অতিরিক্ত সময়ের শেষ মিনিটে গোল। সেই গোলেই ইউরোপা লীগ স্বপ্ন ধূলিসাৎ আর্সেনালের। এমিরেটস স্টেডিয়ামে অলিম্পিয়াকোসের বিপক্ষে ৫৩তম মিনিটে পিছিয়ে পড়ে আর্সেনাল। নির্ধারিত ৯০ মিনিটে আর কোনো গোল না হওয়ায় ম্যাচ গড়ায় অতিরিক্ত সময়ে। ১১৩তম মিনিটে পিয়ের এমেরিক অবামেয়াংয়ের গোলে ২-১ এগ্রিগেটে শেষ ষোলোর পথেই ছিল আর্সেনাল। কিন্তু ১১৯তম মিনিটে দ্বিতীয় গোল হজম করে সর্বনাশ ডেকে আনে গানাররা। ঘরের মাঠে দ্বিতীয় লেগটি ২-১ গোলে হেরে যায় তারা। গ্রিক ক্লাব অলিম্পিয়াকোসের মাঠে প্রথম লেগে ১-০ গোলে জিতেছিল আর্সেনাল।
দুই লেগ মিলিয়ে সমীকরণ দাঁড়ায় ২-২। তবে দুটি অ্যাওয়ে গোলের সুবিধা নিয়ে অলিম্পিয়াকোস উতরে যায় শেষ ষোলোতে। ম্যাচের পর আর্সেনাল কোচ মাইকেল আর্তেতা বলেন, ‘এ হার মেনে নেয়া কঠিন।’
গত মৌসুমে রিয়াল মাদ্রিদ, জুভেন্টাসকে হারিয়ে চ্যাম্পিয়ন্স লীগের সেমিফাইনালে পৌঁছে গিয়েছিল আয়াক্স আমস্টারডাম। তারুণ্য নির্ভর দলটি এবার প্রথম রাউন্ড থেকেই বাদ পড়ে। এবার ছিটকে গেলো ইউরোপা লীগ থেকেও। ঘরের মাঠে গেতাফের বিপক্ষে দ্বিতীয় লেগে ২-১ গোলে জিতেও বিদায় নেয় ডাচ জায়ান্ট আয়াক্স। স্প্যানিশ ক্লাব গেতাফের কাছে দুই লেগ মিলিয়ে আয়াক্স হারে ৩-২ ব্যবধানে।
এ ছাড়া আর কোনো অঘটন ঘটেনি। বড় জয়ে শেষ ষোলো নিশ্চিত করে ম্যানচেস্টার ইউনাইটেড। তিনবারের চ্যাম্পিয়ন ইন্টার মিলান, রেকর্ড পাঁচবারের চ্যাম্পিয়ন সেভিয়াও উতরে গেছে শেষ ষোলোতে। রাউন্ড-৩২’র ফিরতি লেগে ক্লাব ব্রুগাকে ৫-০ গোলে বিধ্বস্ত করে ‘রেড ডেভিল’ খ্যাত ম্যানইউ। প্রতিপক্ষের মাঠে প্রথম লেগে ১-১ গোলে ড্র করেছিল তারা। দুই লেগ মিলিয়ে ৬-১ ব্যবধানে উতরে গেল কোচ ওলে গানার সুলশারের দল। ওল্ড ট্র্যাফোর্ডে ২২তম মিনিটে ১০ জনের দলে পরিণত হয় বেলজিক ক্লাব ক্লাব ব্রুগা। ৫ মিনিট পরই পেনাল্টি থেকে স্বাগতিকদের এগিয়ে দেন পর্তুগিজ তারকা ব্রুনো ফার্নান্দেজ। এরপর ৩১ মিনিটে ওডিয়ন ইগালো ব্যবধান বাড়ান। বিরতির আগে স্কট ম্যাকটমিনে করেন তৃতীয় গোল। ৮২ ও (৯০+৩) মিনিটে বাকি দুই গোল ব্রাজিলিয়ান মিডফিল্ডার ফ্রেডের।
ফ্রেডের গোলের পর এ কী বললেন ম্যানইউ কোচ!
সবশেষ ২০১৮’র ২২শে সেপ্টেম্বর প্রিমিয়ার লীগের ম্যাচে গোল করেছিলেন ফ্রেড। দেড় বছর পর ম্যানইউর জার্সিতে গোল পাওয়া ব্রাজিলিয়ানকে নিয়ে ম্যানইউ কোচ বলেন, ‘আমি তো ভেবেছিলাম ও পরের গোল করার সময় আমি আর জীবিত থাকবো না! এটা নিয়ে আমরা অনেক মজা করতাম। তবে ও গোলে ফিরেছে, তাতে আমরা সবাই খুশি।’ ম্যানইউর হয়ে এখন পর্যন্ত ৬০ ম্যাচে মাত্র ৩ গোল করেছেন ফ্রেড। আর সব মিলিয়ে ২৭০ ম্যাচে তার গোল ২৫টি। ব্রাজিল জাতীয় দলে ২০১৪তে অভিষেকের পর ১১ ম্যাচ খেলে কোনো গোল পাননি ফ্রেড।