× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৪ এপ্রিল ২০২৪, বুধবার , ১১ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৫ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

রবি ঠাকুরের গানের প্রামাণ্য দলিল ‘কবি রবির গানের গল্প’

এক্সক্লুসিভ


২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

আমাদের যাপিত জীবনের কোথায় রবীন্দ্রনাথ নেই, কথাটি বলা অত্যুক্তি নয়। কিন্তু কবি গুরু রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর কোথায় কোথায় আছেন? সেটা বলা বোধ করি এখনো খুব সহজ নয়। একটি প্রশ্ন করলে বিষয়টি আরো সহজ হবে। যদি বলি, রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর এত যে গান লিখেছেন, এত যে কবিতা লিখেছেন তার পেছনের সব গল্প কি আমরা জানি। একটু দ্বিধায় পড়া গেল। আসলেই আমরা সকলে সেসব গানের, সেসব কবিতার জন্মের রহস্য জানি না। শুধু কি তাই, রবি ঠাকুরের সৃষ্টির সকল পর্বই এখনো আমাদের অজানা। তবে এই অজানাকে সহজ করার কাজটি যে খুব সহজ নয় তা কবিগুরুর সৃষ্টি নিয়ে যারা কাজ করেছেন তাদের রচনা দেখে উপলব্ধি হয়।
চন্দনা ব্যানার্জী তেমন একটি কঠিন দুঃসাধ্য কাজকে সহজভাবে আমাদের কাছে উপস্থাপন করেছেন। ক’টি পরিচিত গানের কলি এখানে উল্লেখ করলে বিষয়টি পাঠকদের কাছে, স্রোতাদের কাছে স্পষ্ট হবে। ‘আমার সোনার বাংলা, আমি তোমায় ভালোবাসি’, ‘আজ বাংলাদেশের হৃদয় হতে কখন আপনি’, অথবা ‘আমি চিনি গো চিনি তোমারে, ওগো বিদেশিনী’। উপরে উল্লিখিত তিনটি গানই ব্যাপকভাবে দুনিয়াজুড়ে প্রসিদ্ধ। তন্মধ্যে, আমার সোনার বাংলা গানটি বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। কিন্তু কোথায় বা কোন প্রেক্ষিতে এই তিনটি গান রচিত, গীত হয়েছিল। এই গানটির রচনাকাল ১৯০৫ সালে। যখন বঙ্গভঙ্গ রদ আন্দোলন চলছিল। বঙ্গভঙ্গের প্রতিবাদে ১৯০৫ সালের ৭ই আগস্ট কলকাতার টাউন হলে আয়োজিত সভায় রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর বাউল সুরের আদলে নতুন একটি গান পরিবেশন করেছিলেন, তা আজ বাংলাদেশের জাতীয় সংগীত। এই গানটির সুর নেয়া হয়েছিল কুষ্টিয়ার শিলাইদহের কোন ডাকঘরের গগন হরকরা রচিত, ‘আমি কোথায় পাব তারে, আমার মনের মানুষ যে রে’। এভাবে প্রতিটি গানের পেছনে রয়েছে অনন্য এক ইতিহাস, অনন্য এক প্রেক্ষাপট। কলকাতায় অবস্থিত এক কলেজের উদ্ভিদ বিদ্যা বিভাগে শিক্ষকতায় যুক্ত চন্দনা ব্যানার্জীর আগ্রহ রবীন্দ্র সংগীতে। তার এই আগ্রহই তাকে নিয়ে এসেছে এতদূর। নিজ ভূমিকাতেই লেখক লিখেছেন, রবীন্দ্রনাথের রচনাগুলোই বাঙালি সমাজে গড়ে তুলেছে এক মননশীল সংস্কৃতি। এই সংস্কৃতির আঙিনায় প্রবেশের সঙ্গেই মন্দ যা কিছু সব দূরে সরে যায়। কবির রচনার সম্ভারে ডুব দিয়ে গড়ে ওঠে অগাধ প্রেম। সত্যিই তাই। এই লেখকের গবেষণার প্রতিটি পরতে পরতে এক অনির্বচনীয় রসাস্বাদনের সুযোগ মেলে। কোথায়, কখন আর কীভাবে কবি লিখেছিলেন অসাধারণ সব গান আর কবিতা। যার পেছনে যেভাবে দুঃখ আছে, আছে যন্ত্রণা, আছে প্রকৃতি অন্বেষণের এক অন্যরকম অনুভব। ৪১৬ পৃষ্ঠার এই বইটি প্রকাশ করেছে কলকাতার ম্যাক্স পাবলিসার্স।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর