ক্যানবেরার মানুকা ওভালে থাইল্যান্ডের বিপক্ষে আগের ম্যাচে সেঞ্চুরি হাঁকান ইংল্যান্ডের হেদার নাইট। গতকাল একই ভেন্যুতে একই দলের বিপক্ষে ব্যাট হাতে ঝড় তোলেন দক্ষিণ আফ্রিকার ওপেনার লিজেল লি। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপের ১১তম ম্যাচে মাত্র ৫৯ বলে সেঞ্চুরি পূর্ণ করেন তিনি। লি’র ১০১ ও সুনে লাসের ৪১ বলে ৬১* রানের টর্নেডো ইনিংসে দক্ষিণ আফ্রিকা থামে ১৯৫/৩-এ। মেয়েদের টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে এটি দলীয় সর্বোচ্চ রানের রেকর্ড। এর আগে ২০১৮’র আসরে প্রভিডেন্সে ১৯৪/৫ তুলেছিল ভারত নারী দল। এদিন পরে বল হাতে থাইল্যান্ডকে ৮২ রানে গুঁড়িয়ে আরেক রেকর্ড গড়ে দক্ষিণ আফ্রিকা। প্রোটিয়ারা জয় পায় ১১৩ রানে। নারী টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে রানের ব্যবধানে সবচেয়ে বড় জয় এটি। গত ২৬শে ফেব্রুয়ারি এই থাইল্যান্ডকেই ৯৮ রানে হারিয়ে পূর্বের রেকর্ডটি গড়ে ইংল্যান্ড।
দেশের হয়ে দ্বিতীয় নারী ক্রিকেটার হিসেবে টি-টোয়েন্টি বিশ্বকাপে সেঞ্চুরির কৃতিত্ব দেখালেন লি। তার আগে ২০১০ সালের আসরে শতক হাঁকান শ্যান্ড্রে ফ্রিজ (১১৬*)। ৬০ বলে ১৬ বাউন্ডারি ও ৩ ছক্কায় ১০১ রান করে আউট হন লি। টি-টোয়েন্টি ফরম্যাটে এটি লি’র সেরা ইনিংস। গত বছর ভারতের বিপক্ষে করা ৮৪ রানের ইনিংসটিই ছিল এতদিন পর্যন্ত টি-টোয়েন্টিতে তার সর্বোচ্চ ব্যক্তিগত সংগ্রহ। নারীদের আন্তর্জাতিক টি-টোয়েন্টিতে এটি ২৬তম শতক।
২৭ বছর বয়সী ওপেনার লি এখন পর্যন্ত ৭২ টি-টোয়েন্টিতে ২৫.৭৮ গড়ে ১৬৫০ রান করেছেন। এক সেঞ্চুরির সঙ্গে রয়েছে ১১টি ফিফটি। এছাড়া ৮২ ওয়ানডেতে ৩৩.৭৯ গড়ে তার সংগ্রহ ২৬০২ রান। ২ সেঞ্চুরি ও ১৮টি ফিফটি রয়েছে নামের পাশে। দক্ষিণ আফ্রিকার হয়ে একটি টেস্টও খেলেছেন লি।
টানা দুই জয়ে ‘বি’ গ্রুপ থেকে সেমিফাইনালে এক পা দিয়ে ফেলেছে দক্ষিণ আফ্রিকা। আর টানা তিন হারে ছিটকে গেছে আসরে আইসিসির একমাত্র সহযোগী দেশ থাইল্যান্ড।
পাকিস্তানকে সহজেই হারালো ইংল্যান্ড
দিনের দ্বিতীয় ম্যাচে পাকিস্তানের বিপক্সে ৪২ রানে জয় কুড়ায় ইংল্যান্ড নারী ক্রিকেট দল। ক্যানবেরায় টসে হেরে আগে ব্যাটিং শেষে ইংল্যান্ডের ইনিংস থামে ১৫৮/৭-এ। সর্বোচ্চ ৬২ রান করেন ইংল্যান্ড অধিনায়ক হেদার নাইট। পাকিস্তানের বল হাতে চার ওভারের স্পেলে ৩০ রানে তিন উইকেট নেন পেসার আইমান আনোয়ার। জবাবে ২ বল বাকি রেখে ১১৬ রানে গুঁড়িেয় যায় পাকিস্তানের ইনিংস। দলীয় ৬২ রানে ষষ্ঠ উইকেট খুইয়ে লজ্জার মুখে ছিল পাকিস্তান। তবে সাত নম্বরে ব্যাট হাতে আলিয়া রিয়াজের ৩৩ বলে ৪১ রানের সুবাদে ১০০’র কোঠা পার করে তারা। আসরে তিন ম্যাচে এটি ইংল্যান্ডের দ্বিতীয় জয়। আর দুই ম্যাচে প্রথম হার পাকিস্তানের।