× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৭ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

আজীবন সম্মাননা পেলেন সাঈদা খানম / ‘এই সময়ে এবিএম মূসার মতো সাংবাদিকের প্রয়োজন’

দেশ বিদেশ

স্টাফ রিপোর্টার
২৭ ফেব্রুয়ারি ২০২০, বৃহস্পতিবার

তিনি সত্যটা বলতে পারতেন। যেটা আমরা বলতে পারি না। শুধু তাই নয়, শেষ সময়ে এসে কলাম লেখে সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। তিনি যে ধরনের সাংবাদিকতা করে গেছেন, এখন সেই ধরনের সাংবাদিকতার বড় প্রয়োজন। দুর্বল গণতন্ত্রের চেয়ে দুর্বল সাংবাদিকতা আরো ভয়াবহ। গতকাল জাতীয় প্রেসক্লাবে ‘এবিএম মূসা-সেতারা মূসা ফাউন্ডেশন’ আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে বক্তারা এসব কথা বলেন। অনুষ্ঠানে একুশে পদকপ্রাপ্ত বাংলাদেশের প্রথম নারী আলোকচিত্রী সাইদা খানমকে আজীবন সম্মাননা দেয়া হয়। প্রখ্যাত সাংবাদিক এবিএম মূসার ৮৯তম জন্মদিন উপলক্ষে আজীবন সম্মাননা ও স্মারক বক্তৃতা অনুষ্ঠানে তাকে এই সম্মাননা দেয়া হয়।
অনুষ্ঠানে ‘ মানবাধিকার নিশ্চিতকরণে গণমাধ্যমের ভূমিকা ’ শিরোনামে স্মারক বক্তৃতা দেন, ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আইন বিভাগের অধ্যাপক ড. আসিফ নজরুল। তার বক্তৃতায় তিনি বলেন, গণমাধ্যম কোনো বিচ্ছিন্ন সমাজ নয়। বাংলাদেশের সুশাসন প্রতিষ্ঠার ক্ষেত্রে বহু ব্যর্থতা থাকে তাহলে সংবাপত্র এর থেকে মুক্ত হতে পারে না। গণমাধ্যমে কালো টাকার পুঁজি বেড়েছে, মালিক-সম্পাদকের সরাসরি রাজনীতিতে অংশগ্রহণ বেড়েছে। রাজনৈতিকভাবে গুরুত্বপূর্ণ ইস্যুতে কাজ করা এনজিওদের সঙ্গে জোট গঠন বেড়েছে। তাছাড়া কোনো বিশেষ রাজনৈতিক দল বা তার সহযোগী সংগঠনের কর্মীদের নিয়োগ প্রবণতা বেড়েছে। তবে এতো কিছুর পরেও মানবাধিকার প্রসারে গণমাধ্যম এ দেশে অনেক প্রতিষ্ঠানের চেয়ে বেশী গুরুত্ব রেখেছে। তবে সাংবাদিকদের আরো ঐক্যবদ্ধ হয়ে কাজ করতে হবে। ঐক্যবদ্ধ হলেই একমাত্র নির্ভয়ে ভালো ভালো কাজ করা সম্ভব। আমার যখন সাংবাদিকতা করেছি, তখন স্বর্ণযুগ পেয়েছি। এবিএম মূসা তখন সাংবাদিকতা করতেন। তিনি ছিলেন স্পষ্টভাষী। তিনি যে সাংবাদিকতা করে গেছেন সেটার ধারের কাছেও কেউ নেই। এখন তার মতো সাংবাদিক প্রয়োজন। ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণযোগাযোগ ও সাংবাদিকতা বিভাগের অধ্যাপক রুবায়েত ফেরদৌসের উপস্থাপনায় ও প্রখ্যাত সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদের সভাপতিত্বে বক্তব্য রাখেন, এবিএম মূসার বড় মেয়ে মরিয়ম সুলতানা মূসা রুমা, কনিষ্ট মেয়ে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক ড. শারমিন মূসা, নাত বউ নিশফা সাঈদ, জামাতা ব্যারিস্টার আফতাব উদ্দিন প্রমুখ। সম্মাননা প্রদান অনুষ্ঠানে এবিএম মূসার সহধর্ধিনী সেতারা মূসাও উপস্থিত ছিলেন।
মরিয়ম সূলতানা মূসা রুমা বলেন, এই ফাউন্ডেশনটি একমাত্র আমাদের পারিবারিক অর্থায়নে গড়া। আমারা কারো কাছ থেকে অনুদান নেইনি। এই ফাউন্ডেশনের উদ্যোগে আমরা প্রতি বছর এই আয়োজন করে থাকি এবং একজন ব্যক্তিকে আজীবন সম্মানা দিয়ে আমরা ধন্য হই। এবারো তার ব্যতিক্রম ঘটেনি। ইতিমধ্যে ফাউন্ডেশনের মাধ্যমে অনেক কাজ করেছি আরো কিছু কাজ করবো ইনশাল্লাহ। বিশেষ করে এবিএম মূসার গ্রামের বাড়িতে একটা আইক্যাম্প করা , যা তিনি জীবদ্দশায় করতে চেয়েছিলেন। অসহায়দের সহায়তাসহ আমাদের নানা উদ্যোগ নেয়া আছে।
সভাপতির বক্তব্যে সাংবাদিক সৈয়দ আবুল মকসুদ বলেন, এবিএম মূসা ছিলেন একজন নির্ভিক সাংবাদিক। তাকে খুব কাছ থেকে দেখেছি। তিনি সত্যটা বলতে পারতেন। যেটা আমরা বলতে পারি না। শুধু তাই নয়, শেষ সময়ে এসে কলাম লেখে সরকারের বিরাগভাজন হয়েছিলেন। আমি মনে করি, মাঝেসাঝে এমন হওয়াটাও দরকার। তিনি আমাদের পাথেয় হয়ে থাকবেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর