়। সেখানে হোটেল অ্যারিস্টোকেটে অবস্থান করেন। ৫ই ফেব্রুয়ারি তিনি বেনাপোল দিয়ে কলকাতায় যান এবং ৭ই ফেব্রুয়ারি বাংলাদেশে ফিরে আসেন। ধর্ষণের ঘটনার সঙ্গে তিনি জড়িত নয় বলেও দাবি করেন।