কিশোর গ্যাং এর হাতে নিহত যুবক হাসান হত্যার রহস্য উদঘাটন হয়েছে। ঢাকা থেকে গ্রেপ্তার করে আনা কিশোরগ্যাং এর দুই সদস্য দোষ স্বীকার করে আদালতে ১৬৪ ধারায় জবানবন্দি দিয়েছে। সূত্র জানায়, ২৩শে ফেব্রুয়ারি রাত পৌনে আটটায় বেগমগঞ্জ কৃষি প্রশিক্ষণায়তনের সামনে কিশোর গ্যাং এর হাতে হাসান (১৮) ছুরিকাহত হয়। এরপর রাত ৯টায় তাকে নোয়াখালী জেনারেল হাসপাতালে নেয়া হলে সেখানে সে মারা যায়। এ ব্যাপারে তার পিতা কুমিল্লা জেলার মনোহরগঞ্জ থানার বাতাবাড়িয়া গ্রামের হেদায়েত উল্যা পাটওয়ারী ২৪শে ফেব্রুয়ারি বেগমগঞ্জ থানায় অজ্ঞাত নামা আসামিদের বিরুদ্ধে ১টি খুনের মামলা দায়ের করেন। এ মামলার পর বেগমগঞ্জ পুলিশ বিভিন্ন সূত্রধরে বুধবার ঢাকার আদাবর এলাকা থেকে বেগমগঞ্জ থানার গনিপুরের আবদুল হকের ছেলে শহিদুল হক শিমুল (১৮) ও উত্তর নাজিরপুরের তাজুল ইসলামের ছেলে মাযহারুল হক সূর্যকে গ্রেপ্তার করে তারা জিজ্ঞাসাবাদে হত্যার দোষ স্বীকার করে। এরপর মামলার তদন্তকারী কর্মকর্তা বিপ্লব বড়ুয়া গতকাল তাদের আদালতে আনলে কিশোর গ্যাং এর দুই সদস্য সিনিয়র জুডিশিয়াল ম্যাজিস্ট্রেট মাসফিকুল হকের নিকট ১৬৪ ধারায় দোষ স্বীকার করে জবানবন্দি দেয়। জবানবন্দিতে মাযহারুল হক তূর্য জানায়, হাসানের সাথে তাদের পূর্ব শত্রুতা ছিলো।
হাসান কিছুদিন পূর্বে তার মাথা ফাটিয়ে দিয়েছিলো। ঘটনার দিন সে এবং শহিদুল ইসলাম শিমুল ও চৌরাস্তার খোকন তাকে দেখে ফেললে কৃষি প্রশিক্ষায়তনের সামনে সিএনজি থেকে নামায়। তখন হাসান একটি বিদ্যুতের টেস্টার দিয়ে তাদের আক্রমণ করতে এলে শিমুল তার টেস্টার কেড়ে নিয়ে পেটের পিছন দিক থেকে তাকে আঘাত করে। আর আসামি শহীদুল হক শিমুল জানায়, বিদ্যুতের টেস্টার নিয়ে কাড়াকাড়ি করার এক পর্যায়ে তা তার পেটে ঢুকে যায়। এ ঘটনায় সে যে মারা যাবে তারা তা বুঝতে পারেনি । বেগমগঞ্জ থানা পুলিশ সূত্র জানায়, তারা একই গ্রুপের অপরাধী। একত্রে মাদক ব্যবসাসহ বিভিন্ন অপরাধ করতো। আর এদের গ্যাং লিডার ছিলো চৌরাস্তার খোকন। খোকন মাছের ব্যবসার অন্তরালে মাদকের নেটওয়ার্ক চালাতো এ কিশোরগ্যাংকে দিয়ে। এ গ্যাং বেগমগঞ্জ, চৌরস্তা, মজুমদার হাট ও রমজানবিবি পর্যন্ত নিয়ন্ত্রন করতো। বেগমগঞ্জ মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ মো. হারুনুর রশিদ মানবজমিনকে জানান, মার্ডারের সাথে যারা সাহস যোগিয়ে পাশে দাঁড়িয়ে ছিলো তাদেরও খোঁজা হচ্ছে।