× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

চসিক নির্বাচন / কাউন্সিলর পদে লড়বেন আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিতরা

এক্সক্লুসিভ

স্টাফ রিপোর্টার, চট্টগ্রাম থেকে
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে আওয়ামী লীগের সমর্থন পেতে দৌড়ে থাকা প্রার্থীদের মধ্যে বাদ পড়েছেন ১৫ জন সাবেক ও বর্তমান কাউন্সিলর। যাদের সবাই স্বতন্ত্রপ্রার্থী হয়ে কাউন্সিলর পদে লড়ার আশাবাদ ব্যক্ত করেছেন। এরমধ্যে রয়েছেন ১ নম্বর দক্ষিণ পাহাড়তলী ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত বর্তমান কাউন্সিলর তৌফিক আহমেদ চৌধুরী। তার স্থলে মনোনয়ন পেয়েছেন স্থানীয় আওয়ামী লীগের সভাপতি গাজী মোহাম্মদ শফিউল আজিম। কিন্তু এ ওয়ার্ড থেকে কাউন্সিলর পদে লড়বেন বলে জানিয়েছেন তৌফিক আহমেদ। ২ নম্বর জালালাবাদ ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর সাহেদ ইকবাল বাবু। তার জায়গায় মনোনয়ন দেয়া হয়েছে চট্টগ্রাম মহানগর যুবলীগের সদস্য মোহাম্মদ ইব্রাহীমকে। ফলে স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন সাহেদ ইকবাল বাবুও।
৯ নম্বর উত্তর পাহাড়তলী ওয়ার্ডে জহিরুল আলম জসিমের জায়গায় মনোনয়ন পেয়েছেন পাহাড়তলী থানা আওয়ামী লীগের সভাপতি নুরুল আবছার মিয়া। মনোনয়ন না পেলেও স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে যাওয়ার কথা জানিয়েছেন জসিম। ১১নং দক্ষিণ কাট্টলী ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর মোরশেদ আকতার চৌধুরী এলাকার সর্বস্তরের নাগরিকদের দাবির মুখে আসন্ন চসিক নির্বাচনে কাউন্সিলর প্রার্থী হওয়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বলে জানান। তিনি বলেন, আমার এতোদিনের সাজানো বাগান আমি কাউকে ছেড়ে দিতে পারি না। আমার এলাকার জনসাধারণ আমাকে নির্বাচনে অংশগ্রহণ করার জোর দাবি জানিয়ে আসছে তাই সিদ্ধান্ত নিলাম। তিনি বলেন, আমি বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ মনোনীত নৌকা প্রতীকের বিরুদ্ধে নির্বাচন করছি না। আমি আজীবন নৌকার পক্ষে ছিলাম এবং আসন্ন নির্বাচনে মেয়র মনোনীত নৌকার প্রার্থীর পক্ষেই কাজ করবো। ওয়ার্ডের কাউন্সিলর স্থানীয় জনপ্রতিনিধি নির্বাচন তাই এখানে দলীয় প্রতীকের ব্যবহার নেই। ১২ নম্বর সরাইপাড়া ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের আহ্বায়ক মো. নুরুল আমিন। এই ওয়ার্ড থেকে বাদ পড়া বর্তমান কাউন্সিলর সাবের আহমেদও স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচনে লড়ার ঘোষণা দিয়েছেন। ১৪ নম্বর লালখান 
বাজার ওয়ার্ডে মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছেন কাউন্সিলর আবুল ফজল কবির আহমদ মানিক। তার স্থলে মনোনয়ন পেয়েছেন চট্টগ্রাম মহানগর স্বেচ্ছাসেবকলীগের সদস্য আবুল হাসনাত মোহাম্মদ বেলাল। তবে এই ওয়ার্ড থেকে নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর মানিক।
২১নং জামালখান ওয়ার্ডে থেকে আওয়ামী লীগের মনোনয়ন বঞ্চিত অ্যাডভোকেট এম এ নাসের নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন তার ফেসবুক পোস্টে। তিনি লিখেন, ২১নং ওয়ার্ডের সর্বস্তরের মানুষের তীব্র ভালবাসাও জোর সমর্থন অনুভব করে নির্বাচনে অংশ গ্রহণ করবো।
২৫ নম্বর রামপুর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন সাবেক কাউন্সিলর আব্দুস সবুর লিটন। তবে বাদ পড়া বর্তমান কাউন্সিলর এস এম এরশাদ উল্লাহও স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন।
২৬ নম্বর উত্তর হালিশহর ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন মহানগর আওয়ামী লীগের ত্রাণ ও সমাজ কল্যান সমপাদক মোহাম্মদ হোসেন। অন্যদিকে বর্তমান কাউন্সিলর আবুল হাশেমও নির্বাচন করার ঘোষণা দিয়েছেন।
২৭ নম্বর দক্ষিণ আগ্রাবাদ ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সমপাদক মো. শেখ জাফরুল হায়দার চৌধুরী। বাদ পড়েছেন বর্তমান কাউন্সিলর এইচ এম সোহেল। তিনি মনোনয়ন বঞ্চিত হলেও স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে লড়বেন বলে জানান।
২৮ নম্বর পাঠানটুলী ওয়ার্ড থেকে এবার বাদ পড়েছেন আবদুল কাদের প্রকাশ মাছ কাদের। তারস্থলে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি নজরুল ইসলাম বাহাদুর। তবে কাদেরও এখানে থামছেন না। তিনি নির্বাচন করবেন বলে ঘোষণা দিয়েছেন। ৩০নম্বর পূর্ব মাদারবাড়ী ওয়ার্ড থেকে মনোনয়ন পেয়েছেন ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সমপাদক আতাউল্লাহ চৌধুরী। বাদ পড়া বর্তমান কাউন্সিলর মাজহারুল ইসলাম চৌধুরীও স্বতন্ত্র হয়ে নির্বাচন করবেন বলে জানিয়েছেন। ৩১নং আলকরণ ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর তারেক সোলায়মান সেলিম বলেন, ব্যাক্তিগত আক্রোশের কারণে আমি মনোনয়ন বঞ্চিত হয়েছি। এলাকার মানুষের ভালোবাসা পেয়ে সিক্ত হয়েছি। দলের নীতি নির্ধারনী নেতা কর্মীদের সাথে আলোচনা করে নির্বাচন করবো।
৩৩নং ফিরিঙ্গি বাজার ওয়ার্ডের বর্তমান কাউন্সিলর হাসান মুরাদ বিপ্লব বলেন, জনগণই হচ্ছে সব কিছু। গত নির্বাচনেও আমি স্বতন্ত্র প্রার্থী হয়ে নির্বাচন করেছিলাম। জনগণ আমাকে প্রত্যাশিত রায় দিয়েছে। সেই রায়ে আমি কাউন্সিলর হয়েছি।
এছাড়া ওয়ার্ড আওয়ামী লীগের সভাপতি ও মহানগর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি আমি। স্থানীয় নির্বাচনে জনগণের ভোট সবচেয়ে বড়। গত ৫ বছর মানুষের পাশে ছিলাম। সৌন্দর্য বর্ধন থেকে শুরু করে হতদরিদ্র মানুষের পাশে থেকে মানুষের হৃদয়ে স্থান করে নিয়েছি। ব্যক্তি ইমেজের ওপর ভর করে আমি নির্বাচন করবো।
প্রসঙ্গত, গত বৃহসপতিবার (২০শে ফেব্রুয়ারি) রাতে চট্টগ্রাম সিটি কর্পোরেশন নির্বাচনে কাউন্সিলর পদে আওয়ামী লীগের দপ্তর সমপাদক ব্যারিস্টার বিপ্লব বড়ুয়া সাক্ষরিত এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে সাধারণ ওয়ার্ডে ৪১ জন এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৪ জনের নাম ঘোষণা করেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর