× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৫ এপ্রিল ২০২৪, বৃহস্পতিবার , ১২ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৬ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

১লা মার্চ থেকে ২ মাস নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ

বাংলারজমিন

লক্ষ্মীপুর প্রতিনিধি
২৮ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শুক্রবার

জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্যে মার্চ-এপ্রিল ২ মাস মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ সময়ে বরাদ্দকৃত চাল লুটপাট না  করে সঠিক তালিকা তৈরি করে দ্রুত তা বাস্তবায়ন করার দাবি জানান জেলেরা। জেলা মৎস্য কর্মকর্তা বলছেন, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ, উপজেলা-জেলা প্রশাসন, পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে।  জেলা মৎস্য অফিস সূত্রে জানা যায়, এ জেলায় ৫২ হাজার জেলে রয়েছে। এদের মধ্যে ৪৩ হাজার জেলে নিবন্ধিত রয়েছে। এসব জেলে মেঘনা নদীতে মাছ শিকার করে জীবিকা নির্বাহ করে। জাটকা সংরক্ষন ও ইলিশের উৎপাদন বাড়ানোর জন্য ১লা মার্চ থেকে ৩০শে এপ্রিল পর্যন্ত ২ মাস নদীতে সকল ধরনের জাল ফেলা ও মাছ ধরা নিষিদ্ধ ঘোষণা করা হয়েছে। লক্ষ্মীপুরের রামগতির আলেকজান্ডার থেকে চাঁদপুরের ষাটনল এলাকার ১শ’ কিলোমিটার পর্যন্ত মেঘনা নদীতে সকল ধরনের মাছ ধরা নিষিদ্ধ করেছে সরকার। এ একশ কিলোমিটার মেঘনা নদী এলাকাকে ইলিশের অভয়াশ্রম হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে।
এসময় সব রকমের ইলিশ সংরক্ষণ, আহরণ, পরিবহন, বাজারজাতকরণ ও মজুদকরণ নিষিদ্ধ রয়েছে। জেলেদেরকে সচেতন করার জন্য নদী এবং উপকূলবর্তী এলাকায় মাইকিং ও পোস্টারিংসহ সকল ধরনের প্রচারণা অব্যাহত রেখেছে জেলা প্রশাসন ও জেলা মৎস্য বিভাগ।
 নিষেধাজ্ঞার সময় মার্চ-এপ্রিল ২ মাস প্রতি জেলেকে ৪০ কেজি হারে খাদ্য সরবরাহ করা হবে।
এ দিকে স্থানীয় জনপ্রতিনিধি, ব্যবসায়ী, জেলে ও আড়ৎদাররা জানান, জাটকা সংরক্ষণ ও ইলিশের উৎপাদনের লক্ষ্য সরকার যে নিষেধাজ্ঞা দিয়েছে সেটা মেনে জেলেরা নদীতে যাবে না বলে ঘোষণা দিয়েছেন। জেলেদের পুনর্বাসন করার কথা সেটা এখন পর্যন্ত হয়ন্‌ি। যে পরিমাণ জেলে রয়েছে, সে পরিমাণ সরকারি খাদ্য সহায়তা দেয়া হয় না। এসব অসহায় জেলে বারবার নদীভাঙ্গন ও বিভিন্ন প্রতিকূলতা এবং বারো মাসে নদীতে অভিযান চালিয়ে জাল পুড়ে নষ্ট করে। যারা জাল তৈরির করে,তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হয় না।  নিষেধজ্ঞার সময় জেলেদের জন্য বরাদ্ধকৃত চাল লুটপাট না  করে সঠিক তালিকা তৈরি করে  দ্রুত যেন তা পেতে পারে সেটা নিশ্চিত করার দাবি জানান। গত বছরের অভিযান সফল হওয়ায় ইলিশের উৎপাদন কয়েকগুণ বেড়েছে। এবারও অভিযান সফল হলে অধিক পরিমান ইলিশ উৎপাদনের সম্ভাবনা রয়েছে।
 জেলা মৎস্য কর্মকর্তা মো. বেলাল হোসেন বলেন, এ নিষেধাজ্ঞা বাস্তবায়ন করার জন্য নদীতে মৎস্য বিভাগ,উপজেলা-জেলা প্রশাসন,পুলিশ ও কোস্টগার্ডের সমন্বয়ে প্রতিদিন অভিযান পরিচালনা করা হবে। এ সময়ে জেলেদের জন্য ৪০ কেজি হারে খাদ্য সয়ায়তা দেয়া হবে।  
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর