× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৮ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ৫ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৯ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বকশীগঞ্জে ব্রিজ নির্মাণে পুকুর চুরি

বাংলারজমিন

বকশীগঞ্জ (জামালপুর) প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

জামালপুরের বকশীগঞ্জে দুর্যোগ ব্যবস্থাপনা ও ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের অধীনে ৩৬ মিটার দৈর্ঘ্য ৮টি সেতু নির্মিত হচ্ছে। ২০১৯-২০ অর্থবছরে বকশীগঞ্জ সদর ইউনিয়নের মহির উদ্দিনের বাড়ির পিছনে খালের ওপর একটি ব্রিজ নির্মাণকাজ পায় মেসার্স দৌলত এন্টারপ্রাইজ। ব্রিজটির কার্যাদেশ মূল্য ধরা হয় ৩০ লাখ ৭৯ হাজার ৪৬৩ টাকা। গত বছর ২০ নভেম্বর ব্রিজটি নির্মাণকাজ শুরু হওয়ার কথা থাকলেও চলতি বছর জানুয়ারিতে নির্মাণকাজ শুরু করে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। নির্মাণকাজ শুরু থেকেই ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির নিম্নমানের নির্মাণ সামগ্রী ব্যবহার করে ব্রিজটি নির্মাণের অভিযোগ করলেও স্থানীয়দের অভিযোগ আমলেই নিচ্ছে না ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটি। শুধু তাই নয়, বন্যাকবলিত এই এলাকাটিতে ব্রিজ নির্মাণে পাইলিং ও ড্রপ ওয়াল নির্মাণে বেশ সতর্কতা অবলম্বন করার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন করে ব্রিজ নকশা প্রণয়ন করে স্থানীয় প্রকল্প বাস্তবায়ন অফিস। এই নকশাও যথাযথভাবে ভাবে অনুসরণ না করারও অভিযোগ উঠেছে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানটির বিরুদ্ধে। সরজমিনে অভিযোগের সত্যতাও শতভাগ পাওয়া যায়।
ব্রিজ নির্মাণ ব্যবহৃত বালি, পাথরও অত্যন্ত নিম্নমানের। রড ব্যবহারের রয়েছে ব্যাপক অনিয়ম। ব্রিজটি টিকসই করার লক্ষ্যে নকশা অনুযায়ী ড্রপ ওয়ালে ৪ফিট দীর্ঘ হয়ে মাটির নিচে যাওয়ার কথা থাকলেও তা করা হয়ে মাত্র দেড় ফিট। নকশা অনুযায়ী প্রস্থ ৮ ইঞ্চি করার নিয়ম থাকলেও করা হয়েছে মাত্র ৫ ইঞ্চি। এসব অনিয়ম ঢাকাতেই তড়িঘড়ি ঢালাই দেয়ার অভিযোগ করে স্থানীয়রা। এ বিষয়ে স্থানীয় বাসিন্দা লিপন ও সোহেলসহ বেশ কয়েকজন বাধা দিলেও কাজে আসেনি। এ বিষয়ে লিপন মিয়া জানান, ব্রিজ নির্মাণ প্রথম থেকে এরা বিভিন্ন অনিয়ম করে আসছে। ব্রিজে রড কম দেয়া হয়েছে। যেসব রড দেয়ার কথা ছিল সেগুলো সঠিকভাবে না দিয়ে তুলনামূলক চিকন রড দেয়া হয়েছে।
 
সোহেল মিয়া জানান, বাধা দিলেও আমাদের হুমকি দেয়া হয়। এভাবে ব্রিজটি নির্মাণ করলেও কম সময়ের মধ্যে ধসে পড়বে।
এ বিষয়ে বকশীগঞ্জ উপজেলা প্রকল্প বাস্তবায়ন কর্মকর্তা মাহাবুব হাসান খানের সঙ্গে যোগাযোগ করলেও তিনি ফোন ধরেননি।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর