× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

ছেলের জন্যই এই উদ্‌যাপন

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

তৃতীয় ডাবল সেঞ্চুরির পর বাঘের মতো থাবা দেখিয়ে উদ্‌যাপন করলেন মুশফিকুর রহীম। শান্ত স্বভাবের মুশফিককে এই ধরনের উদ্‌পযাপন করতে দেখা যায় না সাধারণত। কেন এমন ক্ষ্যাপাটে হলেন তিনি! এটা কি সমালোচনার জবাব? নাকি ব্যাটিং ব্যর্থতা থেকে বের হওয়ার আনন্দ! দিন শেষে সংবাদ সম্মেলনে এসে মুশফিক জানালেন তার রহস্য। মুশফিক বলেন, ‘এটা (উদ্‌যাপন) আমি আগে থেকে চিন্তা করি নাই। ডাবল হান্ড্রেড করার পরে তা করি। কারণ আমার ছেলে আসলে ডাইনোসরের খুব বড় ফ্যান। ও সবসময় ডাইনোসর দেখলে অন্যরকম সেলিব্রেশন করে। সেইটাই জাস্ট করার চেষ্টা করছিলাম।
তো আমার ডাবল সেঞ্চুরিটা ওর জন্য।’ তবে যাই হোক তার ব্যাটে চড়েই টাইগাররা ভেঙেছে ব্যাটিং ব্যর্থতার দেয়াল। জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে ঢাকা টেস্ট শুরুর আগে অধিনায়ক মুমিনুলন হক সৌরভ হঠাৎ করেই সংবাদ মাধ্যমকে বলেছিলেন- ‘কথা দিলাম। দেখবেন এই ম্যাচে সেঞ্চুরি কিংবা তার চেয়ে বেশি কিছু দেখবেন।’ আর কেউ কথা রাখুক বা না রাখুক শুরুটা তিনিই করলেন ১৩২ রানের ইনিংস খেলে। এরপর অধিনায়কের বিশ্বাসের প্রতি সম্মানই বলা চলে মুশফিকের অপরাজিত ২০৩ রানের ইনিংস।
সবার ধারণা এই ম্যাচের আগে তাকে টেস্ট দলে রাখা হবে না এমন গুঞ্জন ছড়িয়ে পড়েছিল। বলা হচ্ছিল পাকিস্তান সফর থেকে নিজের নাম প্রত্যাহার করে নেয়াতে তাকে ঢাকা টেস্টে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষেও সুযোগ দেয়া হবে না। মুশফিক বলেন, ‘সেঞ্চুরির পরের উদযাপনটা কারো উদ্দেশ্যে ছিলো না। আমি ক্যারিয়ারে কখনো প্রতিশোধ বা প্রতিবাদের জন্য সেলিব্রেশন করি নাই। আমি সবসময় মনে করি যে আমি আমার নিজের সঙ্গে ফাইট করি।’
২৪০ রানে ৩ উইকেট হারানোর পর দলের হাল ধরেছিলেন মুশফিক। গতকাল দিনশেষে মুশফিক বলেন, ‘উইকেট ভালো ছিলো। ব্যাটিংয়ের জন্য আদর্শ। ওদের থ্রেট বোলার ছিলো না, সুইং, রিভার্স সুইং বা স্পিন করছিলো এমন বলার নেই। তাই একটু ইজি আমার কাছে মনে হয়েছে।’ মুশফিক বলেন, ‘প্রেশার রিলিফের তো কিছু নেই, আপনি যদি খেয়াল করে দেখেন লাস্ট টেস্ট ইনিংসেও আমি ৭৪ করেছি। এইটা আমার কাছে কখনও প্রেশার মনে হয় নাই। আমার কাছে হয় যে একাদশে যখন খেলবো কিভাবে বেশি অবদান রাখতে পারি, জয়ের জন্য। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ এইটা আমার কাছে। আর একটা টার্গেট ছিলো উইকেট যেহেতু খুব ভালো, আমাদের একটা টিম প্ল্যানিং ছিলো টপ সিক্সের মধ্যে যেই সেট হবে, আমরা ১০০, ১৫০ কিংবা ২০০ এরকম করতে পারি। মুমিনুল অনেক চেষ্টা করেছে, অনেক ভালো ব্যাটিং করেছে, শান্তও ভালো ব্যাটিং করেছে টপে। আমি ডাবল সেঞ্চুরি করতে পেরেছি। সবচাইতে ভালো দিক যে আমাদের দল এখন আল্লাহর রহমতে ভালো একটা অবস্থানে আছে। যেটা দরকার ছিলো।’
মুশফিক প্রথম ডাবলে এসেছিল কাটায় কাটায় ২০০ রান শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে। দ্বিতীয় ডাবলে ২১৯ রানে অপরাজিত ছিলেন। গতকাল ইনিংস ঘোষণা না করলে সেই রেকর্ডও ভাঙতে পারতেন। শুধু তাই নয় দলের লিড ছাড়াতো ৩০০ রান। এমন হঠা ইনিংস ঘোষাণায় একটু রুষ্ঠই হয়েছেন তিনি। তা জানিয়েছেনও অকপটে। তিনি বলেন, ‘তা তো অবশ্যই, ইনশাআল্লাহ্‌ হতো। আমি আসলে এক্সপেক্ট করি নাই এরকম ডিক্লেয়ার দিবে। আমার নিজের কাছে মনে হয়েছিলো যে আমাদের যতটুকু সময় ছিলো অলমোস্ট ২দিন। আর তার থেকে বড় ব্যাপার যে উইকেটে আমরা যত বেশি ব্যাটিং করবো আরও কঠিন হবে। আমাদের চা বিরতির সময় ওরকম কোনো আলোচনা হয়নি। লাস্ট হাফ ঘন্টার আগে জানতে পেরেছি যে লাস্ট ৬ থেকে ৮ ওভারের মতো ওদেরকে দিবো। তার আগে তো প্ল্যান ছিলো লিটন যদি থাকে একটা ব্যাটসম্যান থাকলে আমার জন্য একটু সহজ হয়। আমার প্ল্যান ছিলো ও যদি একটা ১০০ করে ফেলে তাহলে আমারও ৩০০ রানের কাছে হবে। সেটা আজকে তো না কালকে প্রথম সেশনে হয়ে যেত। কিন্তু আমি মনে করি যে ভবিষ্যতে যদি এরকম সুযোগ আসে চেষ্টা করবো সেটা কাজে লাগানোর। এখন পর্যন্ত যেটা হয়েছে দল ভালো একটা পজিশনে আছে।’
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর