× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ১৪ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৮ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

দিল্লির সহিংসতা / পেটে লাথি খেয়ে ‘অলৌকিক শিশু’র জন্ম দিলেন শাবানা

এক্সক্লুসিভ

মানবজমিন ডেস্ক
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

সংশোধিত নাগরিকত্ব আইন (সিএএ) নিয়ে উত্তাল ভারতের দিল্লি এখন রণক্ষেত্র। এ পর্যন্ত সংঘর্ষে ৪২ জন নিহত হয়েছেন। এ ছাড়া আহত হয়েছেন অন্তত ২ শতাধিক। এর মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক। গত রোববার থেকে শুরু হওয়া এই  সংঘর্ষ এখন সাম্প্রদায়িক দাঙ্গায় পরিণত হয়েছে।

অনেক মুসলিম পরিবারের ওপর হামলা করা হচ্ছে। পুড়িয়ে দেয়া হচ্ছে বাড়িঘর-দোকানপাট।
এই সহিংসতার মধ্যে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েছিলেন শাবানা পারভিন নামের এক মুসলিম নারী।
৩০ বছর বয়সী এই নারী অন্তঃসত্ত্বা ছিলেন। পেটে লাথি খেয়েও একটি সুস্থ শিশুর জন্ম দিয়েছেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম শিশুটিকে ‘মিরাকল বেবি’ বা ‘অলৌকিক শিশু’ বলে আখ্যা দিয়েছে।

জানা যায়, উত্তর-পূর্ব দিল্লির কারাওয়াল নগরের বাসিন্দা অন্তঃসত্ত্বা শাবানা এবং তার স্বামী সহিংসতার মধ্যে পড়ে যান। এ সময় তাদের ওপর উপর্যুপরি পাশবিক নির্যাতন করা হয়। পেটে এলোপাতাড়ি লাথি খেয়ে মৃত্যু ঝুঁকিতে পড়েন শাবানা ও তার অনাগত শিশু। এমন পরিস্থিতির সঙ্গে লড়াই করে প্রাণে বেঁচে গিয়েছেন শাবানা। বুধবার একটি সুস্থ ছেলে সন্তানের জন্ম দেন তিনি। ভারতীয় গণমাধ্যম পুরো ঘটনাটিকেই মিরাকল হিসেবে দেখছে। পারভিনের শাশুড়ি নাসিমা বলেন, রাতে হঠাৎ দুষ্কৃতিকারীরা আমাদের বাড়িতে হামলা চালায়। তখন আমরা ঘুমিয়েই পড়েছিলাম। অতর্কিত হামলায় পালিয়ে যেতে পারিনি। নাসিমার ভাষ্যে, পারভিনের ওই অবস্থায় কীভাবেই বা পালিয়ে যাই! দুষ্কৃতিকারীরা ধর্ম তুলে গালিগালাজ করে। তার ছেলেকে মারধর করে বলে অভিযোগ করেন। তাকে শাবানা বাধা দিতে গেল, তার ওপরও হামলা চালানো হয়। নাসিমা বলেন, পেটে লাথি মারে দুষ্কৃতিকারীরা। এরপরই পারভিনের শুরু হয়ে যায় প্রসব যন্ত্রণা।

 রাস্তায় ইটপাটকেল, কাচের টুকরো, লোহার রড এদিক-ওদিক ছড়িয়েছিল। বাতাসে গুমোট আতঙ্ক। জাফরাবাদ, মৌজপুরসহ উত্তর-পূর্ব দিল্লির বিভিন্ন এলাকার ছবি কার্যত এক। ওই অবস্থায় প্রসব যন্ত্রণায় কাতর স্ত্রীকে নিয়ে বেরিয়ে পড়েন তার স্বামী। প্রথমে কাছের একটি হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। ভর্তি নিতে অস্বীকার করে ওই হাসপাতাল। বাড়িঘর পুড়ে ছাই হয়ে গিয়েছে। হারিয়ে গেছে মাথা গোঁজার ঠিকানা। কোনোভাবে পারভিনকে হারাতে চান না তার স্বামী। ছুটে যান অল-হিন্দ হাসপাতালে। সেখানেই পুত্র সন্তান জন্ম দেন শাবানা।  

হাসপাতালের চিকিৎসকরা জানান, মা-ছেলে দুজনই ভালো আছে। যে সংকটজনক অবস্থায় শাবানা ছিলেন, তাতে সদ্যোজাত যে সুস্থ, তা দেখে অবাক চিকিৎসকরা। তারা বলছেন, শাবানা ‘মিরাকল বেবি’-র জন্ম দিয়েছেন।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর