× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রূপগঞ্জে ছাত্রলীগের দু’পক্ষে সংঘর্ষ

বাংলারজমিন

স্টাফ রিপোর্টার, রূপগঞ্জ থেকে
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

নারায়ণগঞ্জের রূপগঞ্জে আধিপত্য বিস্তারকে কেন্দ্র করে ছাত্রলীগের দুই পক্ষের দফায় দফায় ধাওয়া পাল্টা-ধাওয়া ও সংঘর্ষের ঘটনা ঘটেছে। এ সময় স্থানীয় বিভিন্ন ব্যবসা প্রতিষ্ঠান ও ঘরবাড়িতে হামলা চালানো হয়েছে। উভয় পক্ষের সশস্ত্র মহড়ায় পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। সংঘর্ষকালে এক পক্ষ আরেক পক্ষের দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও কার্যালয়ে অগ্নিসংযোগ করে। মঙ্গলবার রাতে উপজেলার ভুলতা এলাকায় এই সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। হামলার ঘটনায় উভয়পক্ষে কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা  গেছে। স্থানীয় সূত্র জানায়, মঙ্গলবার সন্ধ্যায় উপজেলার ভুলতা এলাকায় রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূঁইয়ার মাসুমের সাথে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার তুচ্ছ ঘটনা নিয়ে বসচা বাধে। এক পর্যায়ে মাসুমের সঙ্গে হানজালার লোকজনের হাতাহাতির ঘটনা ঘটে।
কিছুক্ষণ পরেই হামজালার লোকজন অস্ত্রশস্ত্রে সজ্জিত হয়ে ভুলতা থেকে নাহাটি এলাকায় মহড়া দেয়। এরপর শেখ ফরিদ ভূইয়া মাসুম ও রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল আলম সিকদারের লোকজনও একত্রিত হয়ে সশস্ত্র অবস্থায় পাল্টা মহড়া দেয়। এ সময় ফয়সাল শিকদারের লোকজন হামজালার দলীয় কার্যালয় ভাঙচুর ও অফিসটিতে আগুন ধরিয়ে দেয়। এছাড়া একটি মুদির দোকানসহ আশেপাশের কয়েকটি বাড়িঘর ভাঙচুর করে। পরে ভুলতা ফাঁড়ির পুলিশ ঘটনাস্থলে পৌঁছে উভয়পক্ষকে ধাওয়া দিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। পরিস্থিতি স্বাভাবিক হলে পুলিশ সেখান থেকে চলে যায়। পুলিশ চলে যাওয়ার কিছুক্ষণ পরই হামজালাসহ তার লোকজন ভুলতার নাহাটি এলাকায় অবস্থিত রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার এর অফিসে পাল্টা হামলা চালিয়ে অফিসটি ভাঙচুর করে। একপর্যায়ে ছাত্রলীগের দুই গ্রুপে সশস্ত্র অবস্থায় ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া ও সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ সময় বেশ কয়েকটি ককটেল বিস্ফোরণ ঘটানো হয়। এতে করে পুরো এলাকায় আতঙ্ক ছড়িয়ে পড়ে। পরে ফের পুলিশ ঘটনাস্থলে এসে লাঠিচার্জ করে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনেন। সংঘর্ষে উভয় পক্ষের কমপক্ষে ১৮ জন আহত হয়েছে বলে জানা গেছে। এদের মধ্যে গুরুতর আহত ইসমাঈল, হাসান, গোলাম বাদশা, সোহাগ, স্বপন, মেহেদী ও শহিদুল্লাহকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভূইয়া মাসুম বলেন, দলীয় বহির্ভূত কাজ করায় ৫ মাস আগে আমি ও উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি ফয়সাল সিকদার ভুলতা ইউনিয়নের কমিটি বিলুপ্তি ঘোষণা করি। এরপর থেকেই সে আমাদের সাথে বিভিন্ন সময়ে ঝামেলা সৃষ্টি করে আসছে। মঙ্গলবার রাতে সে ফের আমার ও কর্মীদের উপর হামলা চালিয়েছে। আমাদের উপর হামলার খবর পেয়ে আমাদের লোকজন তাদের সাথে সংঘর্ষে জড়িয়ে পড়ে। এ ব্যাপারে ভুলতা ইউনিয়ন ছাত্রলীগের সাবেক সভাপতি হামজালার সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, উপজেলা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক মাসুম আমার বাড়ির সামনে দিয়ে যাবার সময় আমাকে গাড়ি চাপা দেয়ার চেষ্টা করে। এ ঘটনার প্রতিবাদ করায় সে আমার অফিস আগুন দিয়ে পুড়িয়ে দেয়। তাছাড়া বোমা বিস্ফোরন ঘটিয়ে পুরো এলাকায় আতঙ্ক তৈরী করে।
রূপগঞ্জ থানার ওসি মাহমুদুল হাসান বলেন, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে রূপগঞ্জ উপজেলা ছাত্রলীগের সভাপতি এবং সাধারণ সম্পাদক শেখ ফরিদ ভুইয়া মাসুম ও হামজালার দুই গ্রুপের মাঝে ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়ার ঘটনা ঘটে।
এসময় দুপক্ষই একে অপরের অফিসে হামলা ভাংচুর চালিয়েছে দাবি করে তারা। ঘটনাস্থলে পুলিশ মোতায়ন করা হয়েছে। বর্তমানে পরিস্থিতি স্বাভাবিক রয়েছে। এখন পর্যন্ত এই ঘটনায় কেউ অভিযোগ করেনি। অভিযোগ পেলে আইনগতভাবে ব্যবস্থা নেয়া হবে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর