× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের দুটি ধারা কেন অসাংবিধানিক নয়

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ এবং ৩১ ধারা কেন অসাংবিধানিক ঘোষণা করা হবে না, তা জানতে চেয়ে রুল জারি করেছেন হাইকোর্ট। গতকাল বিচারপতি শেখ হাসান আরিফ ও বিচারপতি মো. মাহমুদ হাসান তালুকদারের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ এ রুল জারি করেন। আগামী চার সপ্তাহের মধ্যে আইন, তথ্য ও যোগাযোগ প্রযুক্তি মন্ত্রণালয়ের সচিবকে রুলের জবাব দিতে বলা হয়েছে। আদালতে রিটের পক্ষে শুনানি করেন, আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক ও আইনজীবী শিশির মনির। রাষ্ট্রপক্ষে ছিলেন, ডেপুটি অ্যাটর্নি জেনারেল বিপুল বাঘমার।
আইনজীবী শিশির মনির বলেন, ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারায় যে অপরাধের কথা বলা আছে, তা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত নয়। যেমন ২৫ ধারায় বলা আছে, কেউ ভীতিকর, অসত্য অথবা বিরক্তিকর, আক্রমণাত্মক তথ্য প্রকাশ করে, এখন কোনটা ভীতিকর, কোনটা আক্রমাণাত্মক, কোনটা বিরক্তিকর তা সুনির্দিষ্টভাবে সংজ্ঞায়িত করা নেই। ৩১ ধারার বেলায়ও তাই। ৩১ ধারায় বলা আছে যদি আইন-শৃঙ্খলার অবনতি ঘটে অথবা যদি অস্থিরতা তৈরি হয়, এখন প্রশ্ন হলো অস্থিরতা টা কি, আইন-শৃঙ্খলার অবনতি বলতে কি বোঝায়- এগুলোর কোনোটার সংজ্ঞা সুনির্দিষ্ট করা নেই এই আইনে।
এই অস্পষ্টতার কারণে আইন প্রয়োগকারী সংস্থা যাকে ইচ্ছা তাকেই ধরতে পারবে। আইনজীবী শিশির আরো বলেন, সাংবিধানিক অধিক্ষেত্রের প্রেক্ষিতে এটাকে বলে ডকট্রিন অব ভেগনেস। অর্থাৎ যে সমস্ত আইনে দণ্ড উল্লেখ থাকে সেসব আইন এরকম অস্পষ্ট থাকতে পারবে না। তাছাড়া সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদে মত প্রকাশের যে স্বাধীনতা দেয়া আছে, তার সাথে ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫ ও ৩১ ধারা সাংঘর্ষিক। অপর আইনজীবী ইমরান এ সিদ্দিক বলেন, আইনটির ২৫ ধারায় আক্রমণাত্মক, মিথ্যা বা ভীতি প্রদর্শক তথ্য-উপাত্ত প্রেরণ-প্রকাশ ইত্যাদি বিষয়ে বলা আছে। ৩১ ধারায় আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানো ইত্যাদি অপরাধের দন্ডের বিষয় বলা আছে। ধারা দুটিতে যে অপরাধের কথা বলা হয়েছে, তা সুস্পষ্ট নয়। ধারা দুটি সংবিধানের ৩৯ অনুচ্ছেদের সঙ্গে সাংঘর্ষিক। এই যুক্তিতে রিটটি করা হলে আদালত রুল দেন।
গত ১৯শে জানুয়ারি ডিজিটাল নিরাপত্তা আইনের ২৫, ২৮, ২৯ ও ৩১ ধারার বৈধতা চ্যালেঞ্জ করে হাই কোর্টে এ রিট আবেদন করা হয়। বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের মহাসচিব মোহাম্মদ আবদুল্লাহ, সুপ্রিম কোর্টের আইনজীবী মো. আসাদ উদ্দিন, মো. আসাদুজ্জামান, মো. জোবাইদুর রহমান, মো. মহিউদ্দিন মোল্লা ও মো. মুজাহিদুল ইসলাম, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সহযোগী অধ্যাপক ড. মোহাম্মদ ইসমাইল, ড. মো. কামরুজ্জামান ও ড. মো. রফিকুল ইসলাম রিটের আবেদনকারী।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর