মানিকগঞ্জের সিংগাইর সদর ইউনিয়নের গোবিন্দল মাদরাসা যায়নাব বিনতে মুহাম্মদ ও এতিমখানার ১৪ বছরের এক ছাত্রীকে বিয়ের প্রলোভন দিয়ে ধর্ষণ করেছে এক যুবক। ধর্ষণের পর ভিকটিম অজ্ঞান হয়ে পড়লে তাকে স্ত্রী পরিচয়ে উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করেই ধর্ষণকারী। এ ঘটনায় গত মঙ্গলবার রাতে ওই ছাত্রীর পিতা বাদী হয়ে থানায় মামলা দায়ের করেন। মামলার আসামিরা হচ্ছেন- ঘটনার মূলহোতা সিংগাইর পৌর সদরের গোবিন্দল উত্তর পাড়া মহল্লার লাবলু মিয়ার পুত্র রুবেল ও তার বন্ধু শিবলী ।
মামলার এজাহার ও ভিকটিমের পরিবারের সাথে কথা বলে জানা গেছে, গত শনিবার রুবেল সকাল সাড়ে ১০টার দিকে মাদরাসার ওই ছাত্রীকে বিয়ের কথা বলে তার মোটরসাইকেলে তুলে নেয়। এলাকার বিভিন্ন জায়গায় ঘুরিয়ে ঘণ্টা খানেক পরে তাকে তার বন্ধু শিবলীর সহযোগিতায় গোবিন্দল ফেরাজী পাড়া মৃত মতি মিয়ার পরিত্যক্ত ঘরে নিয়ে একাধিকবার ধর্ষণ করে। ভিকটিম জানান, গত দু’মাস আগে রুবেলের সাথে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। ঘটনার দিন তাকে বিয়ের কথা বলে ওই ঘরে নিয়ে যায়। পরে তার বন্ধু শিবলী বাইরে থেকে ঘরের দরজায় তালা লাগিয়ে দেয়।
পরক্ষণে রুবেল তাকে ইচ্ছার বিরুদ্ধে দু’বার ধর্ষণ করে। এ সময় সে অজ্ঞান হয়ে পড়লে রুবেল তাকে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে নিয়ে স্ত্রী পরিচয়ে ভর্তি করে। ভিকটিম আরো জানায়, পাশবিক নির্যাতনে তার ক্ষতস্থানে ৫টি সেলাই করা হয়েছে এবং অতিরিক্ত রক্তক্ষরণও হয়েছে। জ্ঞান ফিরে এলে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তার পরিবারকে বিষয়টি অবগত করেন। এ বিষয়ে অভিযুক্ত রুবেলের মোবাইল ফোনে যোগাযোগ করা হলে সাংবাদিক পরিচয় জেনেই লাইন কেটে দেয়। এ প্রসঙ্গে সিংগাইর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সের জরুরি বিভাগে কর্তব্যরত ডা. অমিত কুমার তরফদার বলেন, ভিকটিমকে স্ত্রী পরিচয় দিয়ে আঘাতের কথা বলে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছিল। অন্য বিষয়গুলো নার্সরা দেখেছেন। এ ব্যাপারে সিংগাইর থানার ওসি আব্দুস সাত্তার মিয়া বলেন, ভিকটিমের পিতা বাদী হয়ে ২ জনের বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করেছেন। আসামিদের গ্রেপ্তারের জোর চেষ্টা চলছে।