বিএনপি চেয়ারপারসন বেগম খালেদা জিয়ার চিকিৎসা সংক্রান্ত বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের মেডিকেল রিপোর্ট সুপ্রিমকোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয় থেকে উচ্চ আদালতে দাখিল করা হবে । বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে আজ এ প্রতিবেদনটি উপস্থাপন করা হবে।
খালেদা জিয়ার জামিন শুনানি সুপ্রিম কোর্টের কার্যতালিকার ৫ নম্বরে রয়েছে। এরপর আদালত মেডিকেল রিপোর্ট ও অন্যন্য গ্রাউন্ড বিবেচনা করে সিদ্ধান্ত নিবেন তাকে জামিন দেওয়া যায় কিনা। এই উপলক্ষ্যে সুপ্রিম কোর্টে নেয়া হয়েছে কড়া নিরাপত্তা। হাইকোর্টের প্রতিটি গেটে বিচার প্রার্থীদের তল্লাশি করে এবং আইনজীবী ও সাংবাদিকদের আইডি কার্ড চেক করে ভিতরে প্রবেশ করার অনুমতি দিচ্ছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী।
এর আগে গতকাল বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়। এ তথ্য নিশ্চিত করে সুপ্রিম কোর্টের মুখপাত্র মোহাম্মদ সাইফুর রহমান বলেন, বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয় থেকে রিপোর্টটি সুপ্রিম কোর্টের রেজিস্ট্রার জেনারেলের কার্যালয়ে পাঠানো হয়েছে।
গত ২৩শে ফেব্রুয়ারি উন্নত চিকিৎসার জন্য বিএনপির চেয়ারপারসন খালেদা জিয়া সম্মতি দিয়েছেন কিনা, সম্মতি দিলে চিকিৎসা শুরু হয়েছে কিনা এবং শুরু হলে কী অবস্থা তা জানাতে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ের ভিসিকে নির্দেশ দেন হাইকোর্ট। বিচারপতি ওবায়দুল হাসান ও বিচারপতি এ কে এম জহিরুল হকের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চ খালেদা জিয়ার জামিন আবেদনের শুনানিতে এ আদেশ দেন। পরবর্তী আদেশের জন্য আজ বৃহস্পতিবার তা কার্যতালিকায় আসবে বলে জানানো হয়।
আদালতে আবেদনের পক্ষে শুনানি করেন জ্যেষ্ঠ আইনজীবী জয়নুল আবেদীন এবং রাষ্ট্র পক্ষে শুনানি করেন অ্যাটর্নি জেনারেল মাহবুবে আলম। জিয়া চ্যারিটেবল ট্রাস্ট ও জিয়া অরফানেজ ট্রাস্ট দুর্নীতির মামলায় সাজাপ্রাপ্ত খালেদা জিয়া দুই বছর ধরে কারাবন্দি।
শারীরিক অসুস্থতা বেড়ে গেলে গত বছরের এপ্রিলে চিকিৎসার জন্য তাকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিকেল বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি করা হয়।