× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

যুক্তরাষ্ট্র-ভারত ৩০০ কোটি ডলারের প্রতিরক্ষা চুক্তি সই

শেষের পাতা

মানবজমিন ডেস্ক
২৬ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বুধবার

শেষ হলো মার্কিন প্রেসিডেন্ট ডনাল্ড ট্রাম্পের ৩৬ ঘণ্টার ভারত সফর। তাকে স্বাগত জানাতে ব্যাপক আয়োজন করেছিল নরেন্দ্র মোদির সরকার। সফরটি ঘিরে সরব রয়েছে মিডিয়াপাড়া। নানা ঘটনায় আলোচিত মার্কিন প্রেসিডেন্টের এই স্বল্পমেয়াদি ভারত সফর। কয়েক কোটি টাকার ফুল থেকে শুরু করে দেয়াল নির্মাণ, ট্রাম্পের মূর্তি তৈরির মতো ব্যাপারতো ছিলই। তবে সব ছাপিয়ে ফুটে উঠেছে তার নয়াদিল্লি সফরের আগে সেখানে নাগরিকত্ব সংশোধন আইন (সিএএ) বিরোধী বিক্ষোভ ও সংঘর্ষ। সোমবার ও মঙ্গলবার রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছিল শহরটি। প্রাণ হারিয়েছেন ১০ জন।
আহত হয়েছেন অনেকে। কিন্তু সিএএ নিয়ে প্রশ্ন করলে তা এড়িয়ে যান মার্কিন প্রেসিডেন্ট। বলেন, এটা পুরোপুরি ভারতের ব্যাপার।

এদিকে, সম্প্রতি ভারতের অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধির নেতিবাচক গতি বিবেচনায় অনেকে দুই দেশের মধ্যে বড় ধরনের বাণিজ্য চুক্তি হওয়ার আশা করেছিলেন। তবে তেমনটি ঘটেনি। মোদির সঙ্গে ৩০০ কোটি ডলারের সামরিক সরঞ্জাম বিক্রির চুক্তি করেছেন ট্রাম্প। জানিয়েছে, আলোচনায় অগ্রগতি হলেও বাণিজ্যচুক্তি হয়নি তাদের মধ্যে।

স্থানীয় গণমাধ্যম অনুসারে, মঙ্গলবার সকালে মোদির সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক করেন ট্রাম্প। বৈঠক শেষে তিনি জানান, যুক্তরাষ্ট্রের কাছ থেকে ২৪টি সি-হক হেলিকপ্টার ও অন্যান্য সামরিক সরঞ্জাম কিনবে ভারত। এ বিষয়ে দু’পক্ষের মাঝে ৩০০ কোটি ডলারের চুক্তি হয়েছে। রাশিয়া ও চীনের সঙ্গে সামরিক পার্থক্য ঘুচিয়ে আনতে জোর দিচ্ছে ভারত। এছাড়া বাণিজ্যিক চুক্তির ক্ষেত্রেও অগ্রগতির কথা তুলে ধরেন ট্রাম্প। জানান, উভয় পক্ষই এ নিয়ে কাজ করছে। তবে এ সফরে তেমন কোনো চুক্তি হয়নি।

তিনি বলেন, আমাদের আলোচনাকারীরা একটি সুষ্ঠু বাণিজ্য চুক্তির দিকে ব্যাপক অগ্রগতি লাভ করেছে। আমি আশাবাদী আমরা একটি চুক্তিতে পৌঁছাতে পারবো, যেটি উভয় দেশের জন্য গুরুত্বপূর্ণ হবে। এ ছাড়া, ভারতে ফাইভজি টেলিকম নেটওয়ার্ক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তা নিয়েই মোদির সঙ্গে আলোচনা করেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট।

এদিন সকালে ভারতের রাষ্ট্রপতি ভবনে ট্রাম্প ও তার স্ত্রী মেলানিয়াকে অভ্যর্থনা জানানো হয়। বিকালে মোদিকে ছাড়া এক সংবাদ সম্মেলন করেন তিনি। উল্লেখ্য, সংবাদ সম্মেলনে যোগ না দেয়ার জন্য সমালোচিত মোদি। প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ার পর একবারের জন্যও কোনো সংবাদ সম্মেলনে যোগ দেননি তিনি।

সিএএ, দিল্লি সংঘর্ষ ও ধর্মীয় বৈষম্যতা: বিকালের সংবাদ সম্মেলনে সিএএ, ভারত-পাকিস্তান সম্পর্ক নিয়ে আলোচনা করেন ট্রাম্প। সিএএ ও ধর্মীয় বৈষম্য নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা হলে মোদির সমর্থনে উত্তর দেন মার্কিন প্রেসিডেন্ট। তিনি বলেন, তাদের দু’জনের মধ্যে এ বিষয়ে আলোচনা হয়েছে। এ ব্যাপারে মোদির উত্তরে তিনি সন্তুষ্ট।

ট্রাম্প বলেন, আমরা ধর্মীয় স্বাধীনতা নিয়ে আলোচনা করেছি। আমি বলবো, প্রধানমন্ত্রী অসাধারণ ছিলেন। ভারতে মহান ও উন্মুক্ত ধর্মীয় স্বাধীনতা প্রতিষ্ঠায় তারা কঠোর পরিশ্রম করেছেন। তবে বিতর্কিত সিএএ নিয়ে সরাসরি কোনো জবাব দেননি তিনি। আইনটি নিয়ে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, আমি এ ব্যাপারে আলোচনা করতে চাই না। আমি আশাবাদী তারা জনগণের জন্য সঠিক সিদ্ধান্তই নেবে। দিল্লির সহিংস সংঘর্ষ নিয়ে জিজ্ঞেস করলে ফের মোদির প্রতি আত্মবিশ্বাস প্রকাশ করেন ট্রাম্প। বলেন, আমি ব্যক্তিগত হামলার কথা শুনেছি। তবে এটা ভারতের অভ্যন্তরীণ বিষয়।
পাক-ভারত সম্পর্কে: মোদির সঙ্গে তার বৈঠকে পাক-ভারত সম্পর্ক নিয়েও আলোচনা হয়েছে বলে জানান ট্রামপ। বলেন, পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী ইমরান খানের সঙ্গে আমার ভালো সমপর্ক রয়েছে বলে জানেন আপনারা। ভারতের সঙ্গেও আমার ভালো সমপর্ক রয়েছে। ভারত একটি মহান রাষ্ট্র। এটা এমন একটা সমস্যা যার সমাধান দুই দেশকে বের করতে হবে। দেশ দুটির মধ্যে সমস্যা রয়েছে, আপনারা জানেন। আমি আমার সামর্থ্য অনুযায়ী তাদের সম্পর্ক উন্নতিতে সব করবো।

 ট্রাম্প বলেন, আমরা সন্ত্রাসবাদ নিয়েও আলোচনা করেছি। মোদি একজন ধর্মপ্রাণ মানুষ, কিন্তু বেশ শক্তও। আমি নিশ্চিত তিনি এটা সামলাতে পারবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর