× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ১৩ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৭ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

‘ভোট দিছি না হের লাইগা ভাতা পাই না’

বাংলারজমিন

মাধবপুর (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

হবিগঞ্জের মাধবপুর উপজেলার মিঠাপুকুর গ্রামের শহীদ মিয়া। সংসার চালাতে এখন রাস্তায় নেমেছেন তিনি। ২ মেয়ের মধ্যে একজনকে কষ্ট করে বিয়ে দিয়েছেন তিনি। এখন স্ত্রী সখিনা বেগম ও মানসিক প্রতিবন্ধী অন্য মেয়েকে নিয়ে তার সংসার। জায়গা জমি বলতে বাড়ির ৩ শতক জায়গা ছাড়া আর কিছু নেই। ভোটার আইডি কার্ডে তার জন্ম সাল ১৯৫২। বয়সের ভারে এখন কাজ করার মতো শক্তি নেই এই বৃদ্ধের। তাই সংসার চালাতে মানুষের দ্বারে দ্বারে যান শহীদ মিয়া।
শহীদ মিয়া জানান, কয়েকবার মেম্বারের কাছে গেছি। বলছে ভাতার কার্ড কইরা দিব। এখনো পাইছি না। মেম্বাররে ভোট দিছি না দেইখা ভাতার কার্ড দিছে না। অনেকের বাড়ি, জমি আছে হেরা ভাতার কার্ড পাইছে। স্থানীয় ইউপি সদস্য মো. অহিদ মিয়া বলেন, ভাতার তালিকায় নতুন করে তার নাম দেয়া হয়েছে। আদাঐর ইউনিয়নের চেয়ারম্যান মো. ফারুক পাঠান জানান, বয়স্কভাতা, বিধবা ভাতা’র তালিকা করেন স্ব স্ব ওয়ার্ড মেম্বাররা। তারা তালিকা করেন ওয়েটিং লিস্ট করেন। এই বৃদ্ধ লোকটি ভাতা না পেয়ে থাকলে ভাতা দেয়ার ব্যবস্থা করা হবে। মাধবপুর উপজেলা সমাজসেবা কর্মকর্তা সোলাইমান মজুমদার জানান, এই বৃদ্ধ মানুষটি সম্পর্কে আমার জানা ছিল না। যদি তিনি ভাতা না পেয়ে থাকেন দ্রুত ভাতার আওতায় আনার ব্যবস্থা করা হবে।

অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর