× প্রচ্ছদ অনলাইনপ্রথম পাতাশেষের পাতাখেলাবিনোদনএক্সক্লুসিভভারতবিশ্বজমিনবাংলারজমিনদেশ বিদেশশিক্ষাঙ্গনরকমারিমত-মতান্তরবই থেকে নেয়া তথ্য প্রযুক্তি শরীর ও মন চলতে ফিরতে কলকাতা কথকতাসেরা চিঠিইতিহাস থেকেঅর্থনীতি
ঢাকা, ১৯ এপ্রিল ২০২৪, শুক্রবার , ৬ বৈশাখ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ, ১০ শওয়াল ১৪৪৫ হিঃ

বাফুফে নির্বাচন ২০শে এপ্রিল

খেলা

স্পোর্টস রিপোর্টার
২৯ ফেব্রুয়ারি ২০২০, শনিবার

বাংলাদেশ ফুটবল ফেডারেশনের (বাফুফে) বহুল আলোচিত নির্বাচনের তারিখ নির্ধারিত হয়েছে আগামী ২০শে এপ্রিল। মতিঝিলের বাফুফে ভবনে ওইদিন সাধারণ সভার পাশাপাশি কাউন্সিলররা আগামী চার বছরের জন্য নতুন নির্বাহী কমিটি নির্বাচিত করবেন। গতকাল বাফুফের নির্বাহী কমিটির সভায় এই সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। এর আগে ২০১৬ সালের ৩০শে এপ্রিল রেডিসন ব্লুতে অনুষ্ঠিত হয়েছিল বাফুফে নির্বাচন। সাবেক সংসদ সদস্য কামরুল ইসলাম পটনকে হারিয়ে টানা তৃতীয় মেয়াদে বাফুফে সভাপতি নির্বাচিত হন কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন।   
আনুষ্ঠানিকভাবে ৩০শে এপ্রিল বাফুফের এই কমিটির মেয়াদ শেষ হলেও এবার নির্বাচন একটু এগিয়ে আনার বিষয়ে বাফুফের সিনিয়র সহ-সভাপতি আব্দুস সালাম মুশের্দী বলেন, মাহে রমজানের কথা ভেবে দশদিন আগে অর্থাৎ আগামী ২০শে এপ্রিল নির্বাচন অনুষ্ঠানের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছে। নির্বাচনের আগে এখনো এক মাস ২০ দিন সময় আছে। এই সময়ের মধ্যে ঢাকার বাইরে কাউন্সিলর চূড়ান্ত হয়ে যাবে আশা করি’। ভেন্যুর বিষয়ে বাফুফের এই কর্মকর্তা বলেন, এবার কোনো ঝুঁকি দেখছি না।
তাই নির্বাচন হবে বাফুফে ভবনে। ফুটবলের নির্বাচন ফুটবলের জায়গায় করাটাকে শ্রেয় মনে করি। নিজেদের সাফল্য ব্যর্থতা নিয়ে সালাম মুশের্দী বলেন, আমি ব্যক্তিগতভাবে সন্তুষ্ট। কাজী সালাউদ্দিনের নেতৃত্বে আমরা গত চার বছরে অনেক কর্মকাণ্ড করেছি। তবে আমি মনে করি, সার্টিফিকেট দেয়ার অধিকার আমার নেই, মূল্যায়ন করবে অন্যরা। এখন পর্যন্ত বাফুফে নির্বাচনে সভাপতি পদে দুই জনের নাম শোনা যাচ্ছে। তাদের একজন হলেন- বর্তমান সভাপতি কাজী মোহাম্মদ সালাউদ্দিন। তার বিরুদ্ধে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করবেন বর্তমান কমিটির সহ-সভাপতি বাদল রায়। এর আগে সভাপতি পদে নির্বাচন করবেন বলে গত দুই বছর প্রচারণা চালালেও হঠাৎ করে নিজেকে লড়াই থেকে সরিয়ে নিয়েছেন তরফদার মোহাম্মদ রুহুল আমিন। তবে তিনি অন্য পদে নির্বাচন করতে পারেন বলেও শোনা যাচ্ছে। পাশাপাশি সালাউদ্দিনের বিরুদ্ধে শক্তিশালী একটি পরিষদ দেয়ারও ঘোষনা দিয়েছেন জেলা ও বিভাগীয় এসোসিয়েশনের এই কর্মকর্তা। তবে তাদের পক্ষ থেকে কে কে নির্বাচন করবেন তা পরিস্কার নয়। অন্যদিকে সালাউদ্দিনকে সভাপতি রেখে মোটামুটি একটি প্যানেল দাঁড় করিয়েছেন ক্ষমতাসিনরা। তাদের প্যানেলে সিনিয়র সহ-সভাপতি হিসেবে থাকা প্রায় নিশ্চিত সালাম মুশের্দীর। সালাউদ্দিনের গত তিনটি পরিষদে একই পদে ছিলেন সাবেক এই জাতীয় ফুটবলাররা। পুরোনোদের মধ্যে সহ-সভাপতি পদে থাকবেন কাজী নাবিল আহম্মেদ। সহ-সভাপতি পদে চট্টগ্রাম আবাহনীর সামসুল হক চৌধুরীর নির্বাচন করার কথা রয়েছে। একই পদে গত নির্বাচনে পাশ করতে পারেননি চট্টগ্রামের এই সাংসদ। এছাড়া সদস্য পদে পুরোনোদের মধ্যে থাকছেন হারুনুর রশীদ, মাহফুজা  আক্তার কিরণ, আমিরুল ইসলাম বাবু, ইলিয়াস হোসেনরা। বর্তমান কমিটির ইকবাল আহমেদ, বিজন বড়ুয়া নির্বাচন করতে পারেন সালাউদ্দিনের প্যানেল থেকে। সালাউদ্দিনের বিরোধীতাকারী সহ-সভাপতি মহিউদ্দিন মহি নির্বাচন করবেন বিরোধী প্যানেল থেকে এটা প্রায় নিশ্চিত। এবার নির্বাচন কমিশনার হিসেবে থাকছেন সাবেক সচিব মেজবাহউদ্দিন, পার্সপোটের সাবেক পরিচালক মাহফুজুর রহমান সিদ্দিকী এবং সাবেক অ্যাটর্নি জেনারেল মোতাহের হোসেন সাজু।
অবশ্যই দিতে হবে *
অবশ্যই দিতে হবে *
অন্যান্য খবর