× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

লোহাগড়ায় ইউপি চেয়ারম্যান বদর হত্যা মামলা দায়ের

বাংলারজমিন

লোহাগড়া (নড়াইল) প্রতিনিধি
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

নড়াইলের লোহাগড়ায় সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে নৃশংসভাবে হত্যার ঘটনায় ইউনিয়ন পরিষদের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদারকে প্রধান আসামি করে লোহাগড়া থানায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। নিহতের স্ত্রী নাজনীন বেগম বাদী হয়ে গত মঙ্গলবার রাতে চেয়ারম্যানসহ ১৬ জনের নাম উল্লেখসহ আরো ৩-৪ জনকে অজ্ঞাত আসামি করে এ মামলা দায়ের করেন। মামলা নং ১৮। এদিকে, চাঞ্চল্যকর এ হত্যা মামলার অন্যতম আসামি মতিউর রহমান ওরফে মুন্না (৩২)কে গত মঙ্গলবার রাতে কাশিয়ানী থানার সহযোগিতায় লোহাগড়া থানা পুলিশ গোপালগঞ্জ জেলার কাশিয়ানী উপজেলার চর ঘোনাপাড়া এলাকা থেকে আটক করে। আটক মুন্নাকে গতকাল নড়াইলের সিনিয়র চিফ জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট আমাতুল মোর্শেদা’র আদালতে ১৬৪ ধারায় স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি গ্রহণ শেষে জেল হাজতে প্রেরণ করেন।
মামলা সূত্রে জানা গেছে, ওই ইউনিয়নের আধিপত্য বিস্তার ও পূর্ব বিরোধের জের ধরে সাবেক চেয়ারম্যান বদর খন্দকারকে হত্যা করা হয়েছে। ওই ইউনিয়নের বর্তমান চেয়ারম্যান ও উপজেলা আওয়ামী লীগের সাংগঠনিক সম্পাদক নজরুল শিকদারকে প্রধান আসামি করা হয়েছে। অন্য আসামিরা হলেনÑ লোহাগড়া ইউনিয়ন আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ফরিদ শেখ ও তার ভাই শ্রমিক নেতা পিকুল শেখ, কেন্দ্রীয় ছাত্রলীগের সাবেক শিক্ষা ও পাঠচক্র বিষয়ক উপ-সম্পাদক আব্দুল্লাহ আল আজাদ সুজন, লোহাগড়া ইউপির সাবেক সদস্য সুরুজ মোল্যা, চর কালনা গ্রামের আবু বক্কর খোকা মোল্যার ছেলে রবিউল ইসলাম তারু মোল্যা ও তার ভাই মতিউর রহমান মুন্নাসহ ১৬ জন। মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা এসআই মিল্টন কুমার দেবদাস বলেন, মামলার প্রধান আসামিসহ অন্য আসামিদের গ্রেপ্তারে অভিযান অব্যাহত রয়েছে।
দ্রুততম সময়ের মধ্যে অন্য আসামিদের আইনের আওতায় আনতে সক্ষম হবো।
উল্লেখ্য, গত ২৪শে ফেব্রুয়ারি সন্ধ্যা সাড়ে ৬টার দিকে নিহত সাবেক ইউপি চেয়ারম্যান বদর খন্দকার মোটরসাইকেলযোগে বাড়ি থেকে লোহাগড়া উপজেলা সদরে আসার সময় টিচর কালনা সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সামনে এলে একদল দুর্বৃত্ত তার মোটরসাইকেলের গতি রোধ করে দেশীয় অস্ত্র ধারালো ছ্যান ও রাম দা দিয়ে কুপিয়ে তার দুই হাত ও দুই পা শরীর থেকে বিচ্ছিন্ন করে পালিয়ে যায়। মুমূর্ষু অবস্থায় এলাকাবাসী তাকে উদ্ধার করে প্রথমে লোহাগড়া স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেন। অবস্থার অবনতি হওয়ায় কর্তব্যরত চিকিৎসক তাকে খুলনা মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করেন। পথিমধ্যে যশোরের নওয়াপাড়া নামক স্থানে পৌঁছালে রাত সাড়ে ৯টার দিকে তিনি মারা যান।  
লোহাগড়া থানার অফিসার ইনচার্জ আলমগীর হোসেন বলেন, প্রধান আসামিসহ অন্যদের গ্রেপ্তারের জন্য সাঁড়াশি অভিযান চলছে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর