× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রাবিতে বিভাগের নাম পরিবর্তনের দাবিতে আমরণ অনশনে শিক্ষার্থীরা

শিক্ষাঙ্গন

রাবি সংবাদদাতা
(৪ বছর আগে) ফেব্রুয়ারি ২৬, ২০২০, বুধবার, ৭:১০ পূর্বাহ্ন

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ের (রাবি) পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট বিভাগের নাম ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ করার দাবিতে শিক্ষার্থীরা আমরণ অনশন করেছে। উপাচার্য বিভাগের নাম পরিবর্তনের ঘোষণা না দিলে অনশন অব্যাহত থাকবে বলে জানিয়েছেন আন্দোলনরত শিক্ষার্থীরা। বুধবার সকাল ১০টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের স্যার জগদীশ চন্দ্র বসু একাডেমিক ভবনের সামনে অবস্থান নিয়ে তারা এ কর্মসূচি শুরু করেন। প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত তারা এ কর্মসূচি চলছে। অনশনরত শিক্ষার্থীরা অভিযোগ করে বলেন, শুধুমাত্র রাবি ছাড়া অন্য কোনো বিশ্ববিদ্যালয়ে এই নামে বিভাগ নেই। পপুলেশন সায়েন্স নামে বিষয়টি বিশ্বজুড়ে সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদে এবং হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিষয়টি ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদে পড়ানো হয়। আর সামাজিক বিজ্ঞান অনুষদের একটি স্বতন্ত্র বিষয় ও ব্যবসায় শিক্ষা অনুষদের অন্য আরেকটি স্বতন্ত্র বিষয়কে এক করে শুধুমাত্র রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয়ে পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ডেভেলপমেন্ট নামে বিএসসি সার্টিফিকেট দেওয়া হয়।

শিক্ষার্থীরা আরও বলেন, বিভাগ প্রতিষ্ঠার পর দীর্ঘ ২৪ বছর পেরিয়ে গেলেও পিএসসিতে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্ত হয়নি। কেউ আমাদের বিজ্ঞান অনুষদের বলে মেনে নেয় না।
এতে আমরা না পাই কোন গবেষণার সুযোগ, না পাই বিজ্ঞান অনুষদের সুযোগ-সুবিধা। পপুলেশন সায়েন্স এন্ড হিউম্যান রিসোর্স ম্যানেজমেন্ট বিভাগের মোট ক্রেডিট ১৬০। আমাদের ফলিত পরিসংখ্যান সিলেবাসের ১০১ ক্রেডিট পড়ানো হয়। যা মূল সিলেবাসের ৭২.১৪ শতাংশ। এছাড়া অন্য বিশ্ববিদ্যালয়ের পরিসংখ্যান বা ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের সিলেবাসের সঙ্গে ৯৫ শতাংশেরও বেশি মিলে যায়। তাই আমরা বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ‘ফলিত পরিসংখ্যান’ দেওয়ার দাবিতে অনশন করছি। এসময় শিক্ষার্থীরা ফলিত পরিসংখ্যান বিভাগের অধীনেই পরবর্তী ক্লাস পরীক্ষায় ফিরে যাওয়ার শপথ গ্রহণ করেন। এদিকে বুধবার দুপুর ২টায় প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমানসহ প্রক্টরিয়াল বডি সেখানে উপস্থিত হন। পরে প্রক্টরিয়াল বডি ও বিভাগের শিক্ষকরা অনশন স্থগিত করার অনুরোধ করেন। এসময় কয়েকজন সিন্ডিকেট সদস্য, তবে উপাচার্য ঘোষণা না দেয়া পর্যন্ত অনশন কর্মসূচি অব্যাহত রাখবেন শিক্ষার্থীরা। বিষয়টি জানতে বিভাগের সভাপতিকে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করলে ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।
এবিষয়ে বিভাগের অধ্যাপক মো. আশরাফুল ইসলাম খান বলেন, আমরা একাডেমিক কাউন্সিলের কয়েকজন সিনিয়র শিক্ষকসহ বিভাগের শিক্ষার্থীদেরকে অনশন না করার জন্য অনুরোধ করেছি। কিন্তু তারা তা অব্যাহত রেখেছে। শিক্ষার্থীদের যেহেতু উপাচার্য স্যার বাহিরে আছেন। উনি এলে বা প্রশাসনের অনুমতি নিয়ে আমরা গণমাধ্যমে বিষয়টি ক্লিয়ার করবো।
বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক লুৎফর রহমান বলেন, শিক্ষার্থীদের অনশন কর্মসূচি স্থগিতের আহ্বান জানিয়েছিলাম। কিন্তু তারা শুনেনি। বিভাগের নাম পরিবর্তনের বিষয়টি আলোচনায় বসে সমাধান করতে হবে। উপাচার্য স্যার বিশ্ববিদ্যালয়ের কাজে ঢাকা আছেন, তিনি এলে আলোচনা করে বিষয়টি সমাধান করা হবে। এবিষয়ে উপাচার্যের সঙ্গে মুঠোফোনে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলে কোন সাড়া পাওয়া যায়নি।

প্রসঙ্গত, পিএসসি’তে বিষয় কোড অন্তর্ভুক্তের দাবি জানিয়ে গত ১৯শে জানুয়ারি থেকে ক্লাস-পরীক্ষা বর্জন করে মানববন্ধন, অবস্থান কর্মসূচিসহ বিভিন্ন কর্মসূচি পালন করে আসছে ওই বিভাগের শিক্ষার্থীরা। তবে বর্তমানে বিভাগের নাম পরিবর্তন করে ফলিত পরিসংখ্যান করার দাবিতে আমরণ অনশন শুরু করেছে তারা।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর