চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনে সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক বুথে সেনা মোতায়েনের দাবি করেছিলেন বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন। ভোটারের উপস্থিতি বাড়াতে ভোটগ্রহণের তারিখ দুদিন পেছানোর দাবিও করেছিলেন তিনি। কিন্তু সবকিছুই নাকচ করে দিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। শুধু বুথে নয়, সিটি করপোরেশন নির্বাচনেই কোনো সেনা মোতায়েনের পরিকল্পনা নির্বাচন কমিশনের নেই বলে জানিয়েছেন তিনি। শুক্রবার দুপুরে চট্টগ্রামের নির্বাচন কর্মকর্তাদের সঙ্গে মতবিনিময় সভা শেষে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে এসব কথা জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার মো. রফিকুল ইসলাম। তিনি বলেন, স্থানীয় সরকার নির্বাচনে আমরা কখনো সেনা মোতায়েন করিনি। এবারও করবো না। তবে সেনাবাহিনীর উপস্থিতি কিন্তু থাকবে।
পোশাকেই থাকবে। অস্ত্র থাকবে না। টেকনিক্যাল সাপোর্ট দেবে তারা।
নির্বাচনের তারিখ পেছানো প্রসঙ্গে তিনি বলেন, এইচএসসি পরীক্ষাসহ নানা কারণে নির্বাচন পেছানো সম্ভব নয়। তবে অন্যান্য দেশের মতো সরকারি ছুটি ঘোষণা না করে নির্বাচন করা যায় কি না সেটা ভেবে দেখছে কমিশন। তিনি বলেন, আমাদের কাছে অপশন যেটা ছিল, সেটা হলো পুরো বর্ষার মধ্যে নির্বাচন করা। কিন্তু আমরা কল্পনাও করতে পারি না, চট্টগ্রাম শহরে বর্ষার সময় নির্বাচন করার কথা। কারণ আমাদের অভিজ্ঞতা, জলাবদ্ধতায় ডুবে থাকে অনেক রাস্তাঘাট। সে জন্য আমরা চিন্তাও করতে পারি না। তাছাড়া ঘুম থেকে উঠতে দেরি করে ভোটাররা। তাই সকাল ৮টার পরিবর্তে ৯টা থেকে ভোটগ্রহণ শুরু করা হবে। তফসিল অনুযায়ী আগামী ২৯শে মার্চ চট্টগ্রাম সিটি করপোরেশন নির্বাচনের ভোটগ্রহণ অনুষ্ঠিত হবে। এর আগে বৃহসপতিবার মনোনয়ন পত্র জমাদান শেষে বিএনপির মেয়র প্রার্থী ডা. শাহাদাত হোসেন সুষ্ঠুভাবে ভোটগ্রহণের জন্য প্রত্যেক বুথে সেনাসদস্য মোতায়েন এবং ভোটার বাড়াতে ভোটের তারিখ কমপক্ষে দুইদিন পেছানোর দাবি জানিয়েছিলেন। কিন্তু নির্বাচন কমিশনার বিএনপির প্রার্থীর দুই দাবিকেই নাকচ করে দিলেন।