জিততে হলে ১৯০ রান করতে হতো। পুরো ২০ ওভার ব্যাট করে ১০৩/৯ তুলতে পারলো বাংলাদেশ। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে নিজেদের দ্বিতীয় ম্যাচে ৮৬ রানে হেরে বিদায় প্রায় নিশ্চিত হয়ে গেছে সালমাদের। প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ১৮ রানে হেরেছিল বাংলাদেশ। অস্ট্রেলিয়া প্রথম ম্যাচে ভারতের কাছে ১৭ রানে হারলেও দ্বিতীয় ম্যাচে শ্রীলঙ্কাকে হারায় ৫ উইকেটে।
রান তাড়ায় ৭ রানের ব্যবধানে ৩ উইকেট হারিয়ে বিপদে পড়ে বাংলাদেশ। দলীয় ১৯ রানে মুর্শিদা খাতুন (১৬ বলে ৮), ২৩ রানে শামিমা সুলতানা (৯ বলে ১৩) ও ২৬ রানে সাজঘরে ফেরেন সানজিদা ইসলাম (৭ বলে ৩)। চতুর্থ উইকেটে নিগার সুলতানা-ফারজানা হক ৫০ রানের জুটি গড়েন। দলীয় ৭৬ রানে নিগারের (৩২ বলে ১৯) বিদায়ে ভাঙে এ জুটি।
এরপর ৮ রানের ব্যবধানে আরো ৫ উইকেট হারায় বাংলাদেশ। একে একে ফেরেন রুমানা আহমেদ (১২ বলে ১৩) ও ফারজানা হক (৩৫ বলে ৩৬), জাহানারা আলম (১), অধিনায়ক সালমা খাতুন (০), খাদিজা তুল কুবরা (০)। অস্ট্রেলিয়ার হয়ে মেগান শাট ২১ রানে নেন ৩ উইকেট। জেস জোনাসেনের শিকার ২ উইকেট।
ক্যানবেরার মানুকা ওভালে টসে জিতে ব্যাটিংয়ে নেমে নির্ধারিত ২০ ওভারে ১ উইকেটে ১৮৯ রানের পাহাড় গড়ে অস্ট্রেলিয়া। টি-টোয়েন্টিতে এত রান আগে কখনো দেয়নি বাংলাদেশ। ২০১৮তে ১৬৯/৪ তুলেছিল দক্ষিণ আফ্রিকা। বাংলাদেশি বোলারদের তুলোধুনো করে অস্ট্রেলিয়ার দুই ওপেনার অ্যালিসা হিলি-বেথ মুনি গড়েন ১৫১ রানের জুটি। টি-টোয়েন্টিতে ওপেনিংয়ে এটি অস্ট্রেলিায়ার রেকর্ড জুটি। ইনিংসের ১৭তম ওভারে হিলিকে ফিরিয়ে বাংলাদেশকে প্রথম সাফল্য এনে দেন সালমা খাতুন। ৫৩ বলে ১০ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ৮৮ রান করেন হিলি। সালমার ওই ওভারেই একবার করে হিলি ও মুনির ক্যাচ ছাড়েন বাংলাদেশের ফিল্ডাররা। এর আগে ব্যক্তিগত ৫৬ রানে একবার মুনির ক্যাচ ছাড়েন সানজিদা। জীবন পেয়ে শেষ পর্যন্ত ৫৮ বলে ৮১ রানে অপরাজিত থাকেন মুনি। ৯টি চার হাঁকান তিনি। তিনে নামা অ্যাশলে গার্ডনার করেন ৯ বলে ২২* রান। তাকেও একবার জীবন দান করেন সোবহানা মোস্তারি।