× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২০ এপ্রিল ২০২৪, শনিবার , ৭ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১১ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শায়েস্তাগঞ্জে বোরো মৌসুমকে ঘিরে লগ্নি ব্যবসায়ীরা সক্রিয়

বাংলারজমিন

শায়েস্তাগঞ্জ (হবিগঞ্জ) প্রতিনিধি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

 হবিগঞ্জ জেলার শায়েস্তাগঞ্জের বোরো মৌসুমকে ঘিরে সক্রিয় হয়ে উঠেছে লগ্নি ব্যবসায়ীরা। প্রতি বছর শুরুতেই আরি-বোরো ধানের চাষাবাদকে ঘিরে এ চক্রটি সক্রিয় হয়ে ওঠে। শায়েস্তাগঞ্জ পৌর শহরসহ বিভিন্ন অঞ্চলের কৃষকরা এসব সুদখোর লগ্নি ঘুঘু ব্যবসায়ী মহাজনদের কাছে জিম্মি হয়ে পড়েছে। কৃষকদের অর্থনৈতিক দুর্বলতার সুযোগ নিয়ে মাসিক হিসেবে ৫ হাজারে ১ হাজার ৫শ’ টাকা, ১০ হাজারে ৩ হাজার টাকা, অথবা ১ হাজারে ৩-৪ মণ ধান হারে লগ্নি দেয়া হয়। অপর দিকে ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ সুদ ও অর্ধেক দামে ধান কিনার শর্তে অর্থঋণ প্রদান করছে লগ্নি ব্যবসায়ীরা মৌসুম শেষে কৃষকদের কষ্টার্জিত ফসলের সিংহভাগ চলে যাবে লগ্নি ব্যবসায়ীদের গোলায় এবং তারা আবারো অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের সম্মুখীন হবে। গত কয়েক দফায় ইরি-বোরো ও বোনা-রোপা আমন ধানের আশানুরূপ ফলন না হওয়ায় থানার ২টি ইউনিয়নের শত শত কৃষকের অর্থনৈতিক মেরুদণ্ড ভেঙে গেছে। সেচ, শ্রম, কীটনাশক, সার ও প্রয়োজনীয় কৃষি উপকরণের মূল্যবৃদ্ধির কারণে বিঘা প্রতি সাড়ে ৬ হাজার থেকে ৮ হাজার নগদ টাকা নিয়ে কৃষকদের এবার ও ইরি-বোরো ধান চাষে নামতে হচ্ছে। এ অবস্থায় লগ্নি ব্যবসায়ী নামধারী সুদখোর মহাজনদের স্থানীয় দালালরা অর্থ পাইয়ে দেয়ার আশ্বাস নিয়ে গ্রাম-গঞ্জের কৃষকদের কাছে যাচ্ছে।
এর ফলে কৃষকদের ৫০ থেকে ৭০ শতাংশ হারে সুদ গুনতে হবে অথবা কম মূল্যে উৎপাদিত ধান মহাজনদের কাছে বিক্রি করতে হবে। এদিকে মানবজমিন প্রতিনিধি একাধিক কৃষকদের সঙ্গে কথা বলে জানতে পারেন, প্রচুর লাভ দেখে লগ্নি ব্যবসায়ী মহাজনদের পাশাপাশি প্রবাসীদের আত্মীয়-স্বজনরাও ব্যাপক হারে লগ্নি ব্যবসায় প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে জড়িয়ে গেছে। এমন কি সচ্ছল পরিবারের উঠতি বয়সের কিশোর, স্কুল শিক্ষক, বিভিন্ন ব্যবসায়ী বা পেশাজীবীরাও এ ব্যবসায় জড়িয়ে পড়েছে। আর এ ব্যবসায় মধ্যস্বত্বভোগী হিসেবে আত্মপ্রকাশ ঘটেছে এলাকার চুনোপুঁটি মাস্তানদের। এদিকে লগ্নি আদায়ের কাজে এসব মাস্তান, বেপরোয়া তরুণ, যুবক ও স্থানীয় প্রভাবশালী ব্যক্তিদের লেলিয়ে দেয়া হয় অসহায় কৃষকদের পিছনে। সহজ সরল কৃষক ফসল উৎপাদনের প্রাকৃতিক দুর্যোগে বারবার মার খাওয়া সত্ত্বেও এলাকার প্রভাবশালী ব্যক্তি ও মাস্তানদের ভয়ে হালের বলদ, স্বর্ণালঙ্কার, হাঁড়ি-পাতিল, ভিটে-বাড়ি, জমিজমা বিক্রি করে লগ্নি ব্যবসায়ী মহাজনদের প্রদত্ত ঋণ পরিশোধে সর্বস্বান্ত হয়েছে এমন ঘটনাও ঘটেছে। গত ৩-৪ বছর ধরে জলবায়ু যে বৈরী রূপ নিয়েছে এর ধারাবাহিকতায় যদি মৌসুম শেষে ধানের ফসল কম হয় তবে একদিকে কৃষকের ফসল ও ফসল বিক্রির অর্থ চলে যাবে লগ্নি ব্যবসায়ী মহাজনদের গোলায়।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর