× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বন্ধ রেখেছে চায়না ইস্টার্ন /করোনা আতঙ্কে চীনের সঙ্গে ফ্লাইট কমছে

শেষের পাতা

স্টাফ রিপোর্টার
২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২০, মঙ্গলবার

মরণঘাতী করোনা ভাইরাসের কারণে চীন যাতায়াতে চরম যাত্রী সংকটে পড়েছে এয়ারলাইন্সগুলো। সপ্তাহে ৭ দিনের
ফ্লাইট কমিয়ে এখন করা হয়েছে তিন দিন। এমনকি বন্ধ রাখা হয়েছে ফ্লাইটের অপারেশনাল কার্যক্রম। ২৯শে ফেব্রুয়ারি পর্যন্ত চীনে যাতায়াত সম্পূর্ণ বন্ধ রেখেছে চায়না ইস্টার্ন। নতুন করে কোন টিকিট বিক্রিও করছে না তারা। পাশাপাশি আগে থেকে যারা টিকিট কিনে রেখেছেন তাদের টাকা ফেরত দেয়া হচ্ছে। ২৯শে ফেব্রুয়ারির পর চীনে ফ্লাইট পরিচালনা নিয়ে নতুন করে ভাববে সংস্থাটি। চায়না ইস্টার্নের টিকিট বিক্রেতা গাজী ফরহাদ বলেন, আপাতত চীনে যাতায়াত বন্ধ রাখা হয়েছে।
আমাদের টিকিট বিক্রি বা বুকিং নিতে নিষেধ করা হয়েছে। নতুন নির্দেশনা না পাওয়া পর্যন্ত কোন ধরনের টিকিট বিক্রি করছি না। বুকিংও নেয়া হচ্ছে না।  বর্তমানে দেশীয় বিমান সংস্থার মধ্যে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনস এবং বিদেশি বিমান সংস্থার মধ্যে চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনস সরাসরি ফ্লাইট পরিচালনা করছে। কিছুদিন আগেও সপ্তাহের সাত দিনই ফ্লাইট চালিয়েছে ইউএস বাংলা এয়ারলাইনস ও চায়না সাউদার্ন এয়ারলাইনসের। তবে এ দুটি বিমান সংস্থার ফ্লাইট চলে ঢাকা-গুয়াংজু রুটে। কিন্তু করোনা ভাইরাসের কারণে ফ্লাইট সংখ্যা কমিয়ে দিয়েছে ওই দুটি এয়ারলাইনস। সপ্তাহে সাত দিনের বদলে এখন থেকে সপ্তাহে তিন দিন ফ্লাইট চালাচ্ছে তারা। এ প্রসঙ্গে ইউএস-বাংলা এয়ারলাইনসের ব্যবস্থাপক (জনসংযোগ) কামরুল ইসলাম মানবজমিনকে বলেন, করোনা ভাইরাসের কারণে চীন যাতায়াতে যাত্রী সংখ্যা কমেছে অনেক। এ কারণে সম্প্রতি আমাদের এয়ারলাইনসের ফ্লাইট সংখ্যা কমানো হয়েছে। ৭ দিনের পরিবর্তে এখন রোববার, বুধবার ও শুক্রবার ফ্লাইট পরিচালনা করা হচ্ছে। তিনি বলেন, প্রতি ফ্লাইটে ২৫ থেকে ৩০ ভাগ যাত্রী চীনে যাচ্ছে। আর ফিরছে অন্তত ৬০ থেকে ৬৫ ভাগ। বন্ধ করার কোন পরিকল্পনা রয়েছে কিনা প্রশ্নে তিনি বলেন, আপাতত এ ধরনের কোন পরিকল্পনা নেই। পরবর্তীতে পরিস্থিতি বুঝে ব্যবস্থা নেয়া হবে। সংশ্লিষ্টরা জানান, চীন থেকে বাংলাদেশে সরাসরি ফ্লাইট চলাচল করছে বেশ কয়েক বছর ধরে। ব্যবসা-বাণিজ্য ছাড়াও বহু শিক্ষার্থী পড়াশোনার জন্য চীনে যাতায়াত করেন। এ ছাড়া বাংলাদেশে পদ্মা সেতু, পায়রা তাপবিদ্যুৎকেন্দ্রের মতো বড় প্রকল্পগুলোতে চীনা প্রকৌশলীরা কাজ করছেন। এদিকে চীন থেকে সরাসরি আসা ফ্লাইটগুলোকে বোর্ডিং ব্রিজ দেয়া হচ্ছে না বলে জানিয়েছে সিভিল এভিয়েশন কর্তৃপক্ষ। চীন থেকে আসা ফ্লাইটগুলোর যাত্রীরা বিকল্প পথ দিয়ে বিমানবন্দরের ভেতরে যাচ্ছেন। সেখানে তাদের আলাদাভাবে স্বাস্থ্য পরীক্ষাসহ আনুষঙ্গিক কার্যক্রম পরিচালনার কাজ চলবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর