× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ২৩ এপ্রিল ২০২৪, মঙ্গলবার , ১০ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১৪ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

শিবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন

বাংলারজমিন

শিবগঞ্জ (বগুড়া) প্রতিনিধি
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

বগুড়ার শিবগঞ্জে আলুর বাম্পার ফলন হয়েছে। সেই সাথে ভালো দাম পাওয়ায়  ফুরফুরে আমেজ বিরাজ করছে এই এলাকার আলু চাষিদের মাঝে। মৌসুমের শেষের দিকে আবহাওয়া বিপর্যয়ের ফলে লেট ব্রাইট রোগের আশঙ্কায় অনেক কৃষক চিন্তায় পড়লেও পরে আবহাওয়া অনুকুলে আশায় ফলন ভালো হয়েছে আলুর। কৃষি অফিস বলছে,এই উপজেলায় চলতি মৌসুমে আলু উৎপাদনের লক্ষ্য মাত্রা ধার্য করা হয়েছিলো ১৮ হাজার ৪০০ মেট্রিক টন। ইতোমধ্যই লক্ষমাত্রার চেয়ে বেশি আলু জমি থেকে উত্তোলণ করেছে কৃষক। আলু উত্তোলন এখনও চলমান থাকায় এর পরিমান আরও বাড়বে ।  প্রায় প্রতি বছরই  এই উপজেলায় পাকরি, ফাঁটা পাকরি, দেশি হাগরাই, ললিতা, কার্ডিনাল, ডায়মন্ডসহ বিভিন্ন জাতের আলুর বাম্পার ফলন হয় । এবার আগাম জাতের আলু চাষ করে ভালো দাম পেয়েছে চাষিরা। গত ডিসেম্বর মাসে প্রতি মন আলু বিক্রি হয়েছে ৮০০ থেকে ১০০০ টাকা।
বর্তমান বাজারে আলু বিক্রি হচ্ছে মন প্রতি ৪০০ থেকে ৫০০ টাকায়। কৃষকরা বলছেন, এই দামেই খুশি তারা। উপজেলার ভরিয়া গ্রামের আলু চাষি রুহুল আমিন জানান, আমন ধান কাটা-মাড়াইয়ের কাজ শেষ হওয়ার পর আমার ৩ বিঘা জমিতে আলু চাষ করেছি। আবহাওয়া খুব খারাপ না হওয়ায় বাম্পার ফলন হয়েছে। বর্তমানে ৪০০ থেকে ৫০০ টাকা মন দরে আলু বিক্রি করছি। এই দাম পেয়ে আমি খুশি। উপজেলার বিহার পুর গ্রামের আলু চাষি জাহাঙ্গীর আলম জানান,আমি আগাম জাতের আলু চাষ করে খুব ভালো দাম পেয়েছি। তবে বর্তমানে যে আলু উত্তোলণ করা হচ্ছে তা নিয়ে আমরা চিন্তায় ছিলাম। কিছু দিন আগে আবহাওয়া খারাপ থাকায় লেট ব্রাইট রোগের আশঙ্কায় আমরা আতঙ্কিত ছিলাম।কিন্তু সময়মত কিটনাশক প্রয়োগ করায় ও পরে আবহাওয়া অনুকুলে আশায় ফলন ভালো হয়েছে। উপজেলার টেপাগাড়ি গ্রামের আলু চাষি ওয়ারেস আলী প্রামানিক জানান, আমার প্রতি বিঘা আলু উৎপাদনে খরচ হয়েছে ১২ থেকে ১৫ হাজার টাকা। এর সঙ্গে অন্যান্য খরচ হবে আরও ৬ থেকে ৭ হাজার টাকা। প্রতি বিঘা জমিতে ৮০ থেকে ১০০ মন আলু পেয়েছি। পাইকারি বাজারে মান অনুযায়ী বর্তমানে প্রতিমণ আলু বিক্রি হচ্ছে ৪৫০ থেকে ৬০০টাকা। এতে করে প্রতি বিঘা জমিতে ২০ থেকে ২৫ হাজার টাকা লাভ হচ্ছে। শিবগঞ্জ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আল মুজাহিদ সরকার দৈনিক মানবজমিনকে জানান,চলতি মৌসুমে উন্নতমানের বীজের পাশাপাশি সারের কোনও সমস্যা হয়নি। মাঝখানে আবহাওয়ার কারনে রোগ বালাইয়ের আক্রমন হলেও পরে তা কেটে গেছে।আমরা নিয়মিত আলু চাষিদের সঙ্গে যোগাযোগ করে ভাল বীজ ও সার ব্যবহারের পরামর্শ দিয়ে এসেছি। এছাড়া আলুসহ সকল প্রকার রবিশষ্য আবাদের প্রথম থেকেই কৃষকদের যাবতীয় পরামর্শ দেওয়া হচ্ছে কৃষি অফিসের পক্ষ থেকে।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর