× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক প্রয়াত

বিশ্বজমিন

মানবজমিন ডেস্ক
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৫, ২০২০, মঙ্গলবার, ৫:১৪ পূর্বাহ্ন

মিসরের সাবেক প্রেসিডেন্ট হোসনি মোবারক মৃত্যুবরণ করেছেন। ৯১ বছর বয়সে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় শেষ নিঃশ্বাস ত্যাগ করেন তিনি। জীবদ্দশায় দেশটির চতুর্থ প্রেসিডেন্ট হিসেবে ১৯৮১ সাল থেকে টানা প্রায় ৩০ বছর ক্ষমতায় ছিলেন তিনি। তবে ২০১১ সালে এক মধ্যপ্রাচ্যজুড়ে শুরু হওয়া আরব বসন্ত বিদ্রোহের মুখে তার পতন হয়। জনপ্রিয় সামরিক অভ্যুত্থানে ক্ষমতাচ্যুত হন তিনি। ক্ষমতাচ্যুত হওয়ার পর বিক্ষোভকারী হত্যার অভিযোগে দোষী সাব্যস্ত হন তিনি। কিন্তু ২০১৭ সালে ওই রায় থেকে মুক্তি দেয়া হয় তাকে। তার এই নিষ্কৃতিতে হতবাক হন বেশিরভাগ মিসরীয়।
তার মুক্তির বিরুদ্ধে বিক্ষোভ হয়।

আল জাজিরার এক প্রতিবেদনে বলা হয়, ঠিক কী কারণে মোবারকের মৃত্যু হয়েছে তা জানা যায়নি। মিসরের রাষ্ট্র পরিচালিত গণমাধ্যম জানিয়েছে, রাজধানী কাইরোর গালা সামরিক হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় মৃত্যু হয়েছে মোবারকের। সেখানে এক রোগের জন্য সার্জারি করা হয়েছিল তার। তবে কিসের সার্জারি তা জানা যায়নি। স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, তার স্বাস্থ্য অবনতির দিকে ছিল। এর বেশিকিছু জানানো হয়নি। মোবারকের এক ছেলে আলা সপ্তাহান্তে জানিয়েছিলেন, তার বাবা এক সার্জারি শেষে ইনটেনসিভ কেয়ারে আছেন।

বিতর্কিত শাসনামল
মোবারকের জন্ম ১৯২৮ সালে, নীল নদ সংলগ্ন এক গ্রামে। বিতর্কিত এক ইতিহাস রেখে গেছেন তিনি। তার শাসনামলে মিসরে দুর্নীতি, পুলিশি নৃশংসতা, রাজনৈতিক দমন ও অর্থনৈতিক সংকট চরম আকারে বৃদ্ধি পায়।
মোবারক বহুদিন নিজেকে নির্দোষ দাবি করে গেছেন। দাবি করেছিলেন, ইতিহাস তাকে একজন দেশপ্রেমিক হিসেবে বর্ণনা করবে।

১৯৪৯ সালে মিসরের বিমান বাহিনীতে যোগ দেন তিনি। সে বছরই পাইলট হিসেবে গ্র্যাজুয়েট করেন। ধীরে ধীরে পদোন্নতি পেয়ে ১৯৭২ সালে দেশটির বিমান বাহিনীর প্রধান হয়ে ওঠেন। ওই বছর ইসরাইলের সঙ্গে যুদ্ধে দুর্দান্ত পারদর্শিতা দেখিয়ে জাতীয় বীরে পরিচিত হন তিনি। নিরাপত্তা নিয়ে তার কঠোর অবস্থান ইসরাইলের সঙ্গে শান্তি চুক্তি রক্ষা করতে সহায়ক ছিল। তার শাসনামলে অঞ্চলটিতে যুক্তরাষ্ট্রের প্রভাব বৃদ্ধি পায়। ২০১১ সালে তার সরকারকে ১৩০ কোটির ডলার সামরিক সহায়তা দেয় মার্কিন সরকার।

২০১১ সালে তার বিরুদ্ধে বিক্ষোভ জেগে ওঠে। গোটা মধ্যপ্রাচ্যই তখন আরব বসন্তে ফুঁসছিল। টানা বিক্ষোভে এক সামরিক অভ্যুত্থানে তার পতন হয়। বিক্ষোভকারীদের কাছে তিনি ছিলেন ‘নব্য-ফেরাউন’। ক্ষমতাচ্যুত হয়ে ২৩৯ জন বিক্ষোভকারীকে হত্যার দায়ে তার জেল হয় ২০১২ সালে। তবে ২০১৭ সালে বেশিরভাগ অভিযোগ থেকে নিষ্কৃতি পেয়ে মুক্ত হন তিনি। এর মাঝে ২০১৫ সালে তাকে ও তার দুই সন্তানকে জনতহবিল অপব্যবহারের অভিযোগে আরো ৩ বছরের জেল দেয়া হয়েছিল।

গ্রেপ্তার হওয়ার পর থেকে বেশিরভাগ সময় হাসপাতালেই কাটিয়েছেন মোবারক। বেশিরভাগ মিসরীয়র কাছে তার শাসনামল ছিল স্বৈরাচার ও অর্থনৈতিক বৈষম্যের সময়। তার পতনের পর দেশটিতে প্রথম স্বাধীন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়। প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হন মোহাম্মদ মোরসি। কিন্তু এক বছরের মাথায় তিনিও গণবিক্ষোভ ও সামরিক অভ্যুত্থানের মুখে ক্ষমতাচ্যুত হন। ওই অভ্যুত্থানে নেতৃত্ব দেন তৎকালীন প্রতিরক্ষামন্ত্রী জেনারেল আব্দেল ফাত্তাহ আল সিসি। মোরসিকে সরিয়ে প্রেসিডেন্টের আসন গ্রহণ করেন। তিনিই বর্তমানের দেশটির প্রেসিডেন্ট।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর